গুপ্তধন রহস্য(১ম)

269 4 3
                                    

গল্প:গুপ্তধন রহস্য।
লেখক:RAJ ALOM (TAREK)
ছোটবেলা থেকেই পরান নামের ছেলেটা
কোনো কিছুর রহস্য নিয়ে গভেষনা করত।
যার কারনে রাজ্যের সবাই থাকে গভেষক ও
ডাকতো।বেশির ভাগ সময়ই সে গুপ্ত ধন
নিয়ে গভেষনায় লিপ্ত থাকত।
যদিও বাস্তবে সে কখনো গুপ্তধন দেখেনি।
তবুও মনে মনে একটাই আসা ছিলো সে
কোনো একদিন গুপ্ত ধন পাবে।একদিন সে
সুযোগ এসে গেলো।এর কারন হলো ওর বন্ধু
এ্যাশ।এ্যাশের বাবা হলেন এই রাজ্যর
মন্ত্রী।তবুও ক্যানো জানি বাপ ছেলের
মাজে মিল নাই।বাপ একরকম ছেলে এক
রকম।তবু এক দিক দিয়ে দুজনের মিল আছে
সেটা হলো তারা দুজনেই অন্যের দূঃখে
কাতর।একদিন এ্যাশ যাচ্ছিলো রাজ্যের
প্রদান মাদরাসায় হঠাৎ তার চোখে পড়লো
একটা কাঠের বোর্ডের উপর।বোর্ডটা ছিলো
রাস্তার পাশে ধান ক্ষেতে।
বোর্ডে নকশা আকা ছিলো।হয়তো এলাকার
মানচিত্র।তবুও কি মনে করে সে বোর্ডটা
সে কুড়িয়ে নিলো।বোর্ডটা নেওয়ার পর সে
নিজের বাড়িতে রেখে দিলো।
পরের দিন রাজসভায়:
-যে করেই হোক ঐ ম্যাপটা আমাদের
পেতেই হবে(রাজা হাসিব আলি)
-আপনি কোন ম্যাপের কথা বলছেন রাজা
মশাই(মন্ত্রী মানে এ্যাশের বাবা)
-তুমি জানো না পাশের রাজ্যের পাহাড়ে
গুপ্তধন আছে।কিন্তু ঐ পাহাড়ের কোথায়
আছে সেটা কেউ জানে না।আর কেউ গুপ্তধন
নিতেও জায়না কারন এতো বড় পাহাড়ে ভূত
আছে।তাই কেউ নিশ্চিত না হয়ে যাবেনা
ভয়ে(রাজা)
-তারপর।
-কৈলাস রাজ্যের কেউ একজন গুপ্তধনের
নকশা পেয়েছে পরে সে ঐ পাহাড়ে
যাওয়ার জন্য আমাদের রাজ্যে দিয়ে
যাচ্ছিলো।কিন্তু যাওয়ার আগেই নকশাটা
হারিয়ে যায়।তাই কৈলাসে তুমুল আলোচনা
চলছে।এই মুহুর্তে আমরা যদি ওদের সাহাজ্য
করি মানে আমরা যদি ঐ গুপ্তধন কৈলাসের
রাজাকে দেই তাহলে আমাদের রাজ্যের
সাথে তাদের সম্পর্ক ভালো হবে।পুরাতন
শত্রূতাটা কমবে(রাজা)।
-এতে আমাদের শক্তিও বাড়বে(সেনাপতি
আম্রু ভর্মা)
-হুম ঠিক বলেছো সেনাপতি।
-এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে আগে ঐ নকশাটা
মিলবে?(মন্ত্রী)
-হুম।আর কেউ কি যাবে ঐ পাহাড়ে?
-হুম আমার জানামতে একজন আছে এই
রাজ্যের সব থেকে সাহসি যুবক।
-কে সে?
-আমার ছেলের বন্ধু রুমি।
-রুমি!!!!
-জি মহারাজ।
-সে কি আসবে?
-তাকে আসতেই হবে।
-কি ভাবে আনবে?
-ওর প্রানের দুস্ত আমার ছেলে।
আর আমার মনে হয় রুমি ছাড়া আর কেউ
আমাদের এই সমময় পাশে দাড়াবে না।
-হুম রুমি ছেলেটা রাজ্যের গর্ব।
-মহারাজ সুসংবাদ(পন্ডিত)
-কি সুসংবাদ।(মন্ত্রী) -কি সুসংবাদ(মন্ত্রী)
-ধৈর্য্য ধর মন্ত্রীসাহেব(পন্ডিত)।
-হুম তাড়াতাড়ি বলো(মন্ত্রী)
-আমাদের রাজ্যের জন্য প্রচুর আরামের আর
কল্যানময় দিন আসবে।তবে.....
-তবে কি?(রাজা)
-মনে হয় আগামি ৪ বছর পর এই নৌমুজা
নামক রাজ্যটি আর রবে না(পন্ডিত)।
-বলো কি (রাজা)।
-অভ্যন্তরীন কুন্দলে আমাদের রাজ্যটা হয়
ধংস্ব হবে(পন্ডিত)।
-কোনো উপায় নেই কি আমাদের রাজ্যকে
বাচানোর(রাজা)?
-না মহারাজ।এটা ঘটবেই বিধির লিখন
কখনো পরিবর্তন হয়না(পন্ডিত)।
-আমি তাহলে আমার পিতার দায়িত্ব
পালন করতে পারলাম না(রাজা)।
-আপনি এভাবে ভেঙ্গে পড়বেন না
মহারাজা।তবে একটা আছে মহারাজা।
একটা উপায় আছে..
-কি সেই উপায়(রাজা)।
-সে সময় আসবে আরো ৩ বছর পরে।তখন
বলবো।আপনি চিন্তিত হবেন না(পন্ডিত)।
-আচ্ছা পন্ডিত।
-মহারাজা আমার মনে হয় আমরা এই ৪ বছর
সুখে কাঠাবো।এর কারন হতে পারে এই
গুপ্তধন(মন্ত্রী)।
-কিন্তু কিভাবে এই গুপ্ত ধন কিভাবে
আনবো?
-জি আগে নকশার খুজ করতে হবে।
-শুনলাম নকশার রং নাকি হুলুদ আর কাঠের
উপর আকা(সেনাপতি)
-হুম(রাজা)।
নিজের বাবাকে চিন্তিত দেখে প্রশ্ন
করলো এ্যাশ:বাবা আপনাকে চিন্তিত
দেখাচ্ছে কেনো?
-কিছু না এমনি(মন্ত্রী)
-আচ্ছা বাবা বলেন।
-আমি খুব চিন্তায় আছি যা।
-কি নিয়ে চিন্তা।
-আচ্চা তর সব বন্ধুকে বলবি যে তারা কি
কোনো নকশা পেয়েছে?
-বাবা কিসের নকশা?
-গুপ্ত ধনের।
-ওহ বাবা নকশাটা কেমন?
-এমন ভাবে বসছে যেমন সে কোনো নকশা
পেয়েছে?(বিদ্রুপ স্বরে)
-বাবা এই নাও নকশাটা(টেবিলের নিচে
থেকে বের করলো)।
-দেখি তো।
-জি(এ্যাশ)
নকশাটা দেখামাত্রই মন্ত্রীর চোখ জ্বলমল
করে উঠলো বললেন বাহ।
-এই ম্যাপটা কোথায় পেলে?(মন্ত্রী)
-সব কিছু খুলে বললো এ্যাশ।
-সাবাশ বাবা।আমাকে চিন্তামুক্ত করলে
(মন্ত্রী)।
পরের দিন:
মহারাজা আপনাকে গুপনে কিছু বলতে চাই।
মহারাজার কক্ষে গিয়ে মহারাজ কে
মন্ত্রী বললেন:মহারাজা কথাটা আমাদের
লাভের জন্যই।
-বলো(মহারাজা)
-যদি ঐ গুপ্তধন আমরা পেয়ে যাই তবে
আমাদের লাভবান হবো।আর যদি ওরা পায়
তাহলে ওরা লাভবান হবে।
-হুম।
-এমনো তো হতে পারে আমরা কৈলাস
রাজ্যের চেয়ে বেশি শক্তিশালি হয়ে
যাই?
-হুম হতে পারে।আবার নাও হতে পারে তখন
যদি ওরা যেনে যায় আমাদের অবস্হা
কাহিল হবে(রাজা)।
-ওদের কে বুজতে দিবো না আমরা(মন্ত্রী)।
-আচ্চা আমাদের কাছে তো আসলে ঐ
নকশাটাই নাই।এটা আগে বের করো।
-এই দেখুন মহারাজ(মন্ত্রী)।
-চোখ চক চক করতে লাগলো মহারাজের। চক চক করতে লাগলো মহারাজের চোখ।
-বাহ এটা তুমি কিভাবে কোথায় পেলে?(মহারাজ)
-আমার ছেলে পেয়েছে(মন্ত্রী)
-ওহ তাহলে তো তোমার ছেলেকে পুরষ্কিত করতে হয়(রাজা)।
-এটা না হয় পরে করলেন আগে আপনি গোপনে আমাদের রাজ্য থেকে কয়েকজজন সাহসি সেনা আর রূমি,এ্যাশকে পাঠান(মন্ত্রী)।
-কোথায়(মহারাজ)।
-গুপ্তধন বের করতে।
-হুম সেনাপতিকে দিবো?
-না সেনাপতিকে দেওয়ার দরকার নাই।যেকোনো সময় আমাদের উপর আক্রমন হলে আমরা হেরে যাবো।
-আচ্ছা তুমি আমাকে সব কিছু গুছিয়ে বলো।
-রুমি আর আমার পুত্র এ্যাশ ২ জনের বুদ্ধি আছে।তারা যদি যায় তবে হবে।কিন্তু শক্তির জন্য সৈন্য লাগবে।
-আচ্চা হবে।কখন রওনা দিবে তারা?
-কালকে সকালেই।
-আচ্ছা।
পরের দিন রাজ্য থেকে কিছু সৈন্য আর রুমি,এ্যাশ,পরানকে পাঠানো হলো গুপ্তধন আনতে।পরান ওদের বন্ধু তাই তারা পরানকে আনলো। পরান ভালো গভেষনা করতে পারে ম্যাপ।তাই ওকেই দরকার এসময়ে।
-বাবা রুমি তুমি ছাড়া এখন কেউ আমাদের রাজ্যের পাশে আসবে না তুমি একজন বীর। তুমার মতন লোক আমার রাজ্যের গর্ব।(রাজা)
-রাজা মশাই আপনি চিন্তা করবেন না।আমি পারবো আমার রাজ্যের খুশি আনতে।(রুমি)
-আমাকে তুমি চিন্তা মুক্ত করলে বাবা(মহারাজা)
-আমরা ৩ জন যে করেই হোক রাজ্যের জন্য প্রস্তুত(পরান,রুমি,এ্যাশ)।আমাদের জন্য দুয়া করবেন।
-আচ্ছা বাবা।জয়ি হও।
তারা আর ৩০ জন্য সৈন্য আর ঘোড়া নিয়ে বের হলো।
এই ঘঠনাটা শুধু কয়েকজন লোক জানে আর কেউ জানেনা।
রুমি,এ্যাশ,পরান ৩ বন্ধুরই বয়স ১৮ বছর।আর ৩ জন একসাথেই চলে।রুমির অনেক শক্তি।এ্যাশ খুব অভিজ্গ তবে তার শক্তি রুমির থেকে বেশি।তবুও সে কেন জানি দুর্বল।আর পরান গভেষক।
তারা সবাই বের হলো চাতলাপাহাড় নামক বিশাল বড় ও ভৌতিক পাহাড় থেকে
গুপ্তধন আনতে।
এই পাহাড় নিয়ে লোক মুখে অনেক কথা রটে
রটে আছে।কেউ বলে পাহাড়ে নাগ রাজ্য আছে কেউ বলে পাহাড়েটা নাকি নিজেই একটা দৈত্ত আবার কেউ বলে পাহাড়টায় নাকি দেব আমলের দেবতা দের কর্তৃক খারাপ লোকদের জন্য নরক।যারা মৃত্যুর আগে আত্মহত্যা বা ঐধরনের পাপ করেছে।তবে রুমি বিশ্বাস না করলেও বাকি সবাই করে।
তবুও কারো মনে এতোটুকু ভয় নাই কারন পন্ডিত বলেছেন তাদেরকে তোমরা নিশ্চই জয় করে আসবে।
আর পন্ডিত মশাই খুব অভিজ্গ পন্ডিত।
তাদের রাজ জতিষ্যিও খুব অভিজ্গ ছিলেন।রাজ্যের সব বিপদের কথা তিনি অগ্রীম বলে দিয়ে করনীয় কাজ বলে দিতেনন কিন্তু ওনি এবার কোনো কাজে কৈলাস এর মহারাজ এর ডাকে গিয়েছেন।আর কৈলাসের মহারাজা শ্রী শ্রী কুয়াশা যা বলেন তা করেন তাই উনার কথা অনুযায়ী পার্শবর্তী রাজ্যগুলাও চলে।
একদিন পাশবর্তী অমিতনগরের উজির কে ডেকেছিলেন।তিনি ব্যাস্ত ছিলেন তাই ছাফ ছাফ বলে দিয়েছেন তিনি আসবেন না।পরের দিন অমিতপুরের সাথে যুদ্ধঘোষনা দেন।
তাই ওনার কথা মতো যে কেউ আসতে বাধ্য।
কিন্তু রুমি কাউকে ভয় পায়না তবে সবাইকে শ্রদ্ধা করে।রুমি মুসলিম তাই আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায়না।রুমি,এ্যাশ আর পরান যাওয়ার সময় জান্নাত,মনি তাদের দিকে তাকিয়ে ছিলো।পরানের প্রেমিকা মনি আর রুমি এর প্রেমিকা জান্নাত।কিন্তু তারা জানেনা কোথায় যাচ্ছে তবুও জানে রাজ্যের কাজে যাচ্ছে।
রুমি আর পরান চলে গেলো ওদের কাছে।ঘোড়া থেকে নেমে।
-কোথায় যাচ্ছো?(জান্নাত)
-না কোথাও না।একটু বেড়াতে(রুমি)
-আমাদেরকে নিবে না?(জান্নাত)
-একটা কাজ ছিলো তাই মহারাজা বললেন বেড়ানোও হয়ে গেলো আর কাজ ও হয়ে গেলো।(এ্যাশ)
-ওহ তাওলে যাও।ভালো থেকো(মনি)
-তারা দুজন দুজনের হাতে চুমু দিয়ে চলে আসলো।
তখন মনে পড়লো এ্যাশের তার প্রিয়ার কথা।প্রিয়া মহারাজের মেয়ে।দুজন দুজনকে ভালোবাসে রাজ্যে সবাই এটা জানে।
ঘোড়ায় উঠে তাদের দল এগিয়ে যাচ্চে চাতলাপাহাড়ে। একটু পরই দুপুর হলো তারা পাশের একটি
জন্গলের মাঝে বিশ্রাম নিচ্ছে।
সৈনিকরাও বিশ্রাম নিচ্ছে।
যখন তারা ঘুম থেকে উঠলো দেখলো যে
তাদের ঘোড়া গুলো নাই।পাশেই তো তারা
রেখেছিলো ঘাস খাচ্ছিলো ঘোড়া গুলো।
তার মানে অশ্বচুরেরা চুরি করেছি তাদের
ঘোড়া চুরি করেছে।এ্যাশ বলে উঠলো কার
এতো সাহস যে আমার ঘোড়া চুরি করেছে।
আমি খুন করে ফেলবো তাকে।
রুমি বললো তুই খুন করা লাগবে
না আমি দাড়ালেই ওরা মারা যাবে
ভয়ে।
-তুরা চুপ থাকবি?(পরান)
-বল(এ্যাশ)
-আমাদের এখন ডিসিশন নিতে হবে যে
আমরা এখন রাজ্যে ফিরে যাবো নাকি
গুপ্তধন খুজতে যাবো।(পরান)
-চল আমরা রাজ্যে চলে যাই(রুমি)
-না রাজ্যে যাওয়া ঠিক হবেনা।এতে খুব
অমঙ্গল হবে।(এ্যাশ)
-রাখ তর অমঙ্গল(রুমি)০
-হুম এ্যাশ টিক বলসস দুস্ত কারন পাহাড়টাও
আর বেশি দূর না।আমরা বলতে গেলে খুব
কাছে চলে এসেছি।(পরান)
-আর রাজ্যে গিয়ে ওদের খুজ করবো(রুমি)
-আচ্ছা নকশা দেখতো(এ্যাশ)
-নকশা দাও(পরান)
একজন সৈন নকশা দিলো বের করে।
নকশা হাতে নিয়ে দেখলো চারদিকে
তাকালো কিন্তু কোনো কি যেনো দেখতে
পেলোনা।
-কি দেখতাসস(রুমি)।
-দেখতো পাশে কোনো বটগাছ আছে কিনা
(পরান)।
-ওরে পাগলা পরান আমাদের উপরে কি?
(এ্যাশ)
-কেনো আশমান(পরান)
- ভালো করে তাকা(এ্যাশ)
-ওহ।ধন্যবাদ দুস্ত আমরা গুপ্তধনের
পাশাপাশিই আছি।(পরান)
-দেখ গুপ্তধন কুনদিকে।(রুমি)
-হুম আমরা ঠিক সামনের দিকে এগুলো
পাবো তবে বামে মোড় নিতে হবে।(পরান)
-হুম চল(এ্যাশ)
-সাবধান ওখানে বিপদ আছে(পরান)
-কি বিপদ(এ্যাশ)
-জানি না তবে লাল মোটা দাগ দেখ
যাচ্চে
তার মানে বড় কোনো বিপদ(পরান)।
-হুম।(রুমি)০
-আমাদের সাবধানে যেতে হবে।(এ্যাশ)
-হুম(পরান)
-সবাই অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকো আর
যারা পালকি নিয়ে যাবে তারা এক হাতে
পালকি আর এক হাতে অস্ত্র নিয়ে যাবে।
(এ্যাশ)
-জি জনাব(সব সৈন্য একসাথে)
-চলো সবাই(রুমি)
তারা হেঠে হেঠে যাচ্চে।কোনো লোকজন
নেই।চারদিক নিস্তব্দ তবে সৈনদের হাঠার
শব্দে আর নিস্তব্দ বুঝা যায়না।অনেক্ষন
হাঠার পর এ্যাশ বললো তুমরা সবাই
দাড়াও।
-ক্যানো(রুমি)
-একটু শুন(এ্যাশ)
-আমরা যখন হাঠছিলাম তখন অন্য একটা
হাঠার শব্দ পাচ্ছিলাম।জির জির জির
শব্দ।কিন্তু আমরা হাঠা বন্ধ করায় শব্দটাও
বন্ধ হলো।(এ্যাশ)
-পাগল নাকিরে তুই এ জন্গলে এই মুহুর্তে
আমরা ছাড়া আর কেউ থাকবে?(রুমি)
-জানি না তবে আমার মনে হয় কেউ
আমাদেরকে দেখছে।বা অনুসরন করছে।
(এ্যাশ)
-দুর চল(রুমি)
-হুম(পরান)
-আচ্ছা চল তাহলে(এ্যাশ)
তারা আবার চলছে কিন্তু এ্যাশ বিষয়টি
বুজতে পারছে যে তাদের কে আর কেউ
অনুসরন করছে।
হঠাৎ পরান আর রুমি একসাথেই বলে উটলো
হুম কেউ আমাদেরকে অনুসরন করছে।
-আমাকে তো তদের বিশ্বাস হয়না(এ্যাশ)
-বাদ দে এগুলা(পরান)
-আচ্ছা কে তাহলে আমাদেরকে অনুস্বরণ
করছে।(রুমি)
-এটা জানি না।(পরান)
হঠাৎ তারা দেখলো যে বনের মাঝে কেমন
একটা পশু বের হলো ভাল্লুকের মত কালো
তবে মাথাটা শিংহের মতন।আর এমন ভাবে
আসছে যেন যে কাউকে খেয়ে ফেলবে।আর
ভয়ানক হুংকার দিচ্ছে সে প্রানীটা।এসেই
একজন সৈনিককে আঘাত করলো সাথে
সাথে এ্যাশের তরবারি হতে আক্রমন।
লড়াই হচ্ছে মাত্র ২ জনের কিন্তু দেখা বুঝা
যাচ্ছে মহাযুদ্ধ।এ্যাশ আঘাত করলো
প্রথমে প্রানীটার হাতে প্রানীটার শরীর
থেকে রক্ত বের হচ্ছে।প্রানীটা আরো
ভয়নক ভাবে হুংকার দিলো যেনো এ্যাশ
আজকে তার হাতে মরবে। তিব্র ক্ষেপে এ্যাশকে বাড়ি মারলো প্রানীটা।এ্যাশ রাগ করে প্রানীটার হাতে আবার বাড়ি দিলো।প্রচন্ড
রক্ত বের হচ্ছে প্রানীটার হাত দিয়ে। আর তার পরিমান আগের তুলনায় অনেক বেশি।প্রানীটা একটু দূর্বল হয়ে পড়ছে।সে আবার প্রচন্ড জোড়ে ডাক দিলো।সাথে সাথে শুনা গেলো আরো কয়েকটা প্রানীর ডাক।রুমি,পরান ও অস্ত্র খুলে সে প্রানী গুলার বিপক্ষে যুদ্ধ করছে।অনেক মস্ত লড়াই হলো তারপর তারা(প্রানীগুলা) মারা গেলো।
-তর কিছু হয়েছে(রুৃমি)
-নাহ তেমন কিছু হয়নি তবে মাথা ঘুরছে।তদের কিছু হয়েছে?(এ্যাশ)।
-নাহ ্(পরান)
-তাহলে যাওয়া যাক।(এ্যাশ)
সবাই হাঠছে। প্রায় অন্ধকার হয়ে গেছে।
পরান-আমরা এখানেই তাবু স্হাপন করবো?
-হুম করে ফেলো(রুমি)
-হুম করো(এ্যাশ)
-তাহলে তাবুটা স্হাপন করা হক।সবাই পালকি গুলা থেকে তাবুর কাপর বের করো(পরান)
-আর তাবু ৩ টা হবে আর প্রতি তাবুতে ১০ জন করে সৈন্য থাকবে।(এ্যাশ)
-আমরা এখানে আমরা সমস্হ লোক মিলে হলাম ৩৩।কিছু সময় এরা পাহাড়া দিবে কিছু সময় অন্যরা।প্রত্যেক তাবুতে আমাদের ৩ জনের একজন থাকবে।১০ জন করে পাহাড়া দিবে(রুমি)।
-এবার মাশাল জ্বালাও।(এ্যাশ)
সৈনরা মাশালের কাজে ব্যাস্ত।মাশাল জালানোর পর।তারা সবাই তাবুও স্হাপন করা শুরু করলো।তারা ঠাঙ্গালো।
তারপর খাবার বের করে সবাই রাধা শুরু করলো।হাড়ি পাতিলে রাধা হচ্ছে সবাই খুশি।পরান রাধার কাজে সবাইকে সাহায্য করছে রুমি আর এ্যাশ একসাথে দাড়িয়ে গল্প করছে।প্রেমের গল্প, নানা গল্প।
এ্যাশ পড়া লেখার জন্য সুদুর চীনে গিয়েছিলো।ওখানে তার নাম হয় এ্যাশ।তবে সে আসার পর পুরাতন বন্ধু রুমি, পরানের সাথে তেমন কথা হয়নি।দুজন জমিয়ে আড্ডা করছে।রুমি জান্নাতের কাহিনী বলছে আর এ্যাশ প্রিয়ার।প্রিয়া কে নিয়ে তার নানা স্বপ্ন তবে সে চায়না সে প্রিয়া কে বিয়ে করে রাজা হক।সে নাকি নানা স্বপ্ন দেখে যে সে প্রিয়াকে হারিয়ে ফেলবে।নানা দুঃসপ্ন দেখে সে। রুমিও হাসছে এসব শুনে।রুমিও জান্নাতকে প্রানের চেয়ে বেশি ভালোবাসে।
সে নাকি জান্নাত কে বিয়ে করে।সৈনদের শিক্ষা দেওয়া বাদ দিয়ে দিবে।
গল্প চলছিলো এ্যাশ আর রুমির ফজলামির।
এমন সময় ডাক দিলো পরান।
-তুরা খেতে চলে আয়(পরান)
-হুম(এ্যাশ)
তারা গেলো খেতে।
-পানি কোথায় পেলে?
-পাশের ঝর্ণা থেকে তারা পানি আনলাম।পরিষ্কার পানি।এর পরও আরো একবার পানি গুলা পরিষ্কার করে আনলাম।(পরান)
-বাহ পাশে ঝর্ণা আছে।(এ্যাশ)
-হুম।
-তাহলে ভবিষ্যতে আসবো।(রুমি)
-আচ্ছা দুস্ত নকশা বের করতো(এ্যাশ)
নকশা বের করে বললো।
-আমরা কোথায় আছি?(এ্যাশ)
-আমরা ঝর্ণার পাশে আছি এই জায়গায়।আর এটা বিপদ মুক্ত জায়গা।
তারা আর সব সৈনিক মিলে খাওয়া দাওয়া করছে।
-বাহ খুব মজা কে রাধলো?(এ্যাশ)
-তর বন্ধু(পরান)
-খুব ভালো রাধিস রে তুই।(রুমি)
-তারা খেয়ে হাত দুয়ে।সবাই সবার সাথে কুলাকুলি করলো মানে এ্যাশরা আর সেনার।
সবাই নিজেদের তাবুতে গেলো ঘুমিয়ে পড়লো সবাই।আর এ্যাশ আর তার ১০ জন নিয়ে সে পাহাড়ায় আছে।অনেক্ষন পর রুমির দল।তার পর পরান এর দল।এভাবে রাত কাঠিয়ে দেয় তারা।
পরের দিন সকালে।তারা নাস্তা করেই বেড়িয়ে পড়লো। তারা তাবু আঠানোর পর পলকিতে সব
জিনিসপত্র ডুকালো।তারপর হাঠা শুরু
করলো।হাঠতে হাঠতে তারা চলতে লাগলে
গুপ্তধনের পথে।পরান তাদের দলকে ঠিকঠাক
ভাবেই নিচ্ছে।পরান সবার আগে চলছে।
তার পেছন পেছন সবাই।একসময় পরান লক্ষ
করলো একটা পুকুরের কাছে তারা এসেছে।
পুকুরের পাশে খুব বড় একটা ঘোড়া।
ঘোড়াটিকে দেখার পরই এ্যাশকে বললো
ঘোড়াটিকে মেরে ফেলতে।কারন ঐটা
কোনো অশুভ শক্তি।কারন ম্যাপে পুকুরের
পাশে একটা লাল দাগ আছে।তাই এটা
আমাদের জন্য মারাত্মক বললো পরান।
এ্যাশ কথা মতো গিয়ে ঘোড়াকে মারতে
গেলো।কিন্তু ঘোড়া ক্ষেপে গিয়ে
এ্যাশকে মারার চেস্টা করলো।এমন সময়
তাদের একজন সৈনিক তীর ডুকিয়ে দিলো
ঘোড়ার বূকে।
সৈনিকটাকে ধন্যবাদ দিলো
পরান,এ্যাশ,রুমি।তারপর আবার যেতে
লাগলো পরান,এ্যাশ আর রুমির দল।তারা
সামনে একটা গুহা দেখলো।পরান নকশা
দেখেই চলছে।নকশাতে একটা গোল চিন্হ
তার পাশেই ৭টা গাছ।তার মানেই এই
গুহাকে গোল চিন্হ দ্বারা প্রকাশ করেছে।
আর এটাই গুপ্তধনের জায়গা।
পরান সবাইকে বললো ভাইসব আমরা
গুপ্তধনের পাশাপাশি এসে পৌছেছি।
আমরা এখন খুব সতর্ক থাকতে হবে।কারন
ওখানে খুব বিপদ।
তারা একে একে সবাই ডুকলো গুপ্তধনের
গুহায়।
-বাহ খুব সুন্দর গুহা (এ্যাশ)
-বিপদ ও হবে বেশ সুন্দর(রুমি)
-হাহাহাহা।
তারা দেখলো যে আস্তে আস্তে গুহার
পথটা বড় হচ্চে। আর তারা হেঠেই চলছে।
একটা সুরুং এর মতন জায়গা দিয়ে।সুরুং
দিয়ে ডুকতে ডুকতে তারা দেখলো যে বড়
একটা ঘরে গিয়ে পৌছিয়েছে।সুরুং শেষ
হওয়ার পর
-কিরে এতো বড় গুহা(এ্যাশ)
-এটা কে গুহা বলে?হাহাহা(রুমি)
-হাসিস নারে।এটা একটা বিপদ কিন্তুরে।
কারন লাল দাগ আছে এখানে।(এ্যাশ)
-হুম।বিপদ সংকেত।(রুমি)
-আচ্চা পরান তুই দেখতো আমরা কোন
জায়গায় আছি(এ্যাশ)
-ইয়ার আমরা কোথায় আছি তা বলা সম্ভব
না।কারন মাঠির নিচের কোনো জায়গা
ম্যাপে থাকেনা।তবে বিশেষ কারনে
সংকেত থাকে।(পরান)
-হুম।এটাইতো(একটু মনমরা হয়ে এ্যাশ)
-আচ্ছা পরান চল খুব সুন্দর একটা দেওয়াল
আছে।আর দেয়ালেই খুব সুন্দর কারুকার্য।
দেখ।(রুমি)
-দেয়াল!!!(পরান)
-হুম(রুমি)
-ওহ।দেয়াল।দেয়াল এর সংকেত আছে।তবে
সেটা গোলাপি কালারের।মানে বিপদ
সংকেত কিনা বুজা যাচ্চে না।(পরান)
-আচ্চা দাড়া আমি যাচ্ছি(এ্যাশ)
হাতের অস্ত্রটি বের করে এগিয়ে যাচ্চে।
দেয়ালের যাওয়ার পরই সে দেয়ালের দিকে
পিট করে বললো।
-কিরে দোস্তরা এখানে তো বিপদই নাই।
হাহাহা।
সাথে সাথে দেয়ালে হেলান দিলো।আর
দেয়ালের ভিতরের কোনো অদৃশ্য শক্তির
কারনে সে যেনো পিছনে চলে গেলো।
এ দৃশ্যটা দেখার জন্য কেউ প্রস্তুত
ছিলোনা। দেখামাত্রই রুমি তাকে এ্যাশ
এ্যাশ করে ডাক দিলো।
-এটাতে কোনো অদৃশ্য শক্তি আছে(পরান)
-হুম। আমরা সবাই দেয়ালে গিয়ে ডুকে যাই।
তাহলে আমরা আলাদা হবো না।
-হুম তাই করি(পরান)
সবাই একসাথে ডুকে গেলো দেয়ালে।
দেয়ালের ঐপাশে যাওয়ার পর তারা এক
অদ্ভুদ দুনিয়া দেখলো।আর তাদের পাশেই
এ্যাশ দাড়িয়ে আছে।
-আমি জানতাম তুমরা আসবে।(এ্যাশ)
-তকে ছাড়া কি আর আমরা যেতে পারি।
(পরান)
-নারে দুস্ত(এ্যাশ)
-এখন কি করবো বল(রুমি)
-আমরা একটু ঘুরে দেখবো এই নগরি টা।
(পরান)
-হুম আচ্চা চলো(এ্যাশ)
তারা একটু একটু করে করে দেখতাসে
নগরীটা।খুব সুন্দর একটা নগর।অনেক শান্ত।
কোথাও কোনো চেচামেচি নাই।নাই
কোনো শব্দ।এমন শান্তি পূর্ণ এলাকায় যদি
তারা থাকতে পারতো।তবুও তাদের রাজ্য ও
কম শান্তি পূর্ন নয়।তারা হাঠতে হাঠতে
একটা নদী পেলো।নদীটার পানিও ছিলো
খুব কম।তাই পরান আর এ্যাশ নামলো। সাথে
সাথে ভয়নক একটা দৈত উঠলো।
আর পরান,এ্যাশ ছিটকে পড়লো।
-কার এতো সাহস আমার রাজ্যে এসে আমার
গোসলে এসে বিরক্ত করে।(দৈতটি হুংকার
দিয়ে) দৈতটির হুংকার শুনে সবাই ভয় পেয়ে যায় এ্যাশ বলল তুই কি হস এখানের?
-আমি এখানের অধিপতি(দৈতটি)।
-আচ্ছা তুমি কি আমাদের বলতে পারবে এখান থেকে কিভাবে বের হতে পারবো?(এ্যাশ)
-তুরা বের হতে পারবি না কখনো।আমি তদের খেয়ে ফেলবো।(দৈত)
একটু ভেবে বললো এ্যাশ
-আচ্ছা খাবে খাবে তার আগে বলো আমরা বের হবো কিভাবে।তাহলে আমরা মরেও শান্তি পাবো।(এ্যাশ)
-তুরা ঐখানে একটা কালি পাহাড় দেখবি ঐপাহাড়ের পাশেই একটা দরজা আছে সেই দরজাতে গা লাগলেই তুরা য়েখান থেকে আইসস সেখানেই চলে যাবি(দৈত)
-আচ্চা তাহলে আমরা যাই(এ্যাশ)
-হুম যা।না না তুরা কোথায় যাবি তদের তো আমরা খাবো।
-কি আরো কেউ আছে?
-হুম।
সাথে সাথেই খুব জোড়ে একটা ডাক দিলো।
কিছুক্ষন পরই আকাশ সমান দৈত্তরা আসতে লাগলো মৃত্তিকা কাপিয়ে।
এ্যাশের বাম হাতের দড়িটা জ্বলে উঠলো।
ঐ দড়িটা ওর দাদা তাকে ছুটোবেলা দিয়েছিলেন।কোন দৈত আসলেই এটা জ্বলে উঠবে।আর তখনই এ্যাশ তার সমস্ত কিছু ভূলে গিয়ে মহা লড়াই এ যোগ দিবে।রাজ্যের কাজে আসার জন্য এটা এ্যাশের হাতেই পড়িয়েছিলেন।
এ্যাশ তখনই তরবারি বের করে শূন্যের উপর ভর করে একটা দৈতের গলা কাঠলো।তারপরই তার হাতে কোনো অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে তীর চলে আসলো।
তীরটা পাওয়ার পরই সে একটা দৈতের চোখে আঘাত করলো।এভাবে সে সব দৈত্তকে মেরে ফেললো।
তারপর তারা এগুতে লাগলো পর্বতের দিকে।
সামনে একটা কুড়েঘর পেলো তারা যখনই কুড়েঘরে পা দিলো এ্যাশ তখনই দেখলো কুড়েঘর অদ্ভুদ শব্দ হচ্চে।তখন সেখান থেকে একটা রাক্ষস বের হলো।তারপর রাক্ষস টা বললো সে তাদেরকে মেরে ফেলবে।এ্যাশ সাথে সাথেই গলা নিচে ফেলে দিলো কেঠে।
তার পর তারা কুড়েঘরটার ভিতরে ডুকলো।
-আরে এখানে দেখি স্বর্ন(এ্যাশ)
-স্বর্ণ!!!!!
-হ ভাই স্বর্ন(এ্যাশ)
-তাড়াতাড়ি সবাই পালকিতে ডুকা।
তারা সব স্বর্ন,হিরা পালকিতে ডুকালো।৩ টা পালকির ভিতরে ২টাই পরিপূর্ণ।আর ১ টায় খাদ্য আর তাবুর কাপড় রাখলো।ডুকানোর পর ঐ কুড়েঘর থেকে বের হয়ে পর্বতের দিকে যেতে লাগলো।
পাহাড়ের নিচে বিশাল নদী দেখলো।
নদীটির ওপারেই পর্বত।কিন্তু পর্বতের উপরে যাবার আর কোনো রাস্তা নাই।
পরান চিন্তা করছিলো।
-আমরা ওখানে কিভাবে যাবো?(রুমি)
-দাড়া ভেবে নেই(এ্যাশ)
-হুম বুদ্ধি মিলসে(পরান)
-কি বুদ্ধি।তাড়াতাড়ি বল।(রুমি)
-আমাদেরকে এখন নীলাদ্র সাহায্য করবে।(পরান)
-নীলাদ্র!!!!!!!!(সবাই অবাক)
নীলাদ্র ছিলো এই রাজ্যের রাজকুমার গত ৩ বছর আগে সে মারা গেসে।সে আসলে মারা যায় নাই স্বাভাবিকভাবে।তবে তার শরীরে অশরীরে ডুকে যায়।তারপর অনেক কিছুর পর তার শরীর হতে আত্মা বের করা হয় এবং সাথে নীলাদ্রেরও মৃত্যু ঘটে।নীলাদ্র শরীরে যখন আত্মা ছিলো তখন সে হিংস্র প্রানীর মতো হয়ে গিয়েছিলো।তারপর সে ৫/৬ কে খুন করেছিলো।তাই তার শরীর হতে আত্মা বের করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকেনি।তাই বের করতে সময় মারা যায়।নীলাদ্র এ্যাশদের প্রিয় বন্ধু ছিলো।আর প্রিয়ার ভাই ছিলো।
যাই হক নীলাদ্র মারা যাবার পর এ্যাশ আর পরান একদিন দেখলো নীলাদ্র ওদের ধন্যবাদ দিচ্ছে।কারন তারা তাকে ঐ আত্মা থেকে মুক্তি দিছে এর জন্য।আর বলছে একদিন তাদেরকে সে সাহায্য করবে।তাই আজকে নীলাদ্র এর
সাহায্য নিয়া তারা যাবে।অতঃপর তারা নীলাদ্রকে ডাক দিলো চোখ বন্ধ করে।চোখ খুলতে হলো একটা রশ্মির কারনে।খুলে দেখলো নীলাদ্রকে।নীলাদ্র একটা আলখেল্লা পড়ে ছিলো শূন্য অবস্তায়।
নীলাদ্র তো এতো খুশি বুঝানো যাবেনা।পরান বললো দুস্ত পর্বতে উঠার বুদ্ধি দে।
-শালা পর্বতে উঠার বুদ্ধি দিমু না তগো।(নীলাদ্র)
-ক্যান দুস্ত?(এ্যাশ)
-তগো আমি ডাইরেক্ট পর্বতেই নিমু।(নীলাদ্র হেসে হেসে)
-ধন্যবাদ দুস্ত(এ্যাশ)
-আরে ধন্যবাদ কিসের?তুরা জানস না আমার শরীর থেকে আত্মা বের হয়ে যাবায় আমি কতটুকু শান্তি পেয়েছি।(নীলাদ্র)
-কিভাবে?তুই তো মারা গেলি তখন(পরান)
-ঐ সময় আমার শরীরে অনেক জ্বলাপুরা করতো ঐ শয়তান থাকা সময়ে।তাই আমি বাইচা গেসি তগো কারনে।দেখ আমি কত খুশিতে উরছি(নীলাদ্র)
-দুস্ত তুই আমাগো লগে না এর জন্য খুব কস্ট হয়রে।(এ্যাশ)
-দুস্ত আমি তো তগো লগেই আছি।(নীলাদ্র)
-হুম(এ্যাশ)
-এখন তুই আমার বোনটারে সুখে শান্তিতে রাখিস দুস্ত বিয়ে করে।
-হুম।(এ্যাশ)
#next coming. ...

কাল যুগ/এ্যাশ সিরিজDove le storie prendono vita. Scoprilo ora