part 3

87 4 15
                                    

“আমি জানি এ হচ্ছে দীপ্তি,........!” , বলে প্রিয়া আমার দিকে তাকালো,
আমার মুখে তখন জিজ্ঞাসার ছাপ, সেটা বুঝতে পেরেই প্রিয়া শুরু করল,
“দীপ্তি সেন, আমি দীপু বলেই ডাকতাম, আমাদের দেখা Calcutta University এর হাজরা ক্যাম্পাসে, আইনের ছাত্রী ছিল। আমি economy নিয়ে ভর্তি হয় C.U. তে। ক্যান্টিনে আমাদের প্রথম আলাপ হয়। আমাকে কতগুলো ছেলে ragging করতে আসলে, ও একাই আমাকে বাঁচিয়েছিল।
    তারপর আমাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল, আমাকে ইমপ্রেস করার জন্য কিছু না কিছু করত। তবে, আমি স্কুলে থাকতেই বুঝে গিয়েছিলাম যে আমার মেয়েকে ভালো লাগতো, মন চাইতো কোনো মেয়ের কাছে ধরা দিই। এই ব্যাপারটা দীপ্তি ভালো ভাবেই বুঝে গিয়েছিলো। যে আমার ওরিয়েন্টেশন কি। আমারও আস্তে আস্তে দীপ্তিকে ভালো লাগতে থাকে। এরই মধ্যে আমি দীপ্তির একটা গোপন কথা জানতে পারি। সে আমাকে ইমপ্রেস করার জন্য এক্সাম এর আগের রাত্রে প্রশ্নপত্র এনে আমাকে দেই। আমি জিজ্ঞেস করলাম, “এই এগুলো কিভাবে পেলে?”
ও মুচকি হাসি দিয়ে বলেছিল, “ I am a black hat Hacker, babe”
  আমি তখন এর মানে বুঝতে না পারলেও পরে বুঝতে পেরেছিলাম।
তারপর valentine day তে ও আমাকে এক অদ্ভুত ভাবে প্রপোজ করেছিল, আমি সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ফোন কোনো কাজ করছে না শুধু স্ক্রীনে লেখা, “Happy valentine day, will you be my valentine?” কোনো কাজ করছে না ফোন, আস্তে আস্তে ঘামতে শুরু করে দিয়েছি, ফোনের ডিসপ্লেটে একটা calling option শো করতে লাগলো আমি সেটাই চাপতেই কল কানেক্ট লেখা স্ক্রীনে ফুটে উঠল। ফোনটা ভয়ে। ভয়ে কানের কাছে আনলাম। রিং হচ্ছে, আমার হৃদপিন্ডটা প্রতিটা ঘাম বিন্দুর মুক্ত হওয়ার সাথে সাথে আরও জোরে হাতুড়ি মারতে শুরু করেছে আমার বুকের ভিতর।
রিং….রিং…. একবার দুবার তিনবার রিং হওয়ার পরে ফোন ওপাশ থেকে কেউ ধরলো।
Hello বলার সাথে সাথেই চিনতে পারলাম এই গলার অধিকারিণী কে।
আমি অবাক হয়ে বললাম, “তুমি দীপ্তি…”, কথা হারিয়ে ফেললাম আমি।
ওপাশ থেকে শুনতে পেলাম, “হ্যা আমি তোমায় খুব ভালোবাসি, will you be my valentine?”
আমি ওপাশ থেকে হালকা grin শুনতে পেলাম। আমি রেগে বললাম, “আমার ফোনটা ঠিক করো আর 5 মিনিটের মধ্যে পার্কে দেখা করো”
আমার আর বুঝতে বাকি রইলনা যে আমার ফোনের কারসাজি ওই করেছে।
সময় মতো পার্কে গিয়ে দেখি সে আগে থেকেই উপস্থিত, হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে কাছে যেতেই, সে হাসি মুখে খানিকটা লজ্জা পেয়ে আমার সামনে হাঁটু মুড়ে বসে আমাকে প্রপোজ করে ছিল। আমি accept করেছিলাম, ওর গুনে মুগ্ধ ছিলাম। শুধু বাজে অভ্যাস ছিল ওর hacking!. আমি মানাও করেছিলাম যে এগুলো illegal, তোমার ফিউচার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। আমার fb, insta, সবের পাসওয়ার্ড ওকে না বললেও জেনে গিয়েছিলো হ্যাকিং এর মাধ্যমে। আমি অজানা করো সাথে কথা বললেই সন্দেহ করতো। সে থেকে রীতিমত ঝগড়া। সেটা ক্রমেই বাড়তে থাকলো দিয়ে একদিন ব্রেকআপ!! …….. এতো কিছু এক নিশ্বাসে বলে থামলো প্রিয়া। দিয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল, “কি বুঝলে?”
আমি বললাম, “লড়াই বেশ ভালোই জমবে!!” বলে মুচকি হাসি দিলাম।


   প্রিয়া আমার কোমরে বসে আমার হাত গুলো বালিশের সাথে চেপে ধরে কিস করতে করতে বলল, “প্রিয় তুমি কিন্তু দিন দিন unromantic হয়ে যাচ্ছ।
আমি প্রিয়ার  ঠোঁটে আমার ঠোঁট আরও জোরে ঠেকিয়ে গভীর চুম্বন করে করে বললাম, “কেনো এরম কেনো মনে হয়?।
প্রিয়া: “আগে তুমি আমাকে কত ভালোবাসতে এমন কি publically আমাকে touch করতে এখন আর করোনা, ঠিকই বলে পুরনো হলে প্রেম কমে যায়” মুখ গোমড়া করে বললো
আমি প্রিয়ার একটা boob জামার ওপর থেকে জোরে খামচে ধরে টিপে দিয়ে বললাম, “তাই নাকি এটা বলে তুমি কিন্তু আমার ভিতেরর রাক্ষস তাকে জাগিয়ে তুলেছ, এবার তুমি আর সামলাতে পারবেনা”।
প্রিয়া আমার আরেকটা একটা হাত ওর অন্য boob টাই বসিয়ে নিজেই জোরে টিপতে টিপতে আর moaning করতে করতে বললো, “আমি চাই রাক্ষস আজ আমায় গিলে খাক”
আমি রীতিমত উত্তেজিত হয়ে প্রিয়াকে উল্টিয়ে আমি প্রিয়াকে বিছানার সাথে চেপে ঘাড়ে হালকা হালকা কামড় দিতে দিতে বললাম, “কালকে তোমায় কিন্তু বেশি মেকআপ করতে হবে আমার love bite ঢাকতে”।………….

সকালের অ্যালার্ম এর আওয়াজে ঘুম ভাঙলো, নিজেকে আবিষ্কার করলাম প্রিয়ার বুকে মাথা দিয়ে ঘুমাচ্ছি। প্রিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি নিষ্পাপ শিশুর মতো মুখটা। দেখলেই কেমন মায়া পড়ে যায়। সব কিছু দিয়ে শুধু প্রিয়াকে ভালোবাসতে মন চায়, মন চায় ধর্মতলার ভিড়ে গিয়ে চিৎকার করে বলি আমি তোমায় ভালোবাসি, মনে হয় যেন সাত সমুদ্র তেরো নদী রূপকথা নয় সত্যি বর্তমান, সেখানে চলে যায় প্রিয়াকে নিয়ে। যেখানে কেউ বাঁকা চোখে দেখবে না, যেখানে orientation থাকবে না, থাকবে শুধু মানুষ।
কল্পনা থেকে ফিরে এলাম প্রিয়ার উন্মুক্ত nipple টা আমার মুখে কাছে, মাথায় দুষ্টুমি চেপে ধরলো। আমি nipple টা মুখে পুরেই কামড় দিতেই প্রিয়া চিৎকার করে ঘুম থেকে উঠে বসল। প্রিয়া রাগী চোখে কটমট করে তাকিয়ে বলল, “সারারাত কামড়ে কামড়ে ব্যাথা করে দিয়েছো এখনও সখ মিটেনি”।
আমি যথাসাধ্য হাসি চেপে বললাম, “আমার বউ যখন ইচ্ছা আমি তোমাকে স্পর্শ করতে পারি”
প্রিয়া ওর nipple টা পরীক্ষা করতে লাগলো, দেখি ওটা লাল হয়ে গেছে সারা শরীরে lovebite। সকাল সকাল কপালে দুঃখ আছে জেনে কিছুক্ষণ পর বললাম বিছানা থেকে নেমে বললাম, “অফিসের জন্য দেরি হচ্ছে, তুমি ফ্রেশ হও আমি breakfast ready করছি” বলেই দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম। প্রিয়া বিছানার বালিশটা দরজার দিকে ছুড়ে মেরে বললো, “বের হও, অসভ্য!”

its only happened in Calcutta Where stories live. Discover now