আম্মু বাজারের ব্যাগ নিয়ে ঘরে ঢুকতেই আমরা ঝোলাটা হাতে নিয়ে পুরোটা উল্টে দিলাম। আর ব্যাগ থেকে যা বের হলো তার দেখে আমাদের দুই ভাই-বোনের চোখ তো ছানাবড়া। আম্মু ব্যাগে করে খোরগোশ নিয়ে আসছে। ও মাই গড! আমাদের খোরগোশ!!!!
আমার বোন খোরগোশটা উল্টে পাল্টে দেখে বললো,
_ভাইয়া, আমাদের খোরগোশের মাত্র একটা চোখ নাকি? কি আশ্চর্য!আমি অবাক হয়ে বললাম,
_কিরে!! তুই খোরগোশের পাছার মধ্যে চোখ খুঁজতেছিস কেন?_হ্যাঁ?? এইটা খোরগোশের উল্টো পিঠ নাকি! ধুরো!
এরকম একটা কথোপকথনের পরে কে না হেসে থাকতে পারে। আমরা হাসছি আর হঠাৎ পাশের বাড়ির আন্টি বললো, আরে তোমার আম্মা তো দেখি বুইড়া একটা খোরগোশ কিনে আনছে! জায়গায় বেজায়গায় খাবলা খাবলা লোম উইঠ্যা গেছে।
কথাটা শুনে ভীষণ আহত হলাম। লোম নাই তো আমিও দেখছি। আমাদের খোরগোশ বুইড়া নাকি জোয়ান আপনারে কেউ জিজ্ঞেস করছে?
বাচ্চাও তো হইতে পারে। যদিও জানি বুড়ো হওয়ার চাঞ্চই বেশি। কারণ খোরগোশটা সাইজে অনেক বড়।
খোরগোশের চোখের দিকে তাকিয়ে আমি একদম মোহিত হয়ে গেলাম। কি অসাধারণ চোখ। চেরি ফলের মত একদম লাল কালারের চোখ। কি অদ্ভুত সুন্দর। মনটা একদম ভীষণ খুশি হয়ে উঠলো। পৃথিবীতে কি আছে আর খোরগোশের চেয়ে মায়াবী?
যদিও বেশিক্ষণ খুশিটা ধরে রাখতে পারলাম না! আরেক প্রতিবেশী কোথ থেকে জানি এসে জিজ্ঞেস করলো, তোমাদের এই ছাগলটা কত নিলো? বিকালে একটু দিয়ো তো আমারে, পোলাপানগুলারে দেখাই।
মনে মনে গজগজ করতে লাগলাম, আসেন! নিয়া যান, হাত পাতেন, এক চামচ ছাগলের বিষ্টা দেই, বাড়িতে নিয়া পোলাপাইনরে জিগাইবেন ছাগলের বিষ্টা আর খোরগোশের বিষ্টার মধ্যে পার্থক্য কি!
যাই হোক, খোরগোশটার নাম দরকার। আচ্ছা, লুসি নাম দিলে কেমন হয়? বিকালে যখন আব্বু এলো, খোরগোশের নাম কি দেয়া যায় জিজ্ঞেস করতেই বললেন, লুসি নাম হোক! আমি চমকে উঠলাম, এই নামটা তো আমিও ঠিক করছি। তো লুসিই হলো তার নাম।
ESTÁS LEYENDO
ক্ষণিকের অতিথি
Historia Cortaকেনো সে এসে ছিলো আমার ছোট্ট কুটিরে? কেনোই বা ফিরে গেলো এই অবেলায়? (description is in progress)