আমি এবার করুন চোখে প্রিয়ার দিকে তাকালাম, প্রিয়ার ঠোঁটটা ইসৎ আলগা হলো শুনতে পেলাম, “প্রিয় তুমি আমার সাথে এরকম করতে পারো, তার জন্য তোমায় কোনোদিনও দোষারোপ করবো না”।
আবার দীপ্তির হাসি শুনতে পেলাম হাসি থামিয়ে বললো, “এইতো আমার পাখি যখন সম্মতি দিয়েছে অসুবিধা কি লেগে পড় কাজে” বলে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো দীপ্তি
আমি ফোনটা কেটে দিয়ে আস্তে আস্তে নিজের জামার বোতাম গুলো খুলতে খুলতে মনে মনে ভাবলাম, “আমরা কি আদেও এর কাছ থেকে ছাড়া পাবো, নাকি নিঃশেষ করে দিবে আমাদেরকে”।
প্রিয়ার হাত দুটি আমার টাই দিয়ে বেঁধে খাটে শুইয়ে দিলাম, প্রিয়া সুবোধ বালিকার মত শুয়ে রইলো, আমার কেমন যেনো নিজেকে অসহায় মনে হলো, নিজেকে নিজের মধ্যে খুঁজে পেলাম না।
দীপ্তির স্বরে বাস্তবতার ছোঁয়া পেলাম,
“Get on her Priyo, slap her, slap her like a pig”
“No, I can’t, how can I, you are fucking bitch”, ফোনটা মুখের কাছে ধরে চেঁচিয়ে বললাম।
“yes, you can do, you bound to do, you asshole, or I will viral the video”
হালকা শব্দে প্রিয়া বলল, “slap me baby I will not mind”
আমি আর কোনো কিছু না ভেবে প্রিয়াকে হালকা চড় মারলাম, শব্দ অল্প হলেও আঙ্গুলের দাগ আর ইসত লাল রং এর আভা জাহির করলো চড়টা মোটেই আস্তে হয়নি।
আবার ফোনের ওপাশ থেকে আওয়াজ পেলাম, “not bad, but I like it, Continue guys”
“আমি পারবো না” আমি বললাম।
“you have to do it motherfucker or I will” দীপ্তি অসুর স্বর শুনতে পেলাম।
“Are you even human?” আমি বললাম
“Yes and do what I say! You are wasting my time”
“Ok I will” কাঁপা কাঁপা বললাম।
“Now kiss her like mad and press her boobs hard as you can you bitch”
আমি তাই করলাম, আস্তে আস্তে আমার মনের মধ্যেও পরিবর্তন অনুভব করলাম, যতই প্রিয়াকে টর্চার করছিলাম ততই মন প্রসন্ন হচ্ছিল শান্তি পাচ্ছিলাম প্রিয়াকে জল ছাড়া মাছের মত ছটফট করতে। মনে একবারও ধরলো না যে আমার যেই মানুষটিকে কখনোই নিজেতো কি অন্য কাউকে কখনো হাত তুলতে দেবনা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। কই গেলো সেসব প্রতিজ্ঞা, আমি ভন্ড মানুষ। নিজেকে নিজেরই কাছে অন্য মানুষের অবয়ব ধারণ করেছি মনে হচ্ছে। প্রিয়ার শরীরে প্রত্যেকটা আঘাতের চিহ্ন বলেছে আমি মানুষ না জানোয়ার। তবুও আমি থামছি না কেনো। আমি কি প্রিয়ার কষ্টটা কেনো ধরতে পারছিনা, কেনো হৃদয়ে অনুভব হচ্ছে না। আমিও কি তবে দীপ্তির মত নরপিশাচ।
এই জঘন্য খেলা অনেক রাত পর্যন্ত চললো। ক্লান্ত হয়ে গেলে আমি প্রিয়াকে বাঁধা অবস্থায় রেখে ওর পাশে শুয়ে পড়লাম। যখন ঘুম ভাঙলো তখন দেখি প্রিয়া হাত বাঁধা অবস্থাতেও আমার মাথাটা ওর বুকের ওপর রেখে ঘুমিয়ে আছে পরম শান্তিতে।
ওর মুখের তাকিয়ে সত্যি কোথায় যেনো হারিয়ে গেলাম। এত সুন্দর কেউ কিভাবে হয়। আমি সত্যিই ভাগ্যবান যে প্রিয়াকে আমি পেয়েছি। কোনো প্রতিকূলতা যেনো আমার প্রিয়াকে আলাদা না করতে পারে। আমি প্রত্যেক ঝড়ের জন্য তৈরি।
প্রিয়ার নগ্ন তনু দেখে গা শিউরে উঠলো, মনে পড়লো কাল রাত্রির পাশবিক নির্যাতন।
ফর্সা রঙের ওপর যেনো লাল, গোলাপি, বেগুনি রং যেনো যন্ত্রণার চিহ্ন এঁকেছে প্রিয়ার প্রত্যেক অঙ্গে। নিজের অজান্তে চোখের জল গাল বেয়ে পড়তে লাগলো।
প্রিয়া বোধহয় বুঝতে পেরেছে আমি কাঁদছি। তাড়াতাড়ি চোখ মুছতে গিয়ে লক্ষ্য করি সে মিটি মিটি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি কি বলবো খুঁজে পেলাম না।
প্রিয়া কিছুই বললো না। আমার সামনে ওর দুটো বাঁধা হাত তুলে ধরলো। আমি তাড়াতাড়ি চোখের জল মুছে, প্রিয়ার হাত দুটোর বাঁধন খুলে দিলাম। কিছু না বলে
প্রিয়ার দিকে পিছন ঘুরে খাটের এপাশে বসে রইলাম, লজ্জায় ভয় অপমান বোধ একসাথে ঘিরেধরেছে আমায়। এই মাটিতা আমায় গ্রাস করলে ভালো হতোনা! এরকম কিছুক্ষণ থাকার পর শুনতে পেলাম,
প্রিয়া: “প্রিয় তুমি আমার bra এর ওপর বসে আছো, ওটা দিবে নাকি সারাদিন আমাকে টপলেস দেখার ফন্দি আটছো”।
কথাটা স্বাভাবিক ভাবে বললেও ওর ভিতরের কষ্টটা ঠিক আমার কান ছেকে ধরলো। আর আমি আরো মাটির সাথে মিশে যেতে লাগলাম। খানিকটা অস্থির হয়ে পড়লাম।
আমি, “ওহ sorry” বলে Bra ওর হাতে দিমাম। কিন্তু লজ্জায় মুখের দিকে তাকাতে পড়লাম না।
প্রিয়া বললো, “এই তাকাও আমার দিকে কি হয়েছে, কালকের জন্য কিছু মনে করোনা, আমরা ঠিক এটা থেকে বের হবো, এবার bra টা আমায় পরিয়ে দাও নাহলে আজকে bra পরবই না, আর যখন রাস্তায় যাবো তখন দেখুক লোকে আমার boobs!”
আমি এবার হেসে ফেললাম, কিন্তু সাথে সাথে চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসলো, বুঝতে পারলামনা কান্নাটা কিসের,
প্রিয়া: “এই আবার কাঁদছো, থামো আমার কিছু হয়নি, এইতো তোমার সাথে বসে আছি”l
প্রিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বোলাতে লাগলো, কিছুটা আমি স্বস্তি ফিরে পেলে প্রিয়া বললো, “প্রিয় দেরি হচ্ছে আমাদের অফিস যাওয়ার, এবার শান্ত মেয়ের মতো দাও bra টা পরিয়ে দুষ্টুমি করোনা”।
আমি প্রিয়াকে ছেড়ে চোখের জল মুছে প্রিয়ার ঠোঁটে একটা আলতো কিস করে, bra নিয়ে ওর পিছনে গিয়ে বসলাম।
পিঠে এখনও আঘাতের টাটকা দাগ। একমনে তাকিয়ে রইলাম দাগ গুলোর দিকে। তারপর আমি bra পরিয়ে দিলাম। Bra এর একটা স্ট্রাপের কাছে একটা একটা দাগ চোখে পড়তে স্ট্রাপটা সরিয়ে একটা চুমু খেলাম, প্রিয়া কি চোখ বুঝলো ঠোঁটের পরশ পেয়ে, নাকি বুঝলো না?
অফিসে এসে আমার কাজে মন বসলো না বারবার গিয়ে প্রিয়ার খোঁজ নিলাম।
আজকে দীপ্তি একবারও contract করেনি, একটু অবাক হলাম, তখন কি জানতাম দুপুরের কালো মেঘ সন্ধায় ফেটে পরবে!
সন্ধায় তুমুল বৃষ্টি আরম্ভ হলো, রাস্তায় নিজের দুহাত দূরের জিনিস দেখা যাচ্ছেনা। মন এমনি বিষণ্ণ হয়ে এলো। ফোনে একটা ম্যাসেজ আসতে বাস্তবে ফিরে এলাম। ফোনটা দেখার সাথে সাথে সামনে কোথাও বাজ পড়লো। দেখি দীপ্তি মেসেজ করেছে, “I am coming your office!”
প্রিয়াকে মেসেজটা দেখলাম, প্রিয়ার কোনো রকম প্রতিক্রিয়া পেলাম না। শুধু চোখ বুঝে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সিলিংয়ের দিকে চেয়ে রইল। হয়তো পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। নিজেকে আরও অসহায় মনে হলো।
সন্ধ্যা 7টার দিকে বৃষ্টিরাজ মুখে লাগাম দিলেন, অর্থাৎ বৃষ্টি অল্প থেমে এলো। তারই কিছুক্ষণ পর অফিসের গেটের সামনে হলুদ Lamborghini দাড়ালো, মডেলটা সিসিটিভি ক্যামেরায় বোঝা গেলনা স্পষ্ট ভাবে। গাড়ি থেকে কালো সুইট, কালো পেন্ট, আর কালো টাই পড়া একজন মানুষ, না একটা মেয়ে নামলো, নিঃসন্দেহে একে tomboy বলা চলে। চোখে polaroid চশমা, গাড়ি থেকে নেমে ঘড়ি দেখে main গেট দিয়ে অফিসে ঢুকলো।
“she is there”, বললো প্রিয়া।
আমি চোয়াল শক্ত করে বললাম, “let’s see”