Part 5

78 3 0
                                    

আমি ফোনের ওপাশ থেকে আবার শুনতে পেলাম, “প্রিয়াকে কাঁদতে মানা করো, ওর চোখে জল দেখতে পারিনা, আমি কত বছর ওকে ছুঁয়ে দেখিনি পায়নি ওর ঘামের গন্ধ…..”।
আমি আর কিছু বলতে না দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললাম, “তুমি কি চাও, আমার প্রিয়াকে বিরক্ত করছো কেনো তুমি”।
“প্রিয়দর্শিনী রায়চৌধুরী গলা নামিয়ে কথা বলো, তোমার দুটাকার জীবন দু সেকেন্ডে নষ্ট করতে পারি আমি”।
আমি ভয়ে বললাম, “কি চাও?”
“এইতো আবার বুদ্ধিমানের মতো কথা বলছো, I like smart people, শোনো এখন কিছু চাইনা আমি আমার যখন সময় হবে আমি ঠিক জানিয়ে দেবো, শুধু বলতে পারি প্রিয়াকে আমার করার ব্যবস্থা তুমি করবে। তোমাদের জীবনের প্রত্যেক সেকেন্ড আমার কথা অনুযায়ী চলবে, চলি টাটা, আমার প্রিয়াকে সাবধানে রেখো” ,Call টা কেটে গেলো আমি call list চেক করতে গেলাম, দেখি ফোনে কোনো call history নেই।
আমি প্রিয়ার দিকে ঘুরে দেখি প্রিয়া টেবিলের একটার পায়ার কাছে হাঁটু বুকের কাছে গুটিয়ে বসে অঝরে কাঁদছে। আমি ওর কাছে গিয়ে বসেতে প্রিয়া ওর মাথা আমার কাঁধে রেখে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে লাগলো, বুঝতে পারলাম কান্নার ফলে আমার শার্টের কাঁধের অংশটা ভিজে জবজব করছে।
“প্রিয়…….”, প্রিয়া কিছু বলতে গেলে আমি ওকে আমার কাঁধের থেকে মাথাটা তুলে আমার দিকে আস্তে আস্তে ঘোরালাম। কান্নায় চোখ লাল হয়ে গেছে। আমি চোখের জল মুছিয়ে কপালে হালকা ঠোঁটের পরশ দিলাম। প্রিয়া কিছুক্ষণ আমার চোখের দিকে গভীর ভাবে তাকিয়ে থাকলো। দিয়ে আস্তে আস্তে আমার কাঁধে আবার মাথা এলিয়ে দিল।
প্রিয়া কি আমার চোখে আত্মপ্রত্যয়ের ভাব দেখলো নাকি হতাশা।
আমি কেবিনে সিসিটিভি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম, “পারবো কি আমার প্রিয়াকে আমার করে রাখতে” ভাবতে ভাবতে আস্তে আস্তে চোখ বুজে এলো, অনুভব করলাম নিজের অজান্তে কখন যেন অশ্রুরাশির একটা ফোঁটা আমার চোখের কোনায় জানান দিচ্ছে।
  বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার স্ট্রীট লাইট গুলো কেমন যেনো অচেনা লাগছে, আচ্ছা রাস্তার পাশে যেই সিসিটিভি ক্যামেরা গুলো লাগানো আছে সত্যিই কি ওগুলো নিরাপত্তা দিচ্ছে, নাকি কেউ মানুষের জীবন যাত্রার গোপন রহস্যটুকুও আর গোপন রাখতে দিচ্না না।
আমি প্রিয়ার দিকে চেয়ে দেখলাম প্রিয়া গাড়ির জানলায় মাথা ঠেকিয়ে চেয়ে আছে রাস্তার দিকে চোখের কোণে এখনো জল চিক চিক করছে।
গাড়ীটা গ্যারেজে পার্ক করিয়ে আমি দরজা খোলার আগেই প্রিয়া দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো, আমি ওর যাওয়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলাম, গাড়ির steering এ একটা রেগে থাপ্পর মেরে আমি রুম এলাম।
রুমে প্রিয়া নেই কিছুক্ষণ পর শাওয়ারের আওয়াজ পেয়ে বুঝলাম স্নান করছে। 20-25 মিনিট পর তোয়ালে জড়িয়ে প্রিয়া স্নানঘর থেকে বেরিয়ে এলো। চুল থেকে টপ টপ করে শিশির বিন্দুর মত জল ঝড়ছে, আমার বুকের মথ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে, কেমন যেনো রহস্যময় সুন্দর লাগছে, রূপে গুনে মুগ্ধ হতে হয় বার বার। কিন্তু মনের মধ্যে কামদেবতার আশীর্বাদ প্রখর হচ্ছে দেখে ওকে পাশকাটিয়ে বাথরুমের দিকে পা বাড়ালাম।
“টুং you have one sms”, এবার প্রিয়ার ফোনের মেসেজ টোন  বাজলো। পরমুহূর্তেই ধপাস করে আওয়াজ পেলাম, ফিরে দেখি প্রিয়া খাটের ওপর বসে আছে চোখের চোখের চাহুনি নিশ্চল। আমি কাছে গিয়ে প্রিয়ার সামনে হাঁটু মুড়ে বসে গালে হাত রাখলাম। প্রিয়া আস্তে আস্তে হাতের মুঠোয় রাখা মোবাইলটা আমার মুখের সামনে তুললো।
দেখলাম দীপ্তির মেসেজ anonymous নামেই এবারেও পাঠিয়েছে, “তোমাকে অপূর্ব লাগছে প্রিয়া, তোমাকে পাওয়ার চাহিদা আরও আমাকে পাগল করে দিচ্ছে, I miss you Priya”
রাগে দাঁতে দাঁত চেপে গেলো, চোয়াল শক্ত হয়ে এলো, আবার একটা মেসেজ এলো, এবার ফোনটা আমি নিলাম..
“কি আমার ওপর রাগ হচ্ছে প্রিয়দর্শিনী, কি করতে আমাকে সামনে পেলে মারতে? Let’s play a game প্রিয়দর্শিনী রায়চৌধুরী”। আমি ফোনটা প্রিয়াকে দেখলাম, কিছুই বললো না।
আবার sms এলো
“তুমি আজকে প্রিয়ার একটা অজানা সত্য জানতে পারবে, যেটা প্রিয়া তোমাকে এতদিন বলেনি, যদি জানতে চাও let’s play my game”।
আমি প্রিয়া দিকে তাকিয়ে বললাম, “এসব কি প্রিয়া তুমি আমার থেকে কি নুকিয়েছ, দীপ্তি এসব কি বলছে, কি গেম এর কথা বলছে”।
প্রিয়া কিছু বলেছে না দেখে হালকা ঝাকুনি দিয়ে আবার প্রশ্ন করলাম, “বলো প্রিয়া চুপ করে থাকবে না”
প্রিয়া এবারও কিছু বললো না শুধু চোখ থেকে জল পড়তে লাগলো আমার হাতের ওপর। আমি এবার অস্থির হয়ে পড়লাম, বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে লাগলো কপালে, চারিদিকের বাতাস কেমন যেনো ভারী হয়ে এলো যেনো দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো কিছুকাল পর।
আমি রুম থেকে বেরিয়ে এলাম বেলকনিতে কিছুটা মুক্ত বাতাসের আসায়। পকেট থেকে সিগারেট বার করে অগ্নি সংযোগ করে লম্বা টান দিলাম।
টুং এবার আমার ফোনে মেসেজ এলো, ফোন unlock করতে দেখি এবার দীপ্তি আমার ফোনে একটা ভিডিও পাঠিয়েছে,
ভিডিও প্লে করতেই ভিডিও ওর বিষয় বস্তু দেখে মাথা ঘুরিয়ে গেলো, দেখলাম..
প্রিয়ার দুটো হাত খাটের সাথে বাঁধা আছে, চোখে blind fold পরানো আছে। Nude হয়ে আছে শরীরে একটু কোথাও সুতো নেই, কিছুক্ষণ পর আরেকজন মেয়ে ঘরটায় ঢুকলো, হাতে একটা সরু বেত, পায়ে ভারী বুট পড়ে আছে আওয়াজ শুনে বুঝতে পারলাম, ক্যামেরাটা এমন ভাবে বসানো আছে দ্বিতীয় মেয়েটার মুখ কোনো রকম ভাবেই দেখা যাচ্ছে না। মেয়েটা এবার বেত টা প্রিয়ার শরীরে আস্তে আস্তে হালকা স্পর্শ দিতে থাকলো, প্রত্যেক স্পর্শে প্রিয়া কোকিয়ে উঠছে, আর ঠোঁট কমড়াছে। এরপর স্পষ্ট শুনতে পেলাম দ্বিতীয় মেয়েটি বলছে, “count with me bitch”, প্রিয়া সাথে সাথে উত্তর দিলো, “yes mistress”
আমি কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না আবার ভিডিও তে মনোনিবেশ করলাম।…
মেয়েটি এবার বেতটা প্রিয়ার বুবসের ওপর রেখে নিপলটাতে খোঁচা দিচ্ছে, আর প্রিয়া pleasure এ মুখে নানারকম আওয়াজ করছে। হটাত সরু বেতটা তুলে প্রিয়ার boob এ সজোরে আঘাত করলো, আমি সপাত করে আওয়াজ পেলাম, প্রিয়া ব্যাথায় কঁকিয়ে উঠলো, কিন্তু পরে বুঝলাম ব্যাথায় নয় pleasure এ, প্রিয়া সাথে বলে উঠলো, “one mistress” প্রিয়ার boob টা লাল হয়ে গেছে সেটা অস্পষ্ট ভাবে বোঝা গেলো ভিডিওতে। যতবারই মেয়েটা প্রিয়ার বুবসে আঘাত করতে থাকে ততবারই প্রিয়া pleasure এ moaning করে আর কাউন্ট করে, এভাবে 20 পর্যন্ত যাওয়ার পর যখন প্রিয়া সহ্য করতে পারলনা তখন মেয়েটা বেত করে মারা বন্ধ করলো, দেখলাম প্রিয়ার বুবস দুটো বেগুনি হয়ে গেছে। মেয়েটা বেতটা টেবিলে রেখে আবার প্রিয়ার দিকে ঝুঁকে প্রিয়ার গালে জোরে থাপ্পর মারলো, পাঁচটা আঙ্গুলের দাগ স্পষ্ট বোঝা গেলো, এবারেও প্রিয়া চিল্লানো না তার বদলে pleasure এ ঠোঁটে ঠোঁট কামড়ে ধরলো। মেয়েটা প্রিয়ার গাল শক্ত করে চেপে ধরলো, প্রিয়ার ঠোঁট দুটো আলগা হতেই মেয়েটা নিজের মুখের লালা প্রিয়ার মুখে দিলো, প্রিয়া তখন বললো, “thank you mistress” মেয়েটা প্রতুত্তরে বললো, “love you sweetheart” , এবার প্রিয়া যেটা বললো সেটা শুনে নিজের কানকে অবিশ্বাস করতে লাগলাম প্রিয়া বললো, “I love you দীপ্তি”
আমি হতবাক হয়ে রইলাম ভিডিও দেখে, মানুষ এরকমও হয় নিজেকে ঘেন্না করতে লাগলো, আমি সটান প্রিয়ার কাছে এলাম, ভিডিও টা দেখলাম, প্রিয়ার কোনরকম reaction পেলামনা। আমি শেষে বললাম,”প্রিয়া এগুলো কি তোমাকে এভাবে torture করত আর তুমি এই রাক্ষস কে ভালোবাসতে, তুমি পুলিসে complain করনি কেনো, তোমার সাথে ভালোবাসার নাম করে তোমাকে অপব্যবহার করেছে”।
প্রিয়া দুহাতে মুখ ঢেকে বললো, “ও আমাকে use করেনি, ওকে আমি এইসব করতে বলতাম তখন”।
আমি অস্থির হয়ে বললাম, “কিন্তু কেনো,?”
এবার আমার ফোন বেজে উঠলো দেখলাম দীপ্তি।
Hello….
“অনেক হয়ে প্রশ্ন উত্তর পর্ব, এবার তুমিও ওভাবেই sex করো প্রিয়ার সাথে যেভাবে আমি করেছি ভিডিও তে, আর আমি এখান থেকে বসে লাইভ দেখবো”
আমি দাঁত চেপে বললাম, “কখনোই না আমি প্রিয়াকে কখনই torture করবনা, তুই একটা রাক্ষস আমি পুলিসে দেব তোকে you bitch”
দীপ্তি হেসে বললো, “বাব্বা তুমি থেকে তুই তে, সে নাই পরে হবে কিন্তু, আমি জানি তুমি নিশ্চই তোমার গোপন জায়গায় তিলটা অন্য কাউকে দেখাতে নিশ্চই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না, তোমার nudes সারা ইন্টারনেট কাঁপবে কিন্তু, সাথে এই ভিডিওটিও, নিশ্চই তুমি চাইবে না এটা”।

its only happened in Calcutta Where stories live. Discover now