।। অনন্ত ।।

26 8 7
                                    

।। অনন্ত ।।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
বেদ এ একটা শ্লোক এ আছে ঈশ্বরের রূপ নেই, ঈশ্বর অনন্ত, এই শ্লোক টা বলে অন্যান্য ধর্মের কিছু লোক হিন্দুদের বলে আপনারা মূর্তি পুজো কেন করেন ? ঈশ্বর তো অনন্ত! এটা তাদের ধর্ম গ্রন্থেও লেখা আছে। কিন্তু তারা জানে না তারা যাকে god or আল্লাহ বলছে আগে কার হিন্দুরা তাকে ব্রহ্মা বলতো আধুনিক হিন্দুরা এবং বিজ্ঞান তাকে মহা অ্যাটম বলে। বিজ্ঞান ও হিন্দু শাস্ত্র কম্বাইন করলে উত্তর পেয়ে যাবেন। হিন্দুরা মুর্তি পূজা করে সেই সৃষ্টি কাছে যাওয়ার জন্য। বিজ্ঞানের ভাষায় বলছি, A থেকে B স্থানে যেতে যেমন মাধ্যম লাগে , আপনি হেঁটে গেলেও পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন তখন আপনি মাধ্যম ব্যাবহার করছেন , বসে থাকলে আপনি A থেকে B তে যেতে কোনো দিনও পারবেন না। বিজ্ঞানীরা সৃষ্টির শুরু যেই মহা অ্যাটম থেকে সেটা খুঁজতেও বড় বড় টেলিস্কোপ ব্যবহার করছেন সেটাও মাধ্যম। তাই সেই অনন্ত কাছে পৌঁছাতে ভগবান হল তার মাধ্যম। সেটা যে কোনো ভগবান হতে পারে। তারা সেই অনন্ত থেকেই পৃথিবীতে এসেছিলো।   স্বামী বিবকানন্দ ও আবিন্দ্রনাথ ঠাকুর একদিন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সাথে দেখা করতে গিয়েছেন, তখন রামকৃষ্ণ দেব আবিন্দ্রনাঠ কে জিজ্ঞাসা করলেন বেদ এ কী আছে ওই অনন্ত কাছে পৌঁছাতে? রামকৃষ্ণ বেদ এর নাম শুনেছিল কিন্তু জানতো না।  আমি যতো বার ধ্যানে মগ্ন হচ্ছি ততবারই মা কালীর মূর্তি চলে আসছে ! তখন অবিন্দ্রনাথ বললেন বেদ এ তো তাই আছে তুমি যাকে পূজ্য মনে করো তার পূজা করুন, ধ্যানে তার যব করুন, তিনিই আপনাকে রাস্তা দেখবেন, তার মাধ্যমে সেই অনন্ত কাছে যেতে পারবেন । রামকৃষ্ণ তখন বলল তাই যখনই আমি ধ্যানে মগ্ন হচ্ছি মা (মা কালী) চলে আসছে ধ্যানে বারবার।
এখন কথা হল সেই অনন্ত টা কে বা তাঁর রূপ কি? এর উত্তরও বেদ এ আছে।  বেদ এর থেকে বাকি ধর্ম গ্রন্থের সৃষ্টি যেমন উপনিষদ, পুরান , বেদ পুরান, গরুড় পুরান, রামায়ণ, মহাভারত, ভগবত গীতা এই সব বেদের থেকেই এসেছে।  বেদ এর  ধর্ম একটাই সেটা সনাতন ধর্ম বাকী সব ' পান্থ ' পান্থ একটি সংস্কৃত শব্দ  বাংলায় যার মানে ধর্মবিশ্বাস। ধর্মবিশ্বাস আমাদের হিন্দু , কারো বৌদ্ধ, কারো জৈন, করো খিষ্টাণ , কারো মুসলিম ইত্যাদী। শুধু হিন্দুরা নিজেদের সনাতনী বলে, বৌদ্ধ, জৈন তারা কিছু কিছু কথা মানে কিন্তু খ্রিস্টান, মুসলিম আরো যেই সব ধর্ম আছে তারা নিজেদের সনাতন ধর্মাবলম্বী মানে না, অথবা তারা জানে না , তাই তারা অনন্ত বলে , বলে অনন্তের রূপ নেই । খালি চোখে আমরা তো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দেখতে পাই না,  তাই বলে তাদের রূপ নেই। অ্যাটম, প্রোটন, ইলেক্টন এদেরও রূপ আছে। মহাকাশে ৮০% নেগেটিভ এনার্জি আছে তাদের আমরা হাই টেক লেসার রস্মি দ্বারা বুঝতে পারি।

|| সৃষ্টি ||Where stories live. Discover now