জনঅরণ্য

587 1 0
                                    

আজ আকাশের মন ভাল নেই।

অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে শেষরাত থেকে। ছাত্রজীবন হলে আরামের ঘুম দেয়া যেত ক্লাস, পরীক্ষা ফাঁকি দিয়ে। চাকরিজীবনে তা করার উপায় নেই।

উঠে বাথরুম করে ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি ঝুমুর এখনো ঘুমুচ্ছে। ওকে ডাকলাম। নয়ত আজও ওর অফিস লেট হবে।

ঝুমুর- আমার স্ত্রী। সুন্দরী, শিক্ষিত, মার্জিত, কর্পোরেট চাকুরীজীবী। আমাদের এরেঞ্জড ম্যারেজ হলেও ৮-৯ বছরের সংসার জীবনে প্রেমের ঘাটতি হয়নি কখনো। হেলদি সেক্স লাইফ মেইনটেইন করেছি আমরা, একটা ছেলে আছে আমাদের- তিন বছর বয়সী। ছেলে হবার পরেও যৌনতায় ভাটা পড়েছে এ কথা বলা যাবে না। স্বাভাবিকভাবেই, যেহেতু স্ত্রী হরমোনের ব্যালেন্সে পরিবর্তন আসে, যৌন চাহিদা কমেছে ঝুমুরের, ততটুকুই।

তবে আমার যৌনতার ভোগ রয়েছে পুরোমাত্রায়। সেটা ঝুমুরই অবশ্য পুষিয়ে দেয় নানা ছলাকলায়। তার জন্য আমাকে পর্নের দ্বারস্থ হতে হয় না। এদিক থেকে বলতে গেলে, ঝুমুরের মত স্ত্রী হয়ই না।

ঝুমুরের এক দূরসম্পর্কের খালাম্মা আমাদের সাথে থাকেন। আমার শ্বাশুড়ির দূরসম্পর্কের বোন। স্বামী অল্পবয়সেই হারিয়েছেন, সন্তানাদি নেই। বাবাও মারা গিয়েছিলেন বলে নতুন করে বিয়ে দেয়া হয়নি তাঁর। প্রায় বয়স্কা এই নারী এ দুয়ার ও দুয়ারে ধাক্কা খাচ্ছিলেন দেখে ঝুমুরই তাকে আমাদের সাথে থাকতে বলেন। আমাদের ছেলে- আরশান কে উনার কাছে রেখেই অফিস সামলাই আমরা। রান্নাটা ঝুমুরই করে অবশ্য। রাতে অফিস থেকে ফিরে। রান্নার কাজটা ও কারো হাতে ছাড়ে না। ওর কথা হচ্ছে, রান্নার কাজ কারো হাতে ছাড়া মানে সংসার তার হাতেই ছেড়ে দেয়া। এটা হবে না। খালাম্মা কেটেবেছে রাখেন, ঝুমুর রান্না করে। রাত থেকে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত রান্না ও-ই করে।

ভালই চলছিল দিন এভাবে। সুখী, ব্যালান্সড। জনঅরণ্যে বিচরণ করা আর দশটা সুখীজনের জীবন কেটে যাচ্ছিল সময়ের দিকে পাল তুলে দিয়ে।

ঝুমুরের কমনীয় মুখের দিকে এসবই তাকিয়ে ভাবছিলাম আমি। এমন সময় মোবাইল আনলক করে নোটিফিকেশন চেক করে পেলাম এক গোপন, সাইলেন্ট করে রাখা বিশেষ আইডির মেসেজ।

জনঅরণ্যে জলচুম্বনDonde viven las historias. Descúbrelo ahora