ক
সাবরিনার সাথে অফিসের ঘটনার পর প্রায় দুই সাপ্তাহ কেটে গেছে এর মাঝে। সাবরিনা বা মাহফুজ কেউ তাদের ভিতরের প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব থেকে বের হতে পারে নি। সাবরিনার জন্য এ ধরনের দ্বন্দ্ব নতুন। সারাজীবন যে কাজগুলোকে নিন্দা করে এসেছে এমন কোন কিছুর হাতছানি সাবরিনার জন্য বিপদজনক। যদিও সাবরিনা জানে আইনত সে কোন নিয়ম এখনো ভাংগে নি, সমাজের চোখ রাংগানির মত কোন দাগও এখনো অতিক্রম করে নি। তবে এটাও সাবরিনা জানে নিজের মনের ভিতর কিছু সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে সে। যে কোন ভুল সংশোধনের প্রথম উপায় হল ভুল স্বীকার করা। এক্ষেত্রে সমস্যা দুইটা। প্রথম, কার কাছে ভুল স্বীকার করবে? সাদমানের কাছে? কি বলবে? আমি তোমাকে বাদে অন্য একজন কে ভেবে মাস্টারবেশন করেছি? সাদমান এটা কীভাবে নিবে? আসলেই কি এইসব বলা যায়? সামান্য একটা চিন্তা আর তার শারীরিক প্রতিক্রিয়া কে কি এত গুরুত্ব দেওয়া উচিত? দ্বিতীয়ত, সাবরিনার ব্যক্তিত্বের একটা বড় দিক হচ্ছে ভুল মুক্ত থাকা, পারফেক্ট থাকা। এই ভুল স্বীকার করা মানে নিজে কে অন্তত এই ক্ষেত্রে দেওয়া পারফেকশনে একটা দাগ দেওয়া। সাদমান কে না বলে নিজের কাছে নিজেই স্বীকার করা যায় ভুল টা তবে সে ক্ষেত্রেও সমস্যাটা থেকে যায়। আর কেউ না জানুক সাবরিনা নিজে তো জানছে যে এতদিন এতজন কে উপদেশ দেওয়া, মোরাল আপারহ্যান্ড নেওয়ার পর সে নিজেই সেই রাস্তায় হাটছে। এই দুই সাপ্তাহ ধরে নিজের ভিতর এই প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে। সাবরিনার মনের ভিতর একবার চিন্তা আসছে এটা এমন কি। বহুশত বার ও মাস্টারবেশন করেছে। বিয়ের পরেও। সেইসব মাস্টারবেশনে অনেক সময় সুবেশী কোন কোন দেশি বিদেশী হিরোরা হানা দিয়েছে। ওগুলো মনে কখনোই অমন ঝড় তুলে নি কারণ ও জানে এই ফ্যান্টাসি গুলার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। এগুলো পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা শূণ্যের কোঠায়। এইজন্য অন্তত বিয়ের পর থেকে মাস্টারবেশন সেশনে বাস্তবের কোন রক্তমাংসের মানুষ কে দূরে রেখেছে।
সাদমানের উপর এই কয়দিন ধরে রেগে আছে সাবরিনা। সাদমান ব্যাপারটা টের পেয়েছে। ট্যুর থেকে ফিরে বুঝতে পারছে না কি হয়েছে বেচারা। এমনিতেই সাবরিনার মেজাজ কে ভয় পায় সাদমান তার উপর ফিরে আসার পর থেকে শীতল একটা ব্যবহার। সাদমান তাই নিজেই কিছুটা নিজেকে আড়াল করে রাখছে সাবরিনা থেকে। মাঝে মাঝে সাবরিনার এমন হয় সেটা সাদমান খেয়াল করেছে। বিশেষ করে কোন কিছু নিয়ে যদি বেশি চাপে থাকে। হয়ত অফিসের পলিটিক্সে আবার ঝামেলা করছে। সাবরিনার অফিসে সাদমানের পরিচিত লোক আছে কিন্তু সাবরিনা মানা করে দিয়েছে যেন সাদমান কোন বাইরে থেকে হেল্প না করে। সব সময় নিজের আত্মমর্যাদা নিয়ে সচেতন সাবরিনা। সাবরিনার এই জিনিসটা ভাল লাগে সাদমানের। অন্য বন্ধুদের বউরা চাকরিজীবি হোক বা গৃহিনী, স্বামীর ক্ষমতার যে কোন ব্যবহারে পিছপা হয় না। সাবরিনা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। অফিসের চাপ কমে গেলে হয়ত আগের মত আবার কয়েক সাপ্তাহ পরে নরমাল হয়ে যাবে সাবরিনা। বাইরে কঠোর রুপ এড়িয়ে আগের মত ঘরের ভিতর শান্ত শীতল কোমল সাবরিনা হয়ে আসবে।
YOU ARE READING
অঘটনঘটন পটিয়সী (প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য)
Fantasyএক প্রেমিক এবং এক প্রেমিকা। তাদের প্রেমের বাধা প্রেমিকার পরিবার এবং তাদের সামাজিক অবস্থান। বাংলা সিনেমার হিরোদের মত অসাধ্য সাধনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তাই প্রেমিক। যে করেই হোক প্রেমিকার বোন, ফুফু এবং মায়ের মন জয় করতে হবে প্রেমিক কে।