দ্বিতীয় পর্ব

26 2 0
                                    

গল্প : প্রেম কুহেলিকা
যৌথ লেখিকা : রুবি আক্তার এবং তাবিয়া তামান্না।

৩.
সেবার সম্পর্কের ৬ মাসের মাথায় কি নিয়ে যেনো ঝামেলা হয় অভিদের। তখন ওরা সমঝোতায় আসার জন্য দেখা করার প্লান করে একটা রেস্টুরেন্টে। মুনিয়া নীলিমার এত কাছের বান্ধবি নয় অবশ্য। ক্লাসমেট আরকি। তাছাড়া মুনিয়া কারো প্রেম ভালোবাসায় খুব একটা নাক গলায় না। সে নিজের পড়াশোনা নিয়েই থাকে। কিন্তু সেদিন নীলিমা খুব করে ধরেছিল মুনিয়াকে ওর সাথে যেতেই হবে অভির সাথে দেখা করতে। কারন নীলিমার কাছের বান্ধবিটা বাড়ি গিয়েছিল। এজন্য মুনিয়াকে ধরেছিল নীলিমা। মুনিয়া কয়েকবার না করলেও পরে রাজি হয়েছিল এক শর্তে যে বেশিক্ষণ সময় দিতে পারবে না।

মুনিয়া আর নীলিমা দুজনে ৫ মিনিট হলো রেস্টুরেন্ট এ এসেছে। আর অভিও মাত্র শুভ কে নিয়ে হাজির হলো। মুনিয়া শুভকে দেখে টাস্কি খেয়ে গেলো কারন চিনতে ওর একটুও কষ্ট হলো না। শুভ অবশ্য মুনিয়ার দিকে একবার তাকিয়ে ওতটা আগ্রহ দেখালো না। বোঝাই যাচ্ছে শুভ চিনতে পারেনি। সেদিন মুনিয়া মুখে কাপড় গুজে রেখেছিল। মুনিয়া শুভর দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। শুভ ওর দিকে তাকাতেই মুনিয়া চোখের ভাষায় ভ্রুকুটি করে বুঝিয়ে দিলো প্রচন্ড বিরক্ত হচ্ছে শুভর উপস্থিতিতে। মুনিয়া মুখ ঘুরিয়ে নিলো অন্য দিকে। অভি নীলিমার সাথে একটু আলাদা হয়ে কথা বলতে চায়। মুনিয়া শুনেই বলে উঠল -' মানে কি? আমি একা বসে থাকব নাকি? আলাদা কথা বলবি তো আমাকে এনেছিস কেনো?'

-'আহা একা কেনো থাকবি? শুভ ভাই তো আছে' নীলিমা বলল।

শুভও আপত্তি করে বলল -'তোমাদের এখানে কথা বলতে প্রব্লেম কি?' যদিও শুভ জানে যে অভি রুমে গিয়েই ওকে সব বলবে। তবুও ওর মুনিয়ার সাথে একা থাকার ইচ্ছা নেই। এমনিতেও মেয়েটা যথেষ্ট বিরক্তি প্রকাশ করেছে ওর উপস্থিতির জন্য।

কিন্তু কিছুক্ষণ এটা ওটা করে অবশেষে নীলিমারাই জিতল। ওরা দুই টেবিল পরে গিয়ে বসে কথা বলতে লাগল। এটাই শুভর জিবনে মুনিয়া আগমনের সুযোগ হয়ে গেলো। সেদিন যদি ওরা সাইডে না যেতো তাহলে শুভ কখনো মুনিয়াকে পেতো না। শুভ ওদের দিকে তাকিয়ে আনমনে বিড়বিড় করল -'কি যে এত ন্যাকামি যত্তসব!'

গল্প: প্রেম কুহেলিকা حيث تعيش القصص. اكتشف الآن