বাঙালির লজিক বা লজিক্যাল বাঙালী

3 1 0
                                    

নাম রাখার ব্যাপারে   বাঙালী অলওয়েজ লজিক্যাল ছিলো, আছে এবং ভবিষ্যতে  থাকবেও। 

বাঙ্গালির উদ্দেশ্যহীনতাঃ
আমরা বাঁচি কি জন্য জানিনা। কেন বেঁচে থাকতে চাই আমরা সেটাও জানি না। কেউ বাঁচে সন্তানের জন্য,  কেউ স্ত্রী বা স্বামীর জন্য। 

বাঙালী রুগী যদি পায়ে ব্যথা বলে তবে, সেটা ঠিক কোথায় তা কেউ বলতে পারবেনা। পা মানে উরু, হাঁটু,  পা, পায়ের পাতা, আঙ্গুল ও হতে পারে। চিকিৎসক কে সেটা খুঁজে পেতে হবে, ব্যথা ঠিক কোথায়।

বাঙালির পশুপ্রেমঃ

ইউরোপীয় এক কুকুরের হাজারটা নাম হাজার প্রজাতি হিসেবে। আমরা এক  " কুত্তা" বলেই খালাস।  ইউরোপে কুকুর বললেই হবেনা, সেটা  এলশেসিয়ান, বুল ডগ, ল্যাব্রাডার নাকি হাউন্ড ডগ বলতে হবে।  আরো কত নাম আছে কুকুরের। তারা  নিরাপত্তা ও সঙ্গী হিসেবে কুকুর পালে , আর বাঙ্গালী  পালে ছাগল , ( দুধ ও মাংস দুটোই পাবে) । বাঙালীর নিরাপত্তা ও চিকিৎসা  আল্লাহর  হাতে দিয়ে নিজেরা ভারমুক্ত থাকে । 

বাঙালির চলাফেরাঃ
প্রাচীনকালে চলাচলের জন্য ইউরোপীয়রা দ্রুতগামী ঘোড়ার গাড়ীতে চলত আর  বাঙালী চলতো ধীরগতির গরুর গাড়ীতে ( কারন ঐ  মাংস ও দুধের লোভে) ।

গরুর গাড়ীতে চলাফেরায় যতোই দেরী হোক বাঙালীর  টেনশন ছিলোনা। গরুর গাড়ী র গাড়োয়ান বা গাড়িয়াল অথবা সামান্য ডিঙি নৌকার  সাম্পানওয়ালা, মাঝি এরা বাঙালী যুবতীদের চোখে ছিলো " মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর "।  বাংলা সাহিত্যের পরতে পরতে এদের জন্য বাঙ্গালী যুবতীদের প্রাণ- কাঁদা, কলিজা ছিদ্র করা গানের প্রাচুর্য।

ঘোড়ায় চড়ে রাজপুত্র  ডালিম কুমারের স্বপ্ন ও ছিলো কিছু উচ্চ শ্রেণির বাঙালী বনিকের তরুণী ।

বাঙালির অভিলাষ ও নামের মাহাত্ম্য Opowieści tętniące życiem. Odkryj je teraz