পাচঁ

849 16 0
                                    

উশমিল: দেখা করতে পারবে এখন একটু?খুব দরকার,পিল্জ!

ওয়াটসঅ্যাপে টেক্সকটি দেখে অরুনাভো ভাবে কী কারণে দেখা করতে বলছে সে?উশমিল এখন তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে। যদিও উশমিল অরুনাভকে বন্ধুর জায়গায়ই দিয়ে রেখেছে।প্রায়দিনই সে আর উশমিল দেখা করে।আর উশমিল নিজের ব্যাপারে আর তার জীবন,পরিবার তার প্রেমিক কৈলাশের কথা বলে।উশমিল অরুনাভোকে খুব কাছের বন্ধু করে ফেলেছে এটা কিন্তু উশমিল না স্বীকার করলেও অরুনাভো খুব ভালো বুঝতে পারে।এক প্রকার অধিকার ফলায় উশমিল অরুনাভোর উপর যেটা অরুনাভোর বেশ লাগে।তবে একটা জায়গায় গিয়েই অরুনাভো মুখ দুবড়ে পরে যে উশমিল কৈলাশের সাথে সম্পর্কে আবদ্ধ।যেদিন উশমিল এটা অরুনাভোকে জানাই সেই মুহূর্তে মনে হয়েছিল কেউ যেন তার বুকে একটা মস্ত বড় পাথর রেখে দিল।কৈলাশের আগেও তার এক প্রেমিক ছিল সে তাকে ছেঁড়ে চলে যায়।উশমিলকেও যে কেউ ছেঁড়ে যেতে পারে তা অরুনাভোর ধারণার বাইরে ছিল।আর শ্রীজিৎ তার খুবই কাছের বন্ধু একসাথে বড় হয়েছে তারা।একসাথে স্কুল,কলেজ করেছে।এখন শ্রীজিৎ কলকাতার বাইরে আছে পড়াশুনার সূত্রে।তার কাছের মানুষ বলতে এখন অরুনাভো আর কৈলাশ।অরুনাভো কৈলাশকে পুরো বিশ্বাস করতে পারেনা উশমিলের প্রেমিক হিসাবে তার কারণ সে যে নিজে উশমিলের জীবনে সেই জায়গাটা চায় তাই নয়।কারণ সেই জায়গাটার দাবিদার হওয়ার আগেই উশমিল কৈলাশের কথা বলে দিয়েছিল।উদাসীন ছেলেটা খানিক।গান গায় সে।প্রচুর নেশা করে।সম্পর্কটা তৈরি করার প্রস্তাব উশমিলই দিয়েছিল কৈলাশের গানে মুগ্ধ হয়ে।তখন সবে সবে উশমিলকে প্রথম ডাম্প করেছিল আর অন্যদিকে মা বাবার ডিভোর্সের ঝামেলা।একেবারে ভেঙে পরেছিল উশমিল তখন।প্রথম যে তাকে এভাবে ডিচড করে আমেরিকা চলে যাবে ভাবতে পারেনি সে।বাড়ির ঝামেলা,অনাদর,অযত্ন সে প্রথমের কাছেই ভুলে থাকত।চার বছরের পুরোনো ছিল সম্পর্ক তাদের।উশমিলের জীবনের প্রথম প্রেম হল প্রথম,তাকে উশমিল চোখে হারাতো।সে যা বলত তাই করত।প্রথমের সাথেই হওয়া তার এই সম্পর্কটা উশমিলের ভগবানের উপহার মনে হত।সেই প্রথম বিনা কারণে কেন তাকে ছেড়ে এত দূরে চলে গেল ভেবে সে যখন পাগলের মত হচ্ছিল তখন যার গানের অন্তরাই উশমিলের  মনের অবস্থা ব্যাক্ত করে সে হল কৈলাশ উশমিলদের কলেজের  বি.কম  ডিপার্টমেন্টের রোগা লম্বা ছেলে।প্রথম প্রথম সে কৈলাশের সাথে অনেক সময় কাটাতো তারপর একদিন ময়দানের মাঠে যখন দুছনে বসেছিল আর কৈলাশ মাঝে মাঝে গিটার বাজিয়ে গান গাইছিল উশমিল তাকে প্রপোজ করে বসে।আর তারপর শুরু হয় তার জীবনে কৈলাশ পর্ব। উশমিল মেয়েটা ভিতর ভিতর দুঃখী তার মা বাবার কারণে।ছোট থেকে মা বাবাকে ঝগড়া করতে দেখেছে।দুজনের কর্মব্যস্ততার জন্য সে খানিকটা বন্ঞিত থেকেছে মা বাবার আদর-যত্ন থেকে।তাই এরকম হয়ে গেছে হয়তো সে।কিছুটা ভেবে অরুনাভো উত্তর দেয়।

অচেনা মেয়েটিDonde viven las historias. Descúbrelo ahora