তৃতীয় পর্ব

27 2 0
                                    

গল্প : প্রেম কুহেলিকা
যৌথ লেখিকা : রুবি আক্তার এবং তাবিয়া তামান্না।

৫.
ইজি চেয়ারে হেলান দিয়ে অতিত কল্পনা করে যাচ্ছে শুভ। কল্পনায় ছেদ পড়ল যখন কোর্টের পকেটে থাকা স্মার্ট ফোনটা বেসুরো ভাবে বেজে উঠল। জোর করে কল্পনা রাজ্য থেকে বেরিয়ে এলো শুভ। উঠে দাড়ালো। ফোনের স্ক্রিনে অভির নাম ভেসে উঠল। ফোন রিসিভ করে হেটে গেলো থাই গ্লাসের কাছে। বোঝাই যাচ্ছে শুভ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলছে আবার ওপাশ থেকে শুনছে। আবার বলছে -'বল অভি!' ওপাশ থেকে কয়েক সেকেন্ড কথা শুনে আবার বলল -'কিভাবে হলো এটা? আমি কোন ফাঁক রাখিনি। তাহলে?' এক মিনিটের মত ওপাশ থেকে অভির কথাগুলো শুনলো শুভ। তার পর আবার বলল -'আমি এডভোকেটের সাথে কথা বলতে চাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যাবস্থা কর। আমি অফিসে যাচ্ছি। আমার সাথে ওখানেই দেখা কর!'

এর পর ফোন কেটে দিলো শুভ। তার পরেও তিব্র রাগের সাথে রুম থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সিঁড়ির দিকের দরজার দিকে এগিয়ে গেলো। মাঝপথে বাধানো পাঁচনের জনের ছবির কাছে এসে থেমে গেলো শুভ। মাথা বাঁকা করে শীতল দৃষ্টিতে তাকালো ২য় ছবির ব্যাক্তির দিকে। রাগের স্থান এ দখল করে নিলো তিব্র বিতৃষ্ণা। ঠোঁটের কোনে হাসির রেখা ফুটে উঠে আবার মিলিয়ে গেলো। সে হাসি যদি ওই ব্যাক্তি ছবি না হয়ে বাস্তবে ওর সামনে বসে থেকে দেখত, নিশ্চিত ওর অন্তরাত্মা কেঁপে উঠত। কিছুক্ষণ থমকে তাকিয়ে থেকে বেরিয়ে গেলো ওই রুম থেকে।

একঘন্টার মধ্য রেডি হয়ে বাংলোর নিচে কার পার্কিং এ চলে এলো। শুভ আগে থেকেই অনেক হ্যান্ডসাম। ঠিক যেমনটা মুনিয়া চাইত। কিন্তু আজ নেভি-ব্লু কালার শার্টের সাথে ব্লাক জিন্স আর কোর্ট, সেই সাথে ব্লাক সানগ্লাসটিতে ওকে দেখতে বলিউড এর তারকাদের চেয়েও স্টাইলিশ লাগছে। হাতে ব্রান্ড্রের কালো ওয়াচ টা সুর্যের আলোয় থেকে থেকে চিক করে উঠছে। অফিসের লেডি কর্মচারীরা ওর সাথে সময় কাটাতে সব কিছু করতে প্রস্তুত। রাস্তায়, শপিংমল দিয়ে শুভ হেটে গেলে সুন্দরী সুন্দরী তরুণী মেয়েরা একবার হলেও ওর দিকে তাকায়। বড়লোক সব শিল্পপতিরা নিজের মেয়েকে শুভর সাথে বিয়ে দিয়ে সমস্ত সম্পত্তির পাওয়ার অফ এটর্নি দিতেও প্রস্তুত। কিন্তু শুভর এসব দিকে কোন আগ্রহ নেই। শুভ একটু বেশিই স্থিরচিত্তের অধিকারি। হুট করে কারো উপরে গলে যাওয়াকে কাপুরুষের কাজ বলে মনে করে।

গল্প: প্রেম কুহেলিকা Where stories live. Discover now