কিছুদিন পর
গত রাতটা ঘুমুতে একটু কষ্টই হলো অদ্রির। মশার জ্বালায় জীবনটা তার ত্যক্তবিরক্ত হয়ে গেছে। হাতে পায়ে লাল লাল গোটার মত হয়ে উঠেছে মশার কামড় গুলো।
জানালা দিয়ে আকাশের আলোটা অদ্রির চোখে পড়তেই ঘুম পুরোপুরি ভেঙে যায়। পাশ ঘুরে অভ্রকে দেখে ভাবলো। কীভাবে এই ছেলেটা এই মশার মধ্যে ঘুমুচ্ছে? ইশশ! গণ্ডারের চামড়া কোথাকার!
অভ্রর সামনে দাঁড়িয়ে বলল,
-'অভ্র?? উঠে পড় ঘুম থেকে। কেমন গণ্ডারের মত ঘুমাচ্ছিস।'
অভ্র একটু নড়ে চড়ে বলল,
-'অ্যাঁই, যা তো। ঘুমাতে দে। রাতে ঘুমাতে পারিনি।'
-'ইশশ! রাতে নাকি ঘুমাতে পারেনি। সারা রাত যে নাকের মধ্যে মটর অন করে ঘুমিয়েছিস খবর আছে কোনো? আর এদিকে আমি মশার কামড়ে শহীদ হয়ে গেলাম।
-'অই, যা তো। আমাকে ঘুমাতে দে।'
অদ্রি ভ্রু কুঁচকে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলো।
অদ্রির বিকট এক বদ অভ্যাস আছে যা সে কখনই নিজের আয়ত্তে আনতে পারে না, তা হলো হাল্কা একটু গরম লাগলেই গোসল করে ফেলা। ঠিক তাই করে বসলো।
অভ্রর ঘুম হালকা হালকা ভাঙতে লাগলে কানে পানির শব্দ আসে। মনে মনে ভাবলো হয়তো অদ্রি গোসলে আছে। মনের ভেতর পদার্পণ করা এমনই এক চিন্তা, যার নিয়ন্ত্রণ তার কিছুক্ষণের জন্য ওকে হারিয়ে ফেলে বাস্তবতা থেকে।
অদ্রিকে যখন শাওয়ারের নিচে থাকে ওর পুরো দেহযষ্টি জুড়ে ছোট ছোট পানির বিন্দুগুলো আঁছড়ে পড়বে আর চিকচিক করে উঠবে। আকাশে তারার মেলা বসলে যেমন জ্বলজ্বল করবে, তেমনই ওর অঙ্গগুলোতেও পানি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে। অভ্রর এই ভাবনাটা ওকে ধিরে ধিরে অদ্রির শরীরের গড়ন আকৃতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
হঠাৎই অদ্রি বাথরুমের দরজাটা খুলল। ছিটকানি খোলার ঠক করে শব্দটা অভ্রকে বাধ্য করলো বাস্তবে আনতে। সে দ্রুত ঘুমের ভান করে পড়ে রইলো।
অদ্রি দরজাটা খুলতেই টের পেলো ওর গায়ে ওড়না নেই। মাথাটা ঘুরিয়ে উঠলো৷ সে ওড়না ছাড়াই বাথরুমে চলে গেছে? মাথাটা হালকা বের করে উঁকি দিয়ে দেখলো ওড়নাটা অভ্রর পায়ের কাছেই রেখে এসেছে। চোখ ঘুরিয়ে দেখে নেয় অভ্র এখনও ঘুমিয়ে আছে কিনা।
YOU ARE READING
মেঘের পাহাড়
Romanceএকটি অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি যখন কাছের মানুষে পরিণত হয়, তখন মনে হয় এই পৃথিবীতে কত কিছুই না সম্ভব। কিন্তু তাদের কেউই এটা চায়নি। দুইজনেরই আলাদা আলাদা পছন্দের মানুষ থাকা স্বত্ত্বেও একে অপরের সাথে জড়িয়ে গেলো। এক পর্যায়ে নিজেদেরকে একে অপরের কাছে বোঝা মনে হত।...