বিকালটা রৌদ্রজ্জ্বল ছিল কিন্তু সন্ধ্যার একটু আগে আকাশে বেশ মেঘ করল। এরপরেই মুষলধারে বৃষ্টি। রাত নয়টা নবনী বাসার দরজার সামনে দাড়িয়ে। তার সারা শরীর ভিজে গেছে। কলিং বেল চাপছে আর ভাবছে ক্যানো যে ছাতাটা নিয়ে গেল না। কিছুক্ষণ পর নিলয় দরজাটা খুলে দিল। নবনী নিলয়কে দেখে বেশ অবাক হয়েছে। নিলয়কে দেখে মনে হচ্ছে সে একটু আগে বৃষ্টিতে ভিজে এসেছে।
--- তুমি ভিজলে কি করে?
--- না আসলে হঠাৎ এতো বৃষ্টি দেখে একটু ভিজতে ইচ্ছে করল তাই ছাদে একটু..। আচ্ছা নবনী চা খাবে?
---হুম।
--- তুমি তাহলে ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি দিচ্ছি।
সে রাত থেকেই নবনীর ভীষণ জ্বর। অসুখটা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাত দিনের দিন নবনী মারা গেল। সেদিন নিলয় খুব কেঁদেছিল। এভাবেই কেটে গেছে তিনটি বছর। আজকের বিকেলটা নিলয়ের খুব পরিচিত মনে হচ্ছে। শ্রাবণের বিকেল। তবে আকাশটা পরিষ্কার। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হলো। নবনীর কথা আজকে খুব মনে পড়ছে। নিলয় চেয়ারটা টেনে টেবিলের সামনে বসল। ভাবছে নবনীকে একটা চিঠি লিখবে। সে জানে নবনী কোনদিন ফিরে আসবে না। তার লেখাগুলোও পড়বে না। তবুও সে লিখতে বসেছে।