ছোট গল্প : ০4
।
পৃথিবীটা খুব সুন্দর, নিষ্ঠুর ভাবে সুন্দর।
এ পৃথিবী কোনোদিন সাধারণ পিচ্চি সাইজের একটা মেয়ের অনুভূতির তোয়াক্কা করে না।
মানুষের দুঃখ-কষ্ট দিন দিন বাড়তেই থাকে, তা সত্ত্বেও পৃথিবী তার আপন গতিতে চলে, শীতের পর বসন্ত আসে, গাছে গাছে ফুল ফুটে। যেন কিছুই হয়নি এমন ভাব নিয়ে নিজেকে নানা রঙে সাজায়। সে তো সারাক্ষণ নিজের সৌন্দর্য জাহির করতে ব্যস্ত। একটা মানুষ আঘাত পেয়ে ফেটে পড়লেও তার কিচ্ছু যায় আসে না।
আর আমি..
আমি ভাবি, আমি তো কেউ না। কেন আমার জন্য পৃথিবী শোক পালন করবে? কেন আমার জন্য পাপিয়া গাছে বসে গান গাওয়া বন্ধ করবে? কেনই বা কৃষ্ণচূড়া তার আগুন রাঙা পাপড়ি মেলবে না?আমি হাতের বাকি ছেঁড়া কাগজ গুলোও আগুনে ছেড়ে দিলাম। ও আসলে আমার আঁকা ছবি ছিঁড়ে নি, আমার অনুভূতি ছিঁড়েছে। আমার হয়তো কোনোদিন আর আঁকা হবে না। আঁকতে হলে তো অনুভূতি লাগে।
অনুভূতি?!
এখন অনুভূতি মানে তো শুধুই বিলাসিতা, যা আমার সামর্থ্যের বাইরে।দাউদাউ করে জ্বলছে। এইতো কাগজের একটা টুকরো দেখা যাচ্ছে- সাত রঙে আঁকা মাঠের মাঝখানে একটা হিজল গাছ আর তার নিচে কিছু তাজা সবুজ ঘাস। এক নিমিষেই সাতরঙ পুড়ে সাদাকালো হয়ে গেলো।
সাথে আমার অনুভূতি গুলোও।
সাজুক পৃথিবী।
তাতে আমার কী!
আমিই না হয় সাদা কালো।
না হয় আমিই শুধু না ভালো।~০~
(১৮/১১/২০২২)
YOU ARE READING
আমার কল্পে গড়া শহর
Short Story[ছোটগল্প সমগ্র] মাথায় মাঝেমধ্যে কিছু ছোট কাহিনী উঁকি দেয়, সময় পেলে সেগুলোকে ধরে এনে এখানে জমা রাখি।