চোখ খুলেই একটি অন্য জায়গা দেখে অনন্যা একটু চমকে গেল। তারপর তার মনে পড়ল সে কাল একটি সম্পূর্ন অপরিচিত লোকের বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েছিল। অরিজিৎ এর অনেক আগেই ঘুম ভেঙে গেছে সে চা আর বিস্কুট খাচ্ছে বারান্দায় বসে। অনন্যা গিয়ে তার পাশে মাটিতে বসল। অরিজিৎ শুধু একবার তার মুখের দিকে তাকিয়ে হাসল আর বলল -
"বাবা হাসপাতালে, মা মারা গেছেন আর দাদা বাড়ি থেকে সত্যি সত্যি বের করে দিয়েছে তাই না অনন্যা সেন? তবে আপনি যতদিন ইচ্ছা আমার বাড়িতে থাকতে পারেন। আমার কোনো আপত্তি নেই।"
অনন্যা একটু অবাক হয়ে তার দিকে তাকাল আর ভাবল যে অরিজিৎ এত সব জানল কি করে। সে তো আগের রাতে এত কিছু বলেনি। তাকে কিছু বলার আগেই সে উঠে গিয়ে একটি চায়ের কাপ এবং টোস্ট বিস্কুট এনে অনন্যার হতে ধরাল। অনন্যা চায়ে চুমুক দিয়ে জিজ্ঞেস করল -
"আপনি কি করে জানলেন এত কিছু?"
অরিজিৎ কোনো উত্তর দিল না। অনন্যা আবার প্রশ্ন করল কিন্তু এবারেও কোনো উত্তর পেল না। অরিজিৎ বারান্দা থেকে ঘরে ঢুকে এল। অনন্যাও তার পিছু পিছু এল - প্রশ্নের উত্তর চায়ে সে।
"একটি ভদ্র বাড়ির মেয়ে একটা অচেনা পুরুষের সাথে তার বাড়ি চলে এল এটি শুধুমাত্র এমন সময়েই সম্ভব যখন মেয়েটির অন্য কোথাও মাথা গোঁজার জায়গা থাকে না। আর তোমার ফোনের ওয়াল্লপেপারেই তোমার পুরো নাম ফুটে উঠেছিল।"
অনন্যা আর কিছু প্রশ্ন করল না। সে ঠিক করল এই মুহুর্তেই অরিজিৎ এর বাড়ি থেকে চলে যাবে....