আকাশের লাল প্রদীপ নিভে যাচ্ছে প্রায়,
তীরে পৌছুবে তাই জেলেরা হাত দিল বৈঠায়,
পাখিরা দিয়ে গেলো নিরবতার শেষ সঙ্কেত,
শিশুরা দৌড়ে বাড়ি যায়, ধরে যদি প্রেত,
কারো কুটিরে আবার হারিক্যান, মোম জ্বলে,
রাতের আধার টা একটু কমিয়ে দিবে বলে,
তবুও অন্ধকার যেন আরো বেড়ে যায়,
আমাবস্যা থাকে পূর্নিমা রাতের প্রত্যাশায়,
সবকিছুই যেন ব্যাস্ত, বাতাস পাতা নাড়িয়ে দিয়ে যায়,
সবশেষে সুনসান নিরবতা যেন দেয় সায়।
হঠাৎ জোনাকিরা কি যেন দেখে জ্বালায় প্রদীপ।
একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে যেন নিশ্চল, নির্জীব।
দাঁড়িয়ে থাকা সেই মেয়েটি;
যার চুলগুলো উড়ছে,
কেননা বইছে মৃদু বাতাস
চোখের কোণে যার একফোঁটা জল,
যেন এক বিস্তর কষ্টের ইতিহাস।