দু' হাতে নিজের চুলের মুঠি ধরে বসে আছে রোবো লায়া। সে বুঝতে পেরেছে কিম ইভান্স, জিয়ন হায়ার্সের হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি একেবারেই জানে না।
সে কিম এর সব রেকর্ডস চেক করেছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর রোবোটদের বোকা বানানো ছাড়া রুলস ভঙ্গের কোনো কিছুই তার রেকর্ডস-এ নেই।
এছাড়াও সে জানতে পেরেছে গত দুই সপ্তাহ আগেই একটা সামান্য বার্গারকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর মধ্যে মারামারি হয়। আর এরপর থেকেই তাদেরকে একসাথে কখনো দেখা যায়নি।
মানুষ পারেও! একটা সামান্য খাবারের জন্য কেউ মারামারি করে! মনে মনে ভেবে বিরক্ত হয় সে।তাই কিম কে কালো অন্ধকার রুমে রেখে এসে সে ফিরে এসেছে জিয়নের রুমে। কারণ এই একটি রুম ব্যতীত জানার আর কোনো সম্ভাবনা নেই যে জিয়ন কোথায়।
চোখ বন্ধ করে তার সূক্ষ্ম কপোট্রন-এর মাধ্যমে চিন্তা করতে লাগল লায়া।
জিয়নকে খুঁজে বের করার আগে কতগুলো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করা দরকার, ভাবলো সে।প্রথমত জিয়ন তার শরীরের অভ্যন্তরে থাকা ট্র্যাকারকে ডিজেবল্ড করলো কীভাবে। এটা শত জ্ঞানী হলেও করতে পারার কথা নয়। কেননা ট্র্যাকারটিকে ডিজেবল্ড করতে হলে প্রথমে সেটিকে শরীরের ভিতর থেকে বের করতে হবে। আর ট্র্যাকারটি প্রতি সেকেন্ডে তার অবস্থান পরিবর্তন করছে। তাহলে সে ট্র্যাকারটিকে বের করলো কীভাবে?
YOU ARE READING
হিউম্যান-রোবোহিউম্যান (বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী)
Science Fictionছোট একটি পাহাড়ের চূড়ায় বসে আছে একটি ছেলে, আর তার ঘন কালো চোখজোড়া দিয়ে দেখছে এতদিনের অজানা-অচেনা অপূর্ব এই পৃথিবীকে। খাঁচায় বন্দী পাখি হঠাৎ মুক্তি পেলে যেমন পৃথিবীকে দেখতে উড়াল দেয়, তারও ঠিক তেমনি অনুভূতি হচ্ছে। ইচ্ছে করছে পুরো পৃথিবীটাকে চষে...