পর্ব-৩

7 1 0
                                    

আফসানা অদ্রির এক হাতে মেহেদি পড়িয়ে দিচ্ছে, আর অন্য হাতে গ্রামেরই একটা মেয়ে নাম পুর্নিমা মেহেদি পড়িয়ে দিচ্ছে।

আফসানা বলল,
-'আপু, তুই যে শেষ পর্যন্ত ভাইয়াকে বিয়ে করবি এটা ভাবতেই পারিনি। তুই জানিস আমি সেই কত আগে থেকে তোর আর ভাইয়াকে একসাথে দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতাম। ভাবতাম কবে যে তোরা বিয়ে করবি!'

অদ্রি শুধু মুচকি হাসছে। অদ্রি খেয়াল করলো কেমন জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে অভ্র তার দিকে চেয়ে রইলো।

আফসানা মাথা ঘুরিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-'দুলাভাই আপনার হাতে মেহেদি দিয়ে দিই?'

অভ্র একবার আফসানার পানে আরেকবার অদ্রির পানে চায়। অদ্রি এমন একটা ভাব দেখালো যেন সে পছন্দ করেনা।

অভ্র বলল,
-'না না, আমি এসব দিই না। তোমার আপুকে দিয়ে দাও।'

-'আচ্ছা, তবে কিন্তু আপুর হাতে খুঁজতে হবে!'

-'কি?'

-'নাহ কিছু না।'

বলেই মুখ টিপে হাসলো আফসানা ।

সবার হলুদ মেহেদি দেওয়া শেষে এবার ঘুমানোর পালা। কে কোথায় ঘুমাবে তা নিয়ে আলাপ হচ্ছে।

সবার আগে অদ্রির মা আর বাবার জন্য বিছানা রেডি করে দেওয়া হলো।

অন্যদিকে নানী বায়না ধরেছে অদ্রির সাথে ঘুমাবে আজ, কারণ বিয়ের পর তো জামাই ছাড়া আর ঘুমানো হবে না তাই নানী বায়না ধরেছে অদ্রিকে তার কাছে নিয়ে ঘুমাবে।

সবার বিছানা তৈরি হয়ে গেলে লাইট অফ করার আগে অদ্রি এক ফাঁকে তার খালাকে বলে,
-'আম্মি, তোমার সাথে কথা আছে। একটু পর ছাঁদে চলো?'
-'এত রাতে?'
-'হ্যাঁ।'

গ্রামের মানুষ যেমন কর্মঠ, তেমন রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠা আর রাতে জলদি ঘুমুতে যাওয়ার তাদের ডেইলি রুটিন। শুয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়েছে সবাই।

নানীর একটু দেরী হয় ঘুমুতে। ঘুমানোর আগে নানীকে বলল,
-'নানী, আমার খালাকে খুব মিস করছি। একটু দেখা করে আসি?'
-'আইচ্ছা, যাও।'

অদ্রি খালার হাত আস্তে ধরে টেনে ছাদে নিয়ে গেলো। ছাদের দরজাটা একটু চাপিয়ে সে রেলিংয়ের পাশ ঘেঁষে দাঁড়ালো।

মেঘের পাহাড়Where stories live. Discover now