কাল সেইদিন। আগামীকালই বন্দীরত ২২০২ জন মানুষের মধ্য হতে একজনকে করা হবে নৃশংসভাবে হত্যা। তাই বন্দীশালায় অবস্থানরত মানুষের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ভয়ের জোয়ার।
কিন্তু এই ভয়কে উপেক্ষা করে চার বছরের শিশু ছেলের সাথে খেলে যাচ্ছে তার বাবা জিন হায়ার্স।
-"বাবা, বাবা, চলো না ঘোড়া ঘোড়া খেলি।"
-"ঠিক আছে, তুমি আমার পিঠে চড়ে বসো।" ছেলের দিকে তাকিয়ে স্মিত হেসে বললো জিন।
-"না! না! সবসময় তো তুমি ঘোড়া হও। এবার আমি ঘোড়া হতে চাই।"
-"না, বাবা। তা কী করে হয়? তুমি তো আমার ভর সইতে পারবে না।"
বাচ্চা ছেলেটি কেঁদে ওঠে।
-"কেনো পারবো না?"বাবা তার মাথায় আদর করে দিয়ে বলে,
-"যখন তুমি খুব বড় হবে, অনেক শক্তিশালী হবে, তখন পারবে।"ছেলেটি চোখ মুছে বলে,
-"বাবা, তখন কী আমি এই রোবোহিউমাস গুলোকেও মেরে ফেলতে পারবো?"জিন হাসতে হাসতে তার ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,
-"রোবোহিউমাস না বাবা, এটা রোবোহিউম্যান।"
YOU ARE READING
হিউম্যান-রোবোহিউম্যান (বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী)
Science Fictionছোট একটি পাহাড়ের চূড়ায় বসে আছে একটি ছেলে, আর তার ঘন কালো চোখজোড়া দিয়ে দেখছে এতদিনের অজানা-অচেনা অপূর্ব এই পৃথিবীকে। খাঁচায় বন্দী পাখি হঠাৎ মুক্তি পেলে যেমন পৃথিবীকে দেখতে উড়াল দেয়, তারও ঠিক তেমনি অনুভূতি হচ্ছে। ইচ্ছে করছে পুরো পৃথিবীটাকে চষে...