সেদিনের পর...
সেদিনের পরদিন, শুধু শনিবার ছিল নাজিবা, চট্টগ্রামে। সেদিনটা সারাদিন ছিলাম নাজিবার সাথে নাজিবার মামা শশুর বাড়ি। মামা শশুর সপরিবার প্রবাসী। এই দু'দিন নাজিবার হাতে বাড়িটা, ম্যানেজার নিজেও ছুটি পাচ্ছে বিধায় খুশিমনে চলে গেছে।
সেদিন সারাদিন নাজিবার শরীর ঢুকে ছিলাম আমি। কখনো জান্তব, কখনো মানবের প্রেম। হ্যা প্রেম। সত্যিই শরীরের থেকে যে প্রেমের উচ্চারণ, তার শব্দ বেশ সুরেলা হতে পারে, তা আমরা জানি না। আর জানলেও বেশিরভাগ সময় মানতে চাই না। এই অমান্যতা শরীরের প্রেমের প্রতি ঘৃণাও নিয়ে আসে অনেক ক্ষেত্রে।
আমি ভেবেছিলাম, রাতে প্রথম সেক্সের পর নাজিবা হয়ত এই নিষিদ্ধ পরকীয়া প্রেমের হঠাৎ আবির্ভাবে মুষড়ে পড়বে।
ভাবনা ভুল প্রমাণিত হল।
বরং নাজিবা বেশ সাবলীল।
তার সাবলীল আচরণ আমাকে মনে করিয়ে দিল জর্ডান রেস্টুরেন্টে ওদের দু'জনকে এনকাউন্টারের কথা। নাজিবা আমার প্রেমিকা থাকা অবস্থাতেই সাবলীলভাবে রেস্টুরেন্টে কাম উপভোগ করছিল।
আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, ওই সাংবাদিক ভাইটির কথা।
নগ্নদেহে খোলাচুল আচড়ে নিতে নিতে পেছনে ফিরে নাজিবা বলে চলে তার অতীতের কথা-
"দেখ, রাহুল। জীবনটা খুব ছোট। ছোট জীবনের আরো ছোট অংশ হল যৌবনের সময়টুকু। আমি সবসময় এনজয় করতে চেয়েছি আমার যৌবন কে। বলা ভাল, আমার শরীর চায়। প্রচন্ড চায়। চায় যে, আমি যখন তখন সেক্স করি। হয়ত এটা হাইপার সেক্সুয়ালিটি ড্রাইভ, হতে পারে সাইকোলজিক্যাল কোন ডিফরমিটি, বাট আই নিড সেক্স। আফটার আ শর্ট ইন্টারভাল।
তোমাকে কাছে না পেয়ে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম ওই সময়টা। তুমিও পরীক্ষা, ক্লাস, এসাইনমেন্টের চাপে আসতে পারছিলে না। ব্যাপারটা আমি বুঝি মন থেকেই কিন্তু আমার শরীর তো বোঝে না।
ওই সাংবাদিক ভাই এর আগেও আমাকে প্রপোজ করেছিলেন। আমি রাজি হইনি কারণ আমি তোমাকে চাই। আমার মনেও চাই, শরীরেও চাই। উনি জানতেন তোমার কথা, আমি নিজেই বলছিলাম। অন্যদের কাছ থেকেও, হি ভেরিফাইড মাই এফেয়ার।
YOU ARE READING
এক্স গার্ল ফ্রেন্ড উইথ বেনিফিট
Romance১০ বছর আগে ব্রেকাপ হওয়া এক্স গার্লফ্রেন্ড নাজিবার সাথে পুনরায় কয়েকদিন দেখা হবার পর দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে রাহুল। তবে সম্পর্কটি আর শরীরেই থাকেনা কয়েকটি মিলনের পরে। রাহুলের নিঃসঙ্গ জীবনে সংসারী নাজিবা আসে নতুন জীবনের স্বপ্ন হয়ে। হতে চায় প্রেমিকা, অর...