দ্যা ক্লিফহ্যাঙ্গার

24 4 1
                                    


দ্যা ক্লিফহ্যাঙ্গার

অমবস্যার পর বাকা চাদ আকাশে। ম্রিয়মাণ আলোয় দেখতে পাই দিঘীর পানিতে নড়াচড়া। কৌতুহলী বকঠ্যাঙা ওপর থেকে চেয়ে থাকে। নামবে কি নামবে না ভাবে। মুখের সামনে দিয়ে উড়ে যাওয়া জোনাকি খপ করে ধরে ফেলে। শরীর আলাদা হয়ে যায় জোনাকির। শেষাংশ নিচে পড়তে থাকে, ধীরে। পা গুলো ছোড়ার কারণে এখনও নিম্নাঙ্গে আলো জ্বলছে ধিকিধিকি। ঘাড় বাকা করে তাই দেখতে দেখতে জোনাকির প্রথম অর্ধেকটা গলায় চালান করে দিল বকঠ্যাঙা।

এক নারীমূর্তি উঠে আসে ধীরে ধীরে পানি থেকে। দূর্বল। টলমলে।
সে তাকায়। তার কপালের ওপর জোনাকির বাকি অর্ধেক এসে পড়েছে। ত্রিনয়নের মত জ্বলজ্বল করছে তার কপাল। এ দৃশ্য দর্শকের হৃদয়ে কোন দন্ত রোপিত করে জানা নেই। তবে নারীমূর্তি হয় দেবী নয়তো অসুরী। এদুইয়ের মধ্যবর্তী কোনোকিছুর অবকাশ রাখেনি জোনাকের টিপ। তার বাকি দুই চোখে বিষাদ। তার মুখে ফিরে আসার হাসি। চারপাশে তাকিয়ে ব্যাকুল নয়নে খুজে ফিরছে তার প্রিয়তমকে!

এখানে দৃশ্যপট দু ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একপাশে দেখি মোতালেব মিচ্ছির, অপর পাশে রাশেদ খা। একজন হাজতে, অপরজন চিকিৎসালয়ে। দুজনের ঘুম একই সাথে ভেঙ্গে যায়। শীতের রাতেও ঘামছে দুজন। দুজনেই হয়তো স্বপ্নও দেখেছে এক। কারণ দুজনের মুখেই হাসি। দুজনেই ব্যাকুল।

প্রিয়তমা ফিরেছে!

(সমাপ্ত)

You've reached the end of published parts.

⏰ Last updated: Mar 31, 2020 ⏰

Add this story to your Library to get notified about new parts!

প্রত্যাবর্তন (অতিপ্রাকৃত)Where stories live. Discover now