সুদিপার স্বামী অনিকেত একটু আগে বাঙ্গালোর চলে গেল। ওর চলে যাওয়ার পর থেকেই আকাশ জুড়ে ঝিরি ঝির বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। ওর ২ বছরের ছেলে টা এখনও ঘুমাচ্ছে। সুদিপা বারান্দায় এসে দাঁড়ালো। রবিবারের আকাশ কালো মেঘের আস্তরনে ঢেকে বৃষ্টি এনেছে। কলকাতায় এবছর বর্ষা’র প্রথম বৃষ্টি ভরা রবিবারের সকাল। হালকা ঠাণ্ডা হাওয়া দিচ্ছে। বাতাসে জল ভেসে বেড়াচ্ছে, পাশের বিছানা টা ভিজিয়ে দিল। আকাশের দিকে তাকাল সুদিপা, মেঘের দলে রা যেন দৌড় প্রতিযোগিতা তে নেমেছে। পর্দা টা ঠেলে ঘরের ভেতরে এলো আধ ভিজে খবরের কাগজ দুটো তুলে নিয়ে।
সুদিপা ২৬, ৫ ফিট ৩ ইঞ্চি লম্বা, ফরসা না রোগা না মোটা চেহারা। সেক্টর ফাইভ এ নামকরা সফ্টওয়্যার কোম্পানি তে কাজ করে। অনিকেত আছে বিদেশ দপ্তর এ। ওদের বিয়ে হয় বেঙ্গলি বিবাহ সাইট থেকে যোগাযোগ করে। অনিকেত খুব সান্ত এবং ভীষণ ব্যস্ত মানুষ।
সুদিপা শো কেস এর ওপরে রাখা নিজের ছবি টা দেখে। এই শাড়ি টা ও কিনেছিল বাঙ্গালোর এর দোকান থেকে। কাগজ টা দেখতে হটাত ওর মনে পরে দুধ আনতে হবে। তাই নাইটি টা ছেড়ে একটা স্লিভলেস টপ আর কাপ্রি টা পরে নেয়। হাতে ছাতা নিয়ে বের হয় বাজার এর দিকে। এখন বিচ্ছু উঠবে না ও জানে। ফ্ল্যাট থেকে নেমে কিছু টা গিয়েই ই অনুভব করে ওর পিছনে আসছে ওর সামনের ফ্ল্যাট এর লোকটা। ওর আয়ার কাছে শুনেছে এর নাম বাপন পাল। ওর নাকি রাজারহাট এর কাছে দোকান আছে, পয়সা ওয়ালা লোক যাকে বলে। ওর বুঝতে বাকি থাকে না যে ওকে গিলছে বাপন পাল। যাক গে। ও এগিয়ে যায়, গোটা রাস্তা টা ওর পিছন এ এসে বাপন। ও যে দোকানে দুধ নেয় সে ওকে চেনে তাই তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেয় কিন্তু আজ বাপন কে সামনে দেখে ওকে দাঁড় করিয়ে রাখে। বাপন বেশ কিছু জিনিস নেয়। ওর একটু বিরক্তি লাগে, তাড়া দেয় দোকানী কে কিন্তু সে ব্যাবসাদার, যেখানে বেশি লাভ সেদিকেই দেখবে এটাই স্বাভাবিক। বাপন ওর দিকে তাকিয়ে আছে, ওর শরীর টা গিলছে। বাপন এর বয়েস হয়েছে, ৪২-৪৫ এর মধ্যে হবে। হটাত ওকে জিগ্যেস করে- – বৌদি আমাদের বিল্ডিং এ থাকেন না? – হাঁ। সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয় ও। – নাম টা জানতে পারি! আলাপ যখন হল। – আমি সুদিপা। – হাই, আমি বাপন পাল। – ওহ হাই। যত ছোট উত্তর সম্ভব ও দেয় কিন্তু বাপন ছাড়বার পাত্র না। – আমার রাজারহাট এ মাছের দোকান আছে। ইলিশ, চিংড়ি এর আমি কলকাতা অনলি এজেন্ট। – ওহ তাই না কি? সুদিপা অবাক হয়। – আপনাকে আমি খাওয়াব, ইতিমধ্যে বাপন এর জিনিস নেওয়া হয়ে যায়, তারপর সুদিপা কে দুধ দেয় দোকানদার। সুদিপা তাড়াতাড়ি ফিরে এসে দেখে বিচ্ছু বিছানায় শুয়ে খেলছে। ওকে রেডি করে দুধ খাইয়ে কাগজ টা নিয়ে বসে, ইতিমদ্ধে কাজের মেয়ে দোলা চলে আসে, ওর জন্যে ম্যাগি করতে বলে। একটু পরেই দরজায় বেল বাজে। ও খুলতে দেখে হাতে একটা প্যাকেট নিয়ে বাপন দাঁড়িয়ে- – আসুন আসুন। বাপন ভিতরে এসে ওর হাত এ প্যাকেট টা এগিয়ে দেয় – আপনার জন্য, ইলিশ আর চিংড়ি। – কত দেব? জিগ্যেস করে সুদিপা। – এমা। ইস। এমনি খাওয়ালাম। সব কিছু কি পয়সার হিসাবে হয়? আমি তাহলে আসি! – ইসস। তা হয় না কি। একটু চা খেয়ে যান। বাপন এদিক ওদিক দেখতে থাকে। বেশ সাজান ফ্ল্যাট। দোলা চা নিয়ে আসে। সামনে বসে চা খায় সুদিপা আর বাপন। সুদিপার কোলে বিচ্ছু। বাপন বিচ্ছু কে কোলে নেয়, আদর করে। তারপর চলে যায়। বাপন চলে গেলে সুদিপা বিচ্ছু কে কোলে নিয়ে টিভি চালায়, দূরে প্যাকেট টা দেখে ওর মনে আবার আসে বাপনের নাম। লোকটার অসভ্য চাহনি। একটা সিনেমা দেখতে থাকে। হটাত ওর চোখ যায় বাইরের দিকে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাপন। চোখ রাখতেই ওকে ইঙ্গিত করে, চোখ সরালেও মনের অজান্তে চোখ চলে যায়। এবার একটু তাকায়। ওর মনে একটা চঞ্চলতা অনুভব করে। একটু তাকায় একে অপরের দিকে। বাপনের মুখে আলগা হাসি। বেশ কয়েক বার চোখা চুখি হবার পর একটু সরে বসে সুদিপা খেতে খেতে টিভি দেখে আর মাঝে মাঝে তাকায় বারান্দায়। হটাত দেখে বাপন নেই। ওর কেন যেন ফাঁকা লাগে। এমন তো হবার নয়। মিনিট পাঁচ পর দেখে বারান্দায় বাপন। এবার পরনে একটা সর্ট প্যান্ট আর কিছু না। ও তাকায়, গোটা শরীর লোমে এ ঢাকা, ওর দিকে তাকায়। দুজনেই হাসে। কিছু ক্ষণ দুজনের হাসা হাসি চলে। আবার বাপন ঘরের ভেতরে চলে যায়। এর কিছু পর দরজায় বেল বাজে। দোলা দরজা খোলে, তারপর সুদিপা কে ডাকে- তানিয়া গিয়ে দেখে একটা কাজের মেয়ে, ওকে একটা কাগজ দিয়ে বলে ওর মোবাইল নাম্বার তা লিখে দিতে বলেছে বাপন। বুক টা ছ্যাঁত করে ওঠে, দোলা শুনতে পাবে না… সে বিচ্ছু কে দেখছে। পাশের টেবিল থেকে পেন টা তুলে চট করে নাম্বার লিখে দরজা বন্ধ করে দেয়। দোলা চলে যায় রান্না ঘরে। একটু পর একটা অজানা নাম্বার থেকে ফোন আসে। ও ভাবে…তুলবে কি না…একটু পর তোলে। ওপারের পুরুষ কণ্ঠ ‘কি করছেন, তাকান এদিকে’। বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাপন, একটা বারমুডা পরে, গলায় তিনটে সোনার চেন ঝুলছে, বেশ ভাল সাইজ এর। কালো চেহারা হলেও বেশ পুরুষালি এবং সবল, সে কথা বলার দরকার লাগেনা।গোটা বুক পেট লোমে ভরা। সুদিপার কেন জানি একটা অন্য রকম অনুভুতি হয় ওকে দেখে। লোকটা বেশ ভদ্র। সুদিপা বলে ‘ বলুন’। – ‘কি করছেন?’ – ছেলে কে খাওয়াচ্ছি।সুদিপা উত্তর দেয়, – ওহ। আজ দুপুরে চিংড়ি টা বানাবেন। ওটা টাটকা। – নিশ্চয়ই। কথা বলতে বলতে দুজনে চোখের চাওয়া চলতে থাকে। সুদিপা আজ থেকে একবারে একা, স্বাভাবিক ভাবেই বাপন এর সাথে কথা বলতে খারাপ লাগে না। ছেলে টা কে কোন ভাবেই অভদ্র এক্ষণ মনে হয়না সুদিপার। ওর মনে হয় কাউকে আগে থেকে খারাপ ভেবে রাখা ঠিক না। তাছাড়া ও নিজে তো লেখা পড়া জানা মানুষ। বেশ অনেক ক্ষণ কথা হয়। একটু পরে বাপন ভেতরে যায়, ওর কাজের বউ ডাকছে। সুদিপা ও ভেতরে আসে। বিছু টা খেলছে নিজের মনে। সুদিপা কিচেন তদারকি করে আসে। ঘরে ঢুকতেই লক্ষ করে বারান্দায় বাপন, ও হেসে জানলার ধারে গিয়ে বসে। বারান্দায় দাঁড়ালে লোকজন খারাপ ভাবতে পারে। বাপন হাসে। ফোন তুলতেই সুদিপা বোঝে ওকেই ফোন করছে, সত্যি তাই। বাপন ফোন কানে নিয়ে ঘরে ঢুকে যায়। সুদিপা জিগ্যেস করে কাজের মেয়ে টা গেল কি না, বাপন জানায় সে এই চলে গেল। সুদিপা বলে আপনার চিংড়ি টা বানিয়েছি, পাঠাব। বাপন বলে ‘আপনি নিজে দিতে এলে তবে নেব, নচেত না’। সুদিপা অগত্যা রাজি না হয়ে পারে ন। ও বলে যে ‘ঠিক আছে, আসছি’। পোশাক টা পরিবর্তন করে নেয়। একটা শাড়ি পরে। কালকে এটা পরে বেরিয়েছিল অনিকেতের সাথে। ও খুব একটা শাড়ি পরে না তবে আজ পরে, কি যেন খেয়াল হয় ওর। দোলা বিচ্ছু কে নিয়ে বসে আছে, ওকে বলে বের হয় সুদিপা। ঘড়িতে সাড়ে এগারোটা। ওর ফ্ল্যাট এর উলটো দিক, বেল টিপতেই দরজা খোলে বাপন। সামনেই অভ্যর্থনা- – আরে আসুন আসুন। বাপ্পা, এক বারে সেজে গুঁজে নতুন বউটি হয়ে। কথার ধরনে না হেসে পারে না সুদিপা। বাপন এর পরনে চেক জকির বারমুডা। সুদিপার চোখ পরে, বাপনের লিঙ্গ টা বেশ ফুলে উঠেছে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে কারন সে নিজে এবং কোন অন্তরবাস পরে নেই। – আসুন ভেতরে আসুন। স্বম্বিত ফিরে পায় সুদিপা, হাতের কৌটো টা কে খাবার টেবিল এর ওপর রেখে সুদিপা বাপনের সাথে ওর ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে একটা খাট পাতা, দামি পর্দা। ও বসে, একটু দূরে বাপন। কি দিয়ে কথা শুরু করবে, মুখ তুলতেই দেখে বাপন ওকে দেখছে। ও মুখ টা নামিয়ে নিলেও ও মেয়েদের চোখ ও ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে বুঝতে পারে বাপন ওকে দেখছে।
ESTÁS LEYENDO
কামনাসমগ্র (১৮+)
Romanceমানবমনের আদিমতম ইচ্ছার কিছু ভিন্নধর্মী বহিঃপ্রকাশ এর লক্ষ্যে একটি প্রয়াস। প্রতিটি গল্প ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হবে। আপডেট পেতে আমাকে follow এবং subscribe করুন। ঘোষনা: গল্পগুলো শুধুমাত্র ১৮+ বয়সীদের জন্য। N.B: The following stories are only for read...