ইভা মির্জা :
উফফফ, এই অ্যালার্মের শব্দটা আমাকে আর ঘুমাতে দিলো না। সকাল সাতটা বাজে, নয়টা বাজে ক্লাস আছে। আমি আমার নরম বিছানা ছেড়ে উঠে ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং টেবিলে এসে বসলাম।
এসে দেখি বাবা পেপার পড়ছে আর মা ব্রেকফাস্ট তৈরি করছে।
আমি কিছু বুঝি না, কেনো আমার বাবা - মা রান্না করার জন্য সেফ রাখতে চাননা।
আমরা যথেষ্ট পরিমাণে ধনী যে দেশের সবচয়ে বেস্ট সেফ রাখতে পারি। কিন্তু বাবা মা বলেন নিজের হাতের খাবারের মজাই আলাদা।ওহহ sorry, আমিতো আমার পরিচয়ই দিলাম না।
আমি ইভা মির্জা।
ধনী বাবা - মার একমাত্র মেয়ে। বন্ধুরা আমাকে ইভা বলে ডাকে, আমার বাবা - মা বিজনেসম্যান। বাবা - মা বেশির ভাগ সমই বিজনেস এর জন্য বাহিরে বাহিরে থাকে।
বাবা - মা যখন থাকেন না, তখন আমাকে দেখাশোনা করার জন্য একজন বুয়া থাকে।আমি কলেজের একজন পপুলার মেয়ে, বন্ধুরা সবাই আমার কথায় উঠে বসে। কিন্তু আমার এ্যাইসব ভালো লাগে না।
তবে আজ সন্ধ্যাটা মনে হয় ভালো যাবে, কারণ আজ সন্ধ্যায় রাব্বির বাসায় পার্টি আছে, ও প্রায়ই পার্টি দেয়, আর পার্টিতে খুব মজা হয়।
ওকে আমি নাস্তা করার জন্য ডাইনিং টেবিলে বসার পর বাবা বললো, আমার রাজকুমারীর ঘুম কেমন হয়েছে, আমি বোরিং হয়ে বললাম ভালো।
যাইহোক আমি নাস্তা শেষ করে বাবা - মাকে বায় বলে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। বাহিরেই দারোয়ানটা আমার গাড়ি বের করে রেখেছে তাই আর বেশি দেরি হলো না।কলেজে এসে গাড়ি পার্ক করার আগেই দেখি আমার সেই ছেছড়া ফ্রেন্ডস গুলো দাড়িয়ে দাড়িয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে ।
রিম্মকি আমাকে হ্যালো বললো, আমিও শুকনো মুখে ওদেরকে হ্যালো বলে ক্লাসের উদ্দেশ্যে হাটতে শুরু করলাম, আর ওরা আমার পিছে পিছে হাঁটছে আর একেকজন একেকভাবে আমার প্রশংসা করছে।
এই ইভা আজকে তোকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে, আজকে তোর লিপস্টিকের রংটা খুব সুন্দর, মনে হয় তোর নেকলেসটা অনেক দামী কতো দিয়ে কিনেছিস, আজকে তোর ড্রেসটাতে তোকে অনেক সেক্সী লাগছে আরো অনেক কিছু বলছে।
আমি কারো কথায় কোনো কান না দিয়ে ওদের ব্যায় বলে সরাসরি আমার ক্লাসে চলে আসলাম।বায়োলোজি, উফফফ খুবই বিরক্তিকর একটা ক্লাস। এই সাবজেক্ট আমার একটুও ভালো লাগে না, আর এই সাবজেক্টে আমার মার্কও কম।
ক্লাসে ঢুকেই মেজাজটা বড্ডো বেশি খারাপ হয়ে গেলো।
দীপা রহমান। হ্যা দীপা নামের ওই মেয়েটিকে দেখলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।ক্লাসে সবার আগে আসে, সবসময় বই ওর হতেই থাকে। সব টিচার ওকে খুব ভালবাসে।
এমন কোনো প্রশ্ন নেই যার উত্তর ও জানে না। সবসয়ই একা একা থাকে,কোনো বন্ধু নেই, সবার কাছ থেকে সবসময় দূরে থাকে আর একা লাইব্রেরীতে বই নিয়ে বসে থাকে।আপনারা ভাবছেন আমি কি করে জানলাম, ও সবসময় লাইব্রেরীতে একা থাকে তাইনা।
আমি প্রায় আমার ফালতু বন্ধুদের কাছ থেকে বাঁচার জন্য লাইব্রেরীতে যাই, আর আমি যখনই যাই তখনই ওকে দেখতে পাই।ক্লাস শুরু হলো, দীপা সবসময় ক্লাসের সামনে বসে আর পিছনে।
বলতে বলতে কখন যে ক্লাস শেষের দিকে চলে আসলো বুঝতেই পারলাম না।
ক্লাস শেষ হওয়ার আগেই হঠাৎ স্যার বললো তোমাদের সবাইকে একটা প্রজেক্ট রেডি করতে হবে, আর সেটা গ্রুপ হিসেবে হবে, দুজন করে একটা গ্রুপ হবে।
আমি যার সাথে যার নাম বলবো তারা গ্রুপ হয়ে প্রজেক্ট রেডি করবে। আর এই নম্বর ফাইনালে যোগ হবে। স্যার এক এক করে গ্রুপ করছে, হঠাৎ করে স্যার (ইভা মির্জা) মানে আমার নাম আর (দীপা রহমান) মনে দীপার নাম বললো।
আমি শুনে যেনো আকাশ থেকে পড়লাম। যেই মেয়েকে আমি একটুও পছন্দ করিনা, যেই মেয়েকে আমি সবচয়ে বেশি ঘৃণা করি, এখন তার সাথে আমার সময় কাটাতে হবে পুরোটা বছর। আমি চিৎকার করে স্যারকে না বললাম।
স্যার খুব রাগান্বিত হয়ে আমাকে বলল ইভা মির্জা তুমিকি ফেল হতে চাও। তোমার গ্রেড খুবই খারাপ তাই আমি দীপা রহমানকে তোমার জন্য সিলেক্ট করেছি, ও তোমাকে সাহায্য করবে।
আমি কিছু না বলেই দীপার দিকে খুব রাগান্বিত হয়ে তাকিয়ে ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলাম।
( এই পর্ব এখানেই শেষ)
(হ্যালো বন্ধুরা চেষ্টা করছি তোমাদের জন্য খুব মজার একটা গল্প লিখতে।
এটা আমার প্রথম বই, তাই পরে একটু জানিও কেমন হয়েছে, ভুল হলে বলো আর আমাকে সাহায্য করো।)ওকে ব্যাই।
Love you......আর হ্যাঁ বন্ধুরা বেশি বেশি করে ভোট আর কমেন্ট করো।
😘😘😘
ESTÁS LEYENDO
বাজি খেলা । ( একটি সমকামী প্রেমের গল্প / Lesbian story )
Romanceবাজি খেলা । গল্পটি হচ্ছে একটি ধনী, কলেজের সবচেয়ে পপুলার মেয়ে আর একটি গরীব সান্ত-শিষ্ট, ভদ্র ও মেধাবী মেয়েকে ঘিরে । বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে প্রেমের অভিনয় করতে গিয়ে যখন সত্যি সত্যিই প্রেমে পরে যাবে, তখন কি হবে এই দুজনের....??? (If you don't like...