পেনিনসুলায় উঠলাম আমি।
লাক্সারিয়াস হোটেল, কিন্তু ছুটি পার করছি না যেহেতু, হোটেলের লাক্সারির স্বাদ নেয়া যাচ্ছে না। সারাদিন কাজ শেষ করে রুমে এসে পড়ে যাই বিছানায়। ফেসবুকে খানিকক্ষণ কাটাতে না কাটাতেই ঘুম।
নাজিবার সাথে দেখা হবার দুদিনের মধ্যে ফেসবুকের সাজেশন লিস্টে দেখলাম। পাঠাবো রিকুয়েস্ট? না থাক ভেবেই পাঠাইনি বটে কিন্তু আইডি ঘুরে দেখে এসেছি। সুন্দর সংসার। হ্যান্ডসাম স্বামী, অর্থবিত্তের প্রাচুর্য অনলাইনে থাকা নানা প্রোগ্রামের ছবিতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরীর মত একটা মেয়ে আছে ওদের, জন্মদিনের পার্টির ছবিগুলো দেখছিলাম।
নাজিবার বেশ কিছু সিঙ্গেল ছবি আছে ওই প্রোগ্রামের, অ্যাশ কালারের শাড়ি আর স্লিভলেস ব্লাউজে ওর যৌবন উপচে পড়ছে। গাঢ় করে লাল লিপস্টিক দেয়া, চুলগুলো একটু কার্লি করেছে সেসময়, নাকফুলটা ওকে আরো যৌনাবেদনময়ী করে তুলেছে মনে হল।
আরেকটা স্টিল পিকচার পাশ থেকে তোলা। বলাই বাহুল্য, এরকম ভরাট পাছার শেপ একমাত্র প্রাচীন দেবীমূর্তিতেই হত। কি যেন দেবীটার নাম... হ্যা আফ্রোদিতি। বা ভিনাস। সৌন্দর্য, যৌনতা, উর্বরতা সবকিছুর দেবী। নাজিবা কি আফ্রোদিতি বা ভিনাসের চেয়ে কম? মনে হয় না, নাজিবা সুন্দর, নাজিবা যৌন, নাজিবা উর্বর। আর হ্যা, অবশ্যই নাজিবা দেবীর মতই পবিত্র। অবশ্যই আমাদের মত গড়পরতা দু চারজন পুরুষের সাথে সম্পর্ক করা কিংবা আমাদের স্পর্শের অত ক্ষমতা নেই নাজিবার পবিত্রতাকে এতটুকু নষ্ট করতে পারে। বরং সৌভাগ্যবান সেই পুরুষ, যে নাজিবার উর্বর যৌনতার নিকট সমর্পিত হতে পারে।
স্টেশনে বিলোল কটাক্ষটা মনে পড়ল।
সত্যিই তো, খাওয়ার দাওয়াত সময়ের টা সময়ে নিতে শিখলাম কই, ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষার মাঝে, ও একবার বলেছিল ওদের বাসায় যেতে। ওর বাবা মা খুলনা যাচ্ছে কি এক জমিজমার কাজে, ওর পিচ্চি ছোটভাই আর ওকে রেখে। ওকে নিতে পারছে না কারণ ওর তখন ভর্তির সময়। আমি ঢাবি আর জগন্নাথে পরীক্ষা দিয়ে এসেছি কুষ্টিয়ায়। সামনে রাবি তে পরীক্ষা আছে। আমাকে বলছিল, বাবা মা বাড়ি নেই, খোজ খবর নিতে বা চা খেতেও তো যেতে পারি, দেখে আসা উচিত ভাল আছে কি না।
ESTÁS LEYENDO
এক্স গার্ল ফ্রেন্ড উইথ বেনিফিট
Romance১০ বছর আগে ব্রেকাপ হওয়া এক্স গার্লফ্রেন্ড নাজিবার সাথে পুনরায় কয়েকদিন দেখা হবার পর দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে রাহুল। তবে সম্পর্কটি আর শরীরেই থাকেনা কয়েকটি মিলনের পরে। রাহুলের নিঃসঙ্গ জীবনে সংসারী নাজিবা আসে নতুন জীবনের স্বপ্ন হয়ে। হতে চায় প্রেমিকা, অর...