-'অদু!!?'
অদ্রি ক্লাসের এক কোণে বসে গল্পের বই পড়ছিল। অভ্র অস্থির হয়ে তার কাছে এসে মনোযোগ কেড়ে নেয়।
অভ্রর মুখই বলে দিচ্ছে ও একটা বিপদে পড়েছে।
অদ্রি আর অভ্রর ৩ বছরের বন্ধুত্ব। সমবয়সী বললে ভুল হবে। অভ্র অদ্রির থেকে ৪ বছরের বড়। তবুও ওদের সম্পর্ক দেখলে মানুষ বলবে ওরা একই বয়সের।
অভ্র প্রথম প্রথম অদ্রির সাথে বেশি কথা না বললেও এখন এমন বন্ধুত্ব হলো যে সব কথাই সে অদ্রির সাথে শেয়ার করে।
অদ্রি একটু চিন্তিত গলায় জিজ্ঞেস করলো,
-'কি হয়েছে রে তোর? এমন প্যারা খাচ্ছিস কেন?'
-'কি যে করি! কিভাবে যে বলি তোকে।'
-'আরেহ বল, বল। আমি কি তোকে বলি না?'
-'তোরে বলেছিলাম না নানী অসুস্থ?'
-'হ্যাঁ, এখন কেমন আছেন উনি?'
-'খুব একটা ইম্প্রুভ হয়নি আসলে। কিন্তু আমি আছি অন্য প্যারায়।'
-'ভাই তোর জীবনে কি প্যারার শেষ আছে নাকি?'
-'কথা সত্য। আগে শুনবি তো!'
-'কান খোলা আছে, স্যার।'
-'নানী আমার মাথা খেয়ে ফেলতেছে।'
-'কেন?'
-'আর কেন? আমার বউয়ের "চাঁদমুখ" দেখার জন্য।'অভ্র একটু বিশেষ ভঙ্গি নিয়ে এই "চাঁদমুখ" শব্দটা উচ্চারণ করলো।
-'হ ভালো তো। একটা গার্লফ্রেন্ড জোগাড় কর। করে নিয়ে যা।'
-'মজা নিচ্ছিস? তুই জানিস আমি এসবে নাই। বিয়ে তো দূর একটা গার্লফ্রেন্ডও রাখতে চাইনা আমি এই জীবনে। এসব আজাইরা প্যারা নিতে আমি পারুম না।'
-'তো কি পরের জীবনে নিবি?'
-'ধুর, মস্করা না করে আমার কথা শোন।'
-'হুম?'
-'তুই চল আমার সাথে।'
-'মানে কি? তুই পাগল?'
-'ভাই তোরে আমার বউ হইতে বলতেছি না। তুই শুধু ক্যাজুয়ালি আমার গার্লফ্রেন্ড সেজে যাবি, দেখা করবি, বাকিটা ইতিহাস। নানী কয়দিন পরেই ভুলে যাবে তোর কথা।'
-'তুষার পিটুনি দিবে!'
-'এখন পিটুনি দিবে? আর তোর যে হাত পা ভাঙছিল তখন কই ছিল?'
-'বাদ দে না ভাই। এখন কি করতে হবে বল।'
-'তোরে আমি আমার গার্লফ্রেন্ড পরিচয় দিব। পরে কয়দিন পর জানাবো তোর সাথে আমার ব্রেকাপ হয়ে গেছে। তোরও বিয়ে হয়ে গেছে আর আমিও আমার জীবন নিয়ে আছি।'
-'তুই যতটা সহজ মনে করছিস ততটা কি আসলেই সহজ?'
-'আমার মনে হয় আমি ওদের কনভিন্স করতে পারবো। আসলে ছোট থেকে ওদের সাথে থাকি বলে এখন আমার জীবন নিয়ে বেশি চিন্তা। এমনকি বন্ধুদেরও খোঁজ খবর রাখে।'
YOU ARE READING
মেঘের পাহাড়
Romanceএকটি অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি যখন কাছের মানুষে পরিণত হয়, তখন মনে হয় এই পৃথিবীতে কত কিছুই না সম্ভব। কিন্তু তাদের কেউই এটা চায়নি। দুইজনেরই আলাদা আলাদা পছন্দের মানুষ থাকা স্বত্ত্বেও একে অপরের সাথে জড়িয়ে গেলো। এক পর্যায়ে নিজেদেরকে একে অপরের কাছে বোঝা মনে হত।...