দ্যা ডেবিল প্রিন্স(১ম)

80 4 4
                                    

গল্প:#দ্যা_ডেবিল_প্রিন্স
লেখক:RAJ ALOM(TAREK)
এক,,,,
রাজ্যের নাম নৌমুজা।রাজ্যটা ১৩ শতকের মাঝামাঝি সময় ধংস হয়ে যায় অভ্যন্তরীন কুন্দলে।ধংস হওয়ার প্রায় ১২/১৩ বছর পূর্বে,,,,১৩৪১ সাল-
প্রায় ৫ বছর পর চীন দেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজ্যের রাজ্যে ফিরছে এ্যাশ।রাজ্যে গিয়ে সে কারো মুখেই
হাশি দেখতে পেলো না।এই তো ৫ বছর আগেই সে রাজ্যে ছিলো কতই না হাসি খুশি আর শান্ত ছিলো রাজ্যটা।সে ছিলো রাজ্যের সবার নিকট প্রিয়।সে হলো এই রাজ্যের মন্ত্রী এর ছেলে।তার মতই একজন ছিলো সবার প্রিয় সে হলো এই রাজ্যের রাজকুমার নীলাদ্ররাজ।মহারাজা হাসিবরাজের ছেলে নীলাদ্ররাজ।সে(এ্যাশ),নীল(নীলাদ্র),রুমি,পরান(তাদের বন্ধু) তারা এই রাজ্যের খুব পরিচিত মুখ ছিলো।তার উপর এ্যাশ আর রাজকন্যা প্রিয়ার বিবাহ যে হবে তা সবাই জানে।কারন এ্যাশের বাবা(মন্ত্রী) আর মহারাজা ২ জনই ভালো বন্ধু ছিলো।এ্যাশরা(নীলাদ্র,রুমি,পরান) সবসময় হাসি খুশি ভাবে সবার সাথে চলতো।
সবাই তাদের আদর করতো।তারা শীতের সময় সবার বাড়িতে গিয়ে শীতের পিটা খেয়ে আসতো।কারো কোনো সমস্যা হলেই তারা দেখতো সবার আগে।এর জন্য রাজার চেয়েও রাজপুত্রকে সবাই ভালোবাসতো।রাজাও কম ছিলেন না।সব সময় সবাইকে সাহায্য করতে ব্যাস্ত থাকতেন।তার প্রজারাও খুশি।কিন্তু এই সময় কেনো এই রাজ্যটা এতো নিরব।সবার মুখের হাসিটা যেনো কেড়ে নিয়েছে।সবাই চিন্তিত।
দুই,,,,
এ্যাশ বাড়িতে ফিরেই তার বাবাকে জিগ্যেস করলো কেনো সবার মুখে হাসি নাই?
-----(তিনি চুপ)
-বাবা বলোনা কি হয়েছে(এ্যাশ)
-রাজকুমার এর কি হয়েছে(মন্ত্রী)
-বাবা কি হয়েছে?
-রাজকুমার এর আচরন গুলার পরিবর্তন হয়েছে।যেনো তার শরীরে অন্য কোনো কিছুর আছর হয়েছে।
-রাজ জোতিষ্যি কি কিছু বলেছেন?(এ্যাশ)
-হুম।বলেছেন ওর নাকি মারাত্মক সমস্যা হয়েছে।তবে ওর সমস্যাটার সমাধান ও খুজে মিলছে না।
-আচ্চা আমি রাজ প্রসাদে যাবো।
-তুই ভূলেও য়াবি না।
-ক্যানো বাবা?
-ও তকে মেরে ফেলবে।
-আমাকে মারার মতো শক্তি এখনো হয়নি এ ধরনীর কারোই।
-মানে?
-আমি চীন থেকে শুধু পাঠ্য পুস্তক নয় আমি লড়াই ও শিখেছি।আমার কুংফু শিখা প্রায় শেষ।
-ওর শরীরে অশুভ শক্তি তুই পারবিনা।আবেগের বশে পড়ে খামুখা নিজের জিবন নস্ট করিস না।
-হুম আমি তো শুভ শক্তি।আমি পারবো ঠিকই।
-আচ্চা দাড়াও দাদু ভাই।এই রসিটা হাতে রাখো।যদি এটা জ্বলে উটে তাহলে তুমাকে কেউ পরাস্ত করতে পারবেনা।আর এটা বাম হাতেই রাখবি। (এ্যাশের দাদু)
-ধন্যবাদ দাদু(এ্যাশ)
-বিজয়ী হও।
পরের দিন এ্যাশ চলে গেলো রাজ প্রাসাদে।সবাই তাকে দেখে ছুটে আসছে।সেও সবার সাথে কুলাকুলি করে নিলো।এমন সময় প্রিয়ার আগমন।
এ্যাশ যখনই ওর দিকে তাকালো আর চোখ ফিরাতে পারছিলো না।কারন প্রিয়াকে খুবই সুন্দর লাগছিলো।পরির মতো একদম।তবে তার চোখের কোনে পানি দেখতে পেলো এ্যাশ।
সে এগিয়ে গিয়ে বললো কেমন আছো প্রিয়া?
-------(চুপ করে আছে প্রিয়া উল্টো দিক ফিরে)
-আরে আমার উপর রাগ করলা নাকি?(এ্যাশ)
-হুম।
-এতো মহাবিপদ।
-কিহহহহহ😡😡😡😡(প্রিয়া)
-না কিছু না।কেমন আছো বলবেনা?
-আমি ভালো নাই।
-কেনো ভালো নাই বলবেনা?
-না।
-বলোনা।
-আমি কত কস্ট পাইসি এই ৫ বছরে জানো?
-হুম।তুমিই তো সব কস্ট পেলে আমি পাইনি?
-না তুমি পাওনি।পেলে তো আমার খুজ নিতে।
-আচ্ছা মাফ করো আমায়।আমি আর কোনো দিন যাবোনা।তুমাকে ছেড়ে।
-সত্যিতো(অভিমানি স্বরে)
-হুম ৩ সত্যি।
-এবার একটু হাসো।
সে হাসি দিলো।তারপর এ্যাশকে জড়িয়ে ধরে কান্না দিলো।এ্যাশ চোখ মুছে বললো নীলাদ্র এর কি হয়েছে?
-খুব খারাপ কিছু ওর শরীরে আছে।মাঝে মাঝে আমাকেও মারধর করে।একদিন একজন লোককে মেরে ফেলেছিলো।এতই শক্তি যে কেউ তার শরীরে ছুতে পারেনা।আর খুবই রাগি হয়েছে সে।
-আচ্চা আমি গিয়ে দেখি ওর কি হয়েছে।
-হুম য়াও।তবে সাবধানে যাবে।
-হুম।ওর রূম কোথায়?
-উপরের বাম পাশের শেষ রুমে।
-আচ্ছা যাচ্চি তাহলে।
-হুম।(একটু হাসি দিয়ে)
এ্যাশ ঐ রুমে ডুকার আগে মহারাজা,মহারানি কে দেখতে পারলো।
সে গিয়েই তাদেরকে সালাম করলো।তারাও সালামের উত্তর দিলেন। মহারানী বললেন বাবা কেমন আছো?
-জি মহারাজা ভালো আছি।আপনার?
-আমরা আর কেমন থাকতে পারি বলো বাবা?(মহারাজা)
-মহরাজা চিন্তা করবেন না চিন্তা করবেন না।আমি আছি আপনাদের সাথে।নীলাদ্র ঠিক ভালো হয়ে যাবে।
-তাই যেনো হয় বাবা।তাই যেনো হয়।
তারপর এ্যাশ ডুকলো গিয়ে নীলাদ্র এর রূমে।সেখানে গিয়ে দেখলো কয়েকজন সৈন তাকে জোড়াজোড়ি করছে।আর সে বলতেছে এই ছেড়ে দে আমায় এই ছেড়ে দে।
এ্যাশ গিয়ে বললো তুমরা ওকে ছেড়ে দাও।আমি দেখতাসি ওকে।
তারা ছেড়ে দিলো।তারপর এ্যাশ তাদের বাহিরে যেতে বললো।তারা বাহিরে চলে আসলো।এ্যাশ গিয়ে নীলাদ্র এর পাশে গিয়ে বসলো।নীলাদ্র খানিকটা খালি গায়ে ছিলো।সে গিয়ে তাকে বললো যে সে কেমন আছে?
-ভালো না।
-ক্যানো ভালো না।বলতে পারবেন?
-নাহ।আমি কাউকে বলিনা।
-ওহ।তো আপনি নীলের শরীরে ক্যানো প্রবেশ করলেন?
-শালা তর রাজ জোতিষ্যির নাক ফাঠিয়ে দিয়েছিলাম।তর ও কি ওর মতন নাক ফাটানোর শখ হলো?
-না না।আমি এমনিতেই বলছি।
-হুম।এখান থেকে চলে যা।
-আচ্ছা।
তার পর এ্যাশ প্রিয়ার সাথে একটু মিলে চলে গেলো তাদের মাদ্রাসার সামনে।মাদ্রাসাটা হলো একটি ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা।আর। এর সামনে একটা বড়ই গাছ আছে।ঐটাতে বসে ছেলেরা আড্ডা দেয়।এ্যাশ ঐখানে যাওয়ার কারন হলো পরান আর রুমি।
গিয়েই পরানদের পেয়ে গেলো।
-দুস্ত(এ্যাশ)
-আরে দুস্ত।তুই আইলি(বলে দৌড় দিয়ে কুলাকুলি করলো তারা ২ জন এ্যাশ এর সাথে)
-আচ্ছা দুস্ত নীলের এ কি হলো বলতে পারস?(এ্যাশ)
-শালা আমাগো পিটসে।খুব শক্তি হইসে ওর শরীরে রে(পরান)
-হুম রাজ পরিবারের মগডাল খেয়ে হাহাহা।(রুমি)
-হা হা হা।(এ্যাশ)
-আচ্ছা ওর তো শরীরে নিজের কোনো নিয়ন্ত্রন নাই তাই আমরা ওর শরীর থেকে আত্মা বের করার কাজ করি।(পরান)
-কিভাবে করবি?রাজ জোতিষ্যি যেখানে কিছুই করতে পারেননি সেখানে তুই।হাহাহা।(রুমি)
-আমার সব কথায় মজা উড়ায় হালা(পরান)
-আচ্চা বাদ দে।এখন আমরা শুনবো পুরা কথা।ওকে?

🎉 কাল যুগ/এ্যাশ সিরিজ hikayesini okumayı bitirdin 🎉
কাল যুগ/এ্যাশ সিরিজHikayelerin yaşadığı yer. Şimdi keşfedin