part 7

89 3 0
                                    

আমাদের অফিস রুমের বাইরে বুটের হালকা আওয়াজ আস্তে আস্তে গাঢ় হয়ে থামলো রুমের দরজার কাছে।
রুমের বাতাস আস্তে আস্তে ভারী করে উঠছে,
ঠক…. ঠক… ঠক তিনবার আওয়াজ হলো দরজাতে। একটু চমকে উঠলাম, পরক্ষণে সামলে নিলাম।
“আসতে পারি?” , দরজার বাইরে তীক্ষ্ণ কিন্তু সুমধুর অথচ ভারিক্কি মেয়েলি কণ্ঠ বলে উঠলো।
প্রিয়া গলার আওয়াজে যেনো ভয়ে কুকড়ে গেলো।
আমি: “এতটা ভদ্রতার প্রয়োজন বোধহয় আর নেই”।
“ওহ I see”
দরজা ঠেলার আওয়াজ শুনতে পেলাম, সাথে বুটের শব্দটা আরো পরিষ্কার হলো,
আমি পা থেকে আস্তে আস্তে সামনের ব্যাক্তিকে নিরীক্ষণ করতে লাগলাম, যখন মুখের কাছে এসে থামলাম তখন বুকটা কেঁপে উঠলো, মুখটা বেশ মায়াবী, নীল চোখ যেনো পারে সবাইকে বশ করতে, যে পাথর তার মনও ধরা দিবে এই শ্রেয়সীর কাছে।
  ঠোঁটের কোণে মায়াবী হাসির ঝলক লক্ষ্য করলাম দীপ্তির লাবণ্য মন্ডিত মুখে।
পরক্ষনেই আমার সব কথা মনে আসতেই রাগে শরীর কেঁপে উঠলো। ঠোঁট দুটো আমার থরথর করে কেঁপে ওঠে। আমি নিজেকে সামলাতে না পেরে দীপ্তির কলার চেপে ধরি, দীপ্তি অতিরিক্ত ভরের জন্য দেওয়ালে পিঠ ঠেকালো। আমি আরো জোরে চেপে ধরলাম –
আমি: “কি চাই এখন? আমাদের জীবন নরক করে দেখতে এসেছো” যতটা সম্ভব রাগান্বিত স্বরে বললাম।
দীপ্তি: “নরক কই করলাম ডার্লিং এইতো এবার করবো প্রিয়াকে একরাতের জন্য আমার হবে”। সেই মায়াবী হাসি দিয়ে দীপ্তি।
ষড় রিপুর দ্বিতীয়টি আমার ওপর ভর করল, আমি দীপ্তির গালে জোরে ঘুসি মারলাম। দীপ্তি ঠোঁট কেটে গেল তবুও সেই মায়াবী হাসি বন্ধ হলোনা।
দীপ্তি রহস্যময় গল্পের কথকের মত বললো, “যতটা দাগ তুমি আমার শরীরে আঁকবে আমি দ্বিগুণ প্রিয়ার শরীরে অলঙ্কার করে তোমায় উপহার ফেরত পাবে”।
আমি আর একবার ঘুষি মারতে গেলে, প্রিয়া পিছন থেকে আমার হাত চেপে ধরে বললো, “stop it, প্রিয় আমি তোমাকে চাইনা তোমার কিছু হোক”।
আমি দীপ্তির কলার ছেড়ে দিয়ে বললাম, “আমার কিছু হবেনা আর যদি হয়েও তুমি আছো ভালো করার জন্য”
দীপ্তি কলার আর টাই ঠিক করে করে বললো, “লায়লা মুজনুর প্রেম ফেটে ফেটে পড়ছে”।
প্রিয়া দীপ্তির দিকে ঘুরে বললো, “তোমার সঙ্গে আমি বাজে বকতে চাইনা, একদিনের জন্য আমায় চেয়েছো আমি একদিনের আমি তোমার হবো, আমাদের বিরক্ত করা বন্ধ করো”।
আমার পা থেকে মাটি সরে গেলো, “কি বলছো প্রিয়া, তুমি এভাবে হার স্বীকার করতে পারো, we have to fight”
“I am doing for our best babe,” আমার গালে হাত রেখে বললো প্রিয়া।
আমি আবার আবার কিছু বলতে গেলে প্রিয়া আমাকে ঠোঁটে চুমু দিয়ে চুপ করিয়ে দিল।
এই চুম্বনে কোথাও যৌনতা ছিলনা, ছিল স্বস্তি ভরসা আর আত্মপ্রত্যয়ের ভাব। আমি কিছু বললাম না আর।
দীপ্তির দিকে চেয়ে তাকিয়ে দেখি সে কামুক চোখে প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
প্রিয়া বললো, “তুমি সময় বলে দিও প্রিয় আমাকে দিয়ে আসবে”।
এটা শুনে দীপ্তির চোখ দপ করে জ্বলে উঠলো।
সে বললো, “ওকে ডিয়ার, I will waiting, আজ রাত্রে পাঠিয়ে দিতে বলো তোমার প্রিয়কে”।
“তুমি এখন আসতে পারো, দীপ্তি”, দৃঢ় কন্ঠে বললো প্রিয়া।
“হুম যাচ্ছি এখন কিন্তু কথার যেনো বিপরীত যেন না হয়”।
“হবেনা আমি কথা দিয়েছি যখন”।
দীপ্তি দরজা ঠেলে বাইরে বেরিয়ে গেলো।
আমি প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম, “আমরা কি এটা ঠিক করলাম?”
প্রিয়া কিছু না বলে আমার হাতে একটা চিরকুট ধরিয়ে দিল।
চিরকুটটা পকেটে পুরে আমি প্রিয়ার দিকে তাকালাম। দেখলাম প্রিয়া স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো। বুঝলাম কোনো প্ল্যান এঁটেছে মাথার মধ্যে।
    রাত ৮.৩০ মিনিটের দিকে দীপ্তি ফোন করলো, “পাঠিয়ে দাও তোমার প্রিয়াকে, ওর দুধে আলতা দেহে আমি ব্যাথার ছবি অঙ্কন করবো, আর তুমি দেখবে কিন্তু কিছুই করতে পারবে না প্রিয়দর্শিনী রায়চৌধুরী, সেটাই হবে আমার জিত, তাই পাঠিয়ে দাও, চিন্তা নেই তুমিও লীলা খেলা দেখবে”।
আমি কিছু বলতে পারলাম না শুধু চোখ দিয়ে জলকণা একটার সাথে একটা মিশে ভারী হয়ে বিনা মেঘের বর্ষার মতো ঝরতে লাগলো।
প্রিয়া বুঝতে পেরেছে তাই কিছু না বলেই তৈরি হতে গেলো, বেরিয়ে আসলো মিনিট দশেক পর, দেখতে অপরুপ সুন্দর লাগলেও কোথাও যেনো কিছু একটা কমতি ছিল, হয়তো মনের, আমি সোফায় বসে ছিলাম, ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে এত বিভোর হয়ে ছিলাম যে প্রিয়া কখন আমার সামনে এসে হাঁটু মুড়ে বসেছে টেরই পেলাম না। গালে হাত রেখে চোখের জল মুছতে সম্বিত ফিরে পেলাম, এবার আর বাঁধ মানলো না দুচোখের জল যেনো বন্যার রূপ নিলো, যেনো থামতেই চাইনা, প্রিয়া কিছু না বলে জড়িয়ে ধরলো।  দুজনের কত না বলা কথা যেনো দুটো সমমন ধরে ফেললো, তাইতো আমরা সমপ্রেমী। না পারবে না কেউ আমাদের আলাদা করতে, আমরা হার মানবো না, পারবেনা কোনো প্রতিকূল আমাদের প্রবিত্র প্রেমের তরীর মুখ উল্টো করতে।
কিছুটা ধাতস্থ হলে প্রিয়া বললো, “চলো”
আমি হুম দিয়ে উঠে দাঁড়ালাম। দরজা বন্ধ করে গাড়িতে চাপতে দীপ্তি তার ঠিকানা পাঠিয়ে দিলো। প্রিয়া সাথে ঠিকানাটা নোট করে নিলো, আমার প্যান্টের ভিতরে ঢুকিয়ে দিলো।
উত্তর কলকাতার ঠিকানা। সুতরাং বেশিক্ষণ লাগলো না, গাড়ি থেকে নেমে প্রিয়ার সাইডের দরজাটা খুলে দিলাম, প্রিয়া কেমন যেন মনমরা লাগছিল, হয়তো ওর সাথে এরকম কিছু হবে ভাবতেই পারছিলনা, আমি ওর গায়ে হাত দিতে নড়ে উঠলো। আমি ওর হাত চেপে আশ্বাস দিলাম সব প্ল্যান মাফিক হবে, মুখে কিছু বললাম না।
আমি প্রিয়ার হাত ধরে নিয়ে গেলাম দীপ্তির ফ্ল্যাটের দিকে, কলিং বেল বাজানোর সাথে সাথে বেরিয়ে এলো, মনে হয় দরজার কাছেই দাড়িয়ে ছিল।
“আরে এসো লেসবিয়ান ভার্সন অফ রোমিও জুলিয়েট” , বললো দীপ্তি শুনেই রাগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠল, প্রিয়া আমার হাত চেপে ধরলো, বুঝলাম ঝামেলা চায়না।
আমি বললাম, “এই নাও যেমন বলেছিল, তেমনই করলাম”।
দীপ্তি শুধু হাসলো, বুঝলাম এত সহজে আমাদের ছাড়বেনা দীপ্তি। দীপ্তি এগিয়ে এসে প্রিয়ার গালে হাত রেখে বলল, “ওয়ও তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে, I wanna rip off your dress”। তারপর আমার সামনেই প্রিয়াকে ঠোঁটে কিস করলো, আমার বমি পাবার মত অবস্থা হয়ে এলো, রাগ মাথা ফেটে বাইরে আসতে চাইলো, আমার হাতটা প্রিয়া আরো শক্ত করে ধরে রইল। নিজেকে সংযত করে রাখলাম প্ল্যানের কথা ভেবে। কোনো কিছু প্রকাশ করা চলবে না।
প্রিয়াকে কিস করার পর নির্লজ্জের মতো দীপ্তি বলল, “do you like demo or you wanna more”
“I think I need a drink” আমি বললাম।
“go ahead, আমার এখানে various collection আছে”
“না আমি বাইরে থেকে কিনে নেবো, আমি তোমার dungeon থেকে মুক্ত হতে চাই, তুমি তোমার খেলনা পেয়ে গেছো, এবার আমাকে একটু একা থাকতে দাও, হাতজোড় করছি তোমার কাছে” , বললাম আমি।
এতে দীপ্তি খুশি হলো বেশ।
এক মুখ হাসি এনে দীপ্তি বললো,  “বেশ বেশ তুমি free, তোমার জান আমার কাছে যখন একটু relief তুমি পেতে পারো”
আমি প্রিয়ার দিকে তাকালাম, তার মুখ ভাবলেশহীন কিন্তু চোখে আত্মপ্রত্যয়ের ভাব দৃঢ়, ভাবছে হয়তো আমি ঠিক ওকে এই পরিস্থিতি থেকে ওকে বের করবই।
আমি কিছু না বলে দরজার দিকে পা বাড়ালাম। দরজার সামনে গিয়ে পিছন ফিরে প্রিয়ার দিকে তাকালাম, চোখের কোন দেখি ছলছল করছে। তাহলে আমার উপর থেকে কি বিশ্বাস কমে গেলো, না আমাকে পারতেই হবে। প্রিয়া আমার দিকে অনেক্ষন তাকিয়ে ছিল।
দীপ্তি একটা চড় মারলো প্রিয়াকে, চোখের কোণের একফোঁটা জল ছলকে মেঝের ওপর পড়লো, এই মুহূর্তে আমার হৃদয়ে কেউ যেনো হাজারটা পেরেক একসাথে চাপ দিয়ে উঠলো, গলা ভারী হয়ে এলো। মনে হলো এক ঘুষিতে দীপ্তির নাক ফাটিয়ে দিই।
প্রিয়াকে একপ্রকার টানতে টানতে বেডরুমের দিকে নিয়ে গেলো দীপ্তি।
আমি সজোরে দরজা বন্ধ করে এসে গাড়িতে হেলান দিয়ে নিঃশব্দে কান্না করলাম।
তারপর প্রিয়ার দেওয়া অফিসের চিরকুটটা বের করলাম দেখলাম তাতে লেখা আছে, “প্রিয় আমাদের গাড়িতে ট্র্যাকার বসানো আছে, and contract police”।
ভেবেনিলাম ফেললাম কি করতে হবে আমাকে।
আমি গুগল ম্যাপ খুলে কাছাকাছি মদের দোকান খুঁজলাম, পেয়েও গেলাম। গাড়ি স্টার্ট করে শেষবারের জন্য চোখের জল মুছলাম। চোয়াল শক্ত করে steering ধরলাম I can do it, বলে গাড়ি ছেড়ে দিলাম, একদম থামলাম মদের দোকানে। একটা উইনের শিশি কিনে গাড়িতে উঠলাম, তারপর এক ঢোক গলায় ঢেলে ট্র্যাকার খুঁজতে লাগলাম।
গাড়ির সিট, steering wheel চারিদিক তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোথাও খুঁজে পেলাম না।
কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে লাগলো, তারপর লুকিং গ্লাস – এ চোখ পড়লো। লুকিং গ্লাসের পিছনে ট্র্যাকারটা খুঁজে পেলাম। ট্র্যাকারটা হতে নিয়ে এদিক ওদিক দেখতে লাগলাম। সামনে একটা হলুদ রঙের টাক্সি দাড়িয়ে ছিলো। আমি কাছে গিয়ে উইন্ডো খোলা দেখে ট্র্যাকারটা হাত বাড়িয়ে টাক্সির মধ্যে ফেলে দিলাম।
কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে লাগলাম। ফোন টুং করে বেজে উঠতেই বুঝলাম আমার অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়ে এসেছে। ফোন খুলে দেখলাম দীপ্তি একটা লিংক পাঠিয়েছে। আমি লিংকে চাপতেই ফোনে একটা উইন্ডো খুলে গেলো, সেখানে দেখলাম প্রিয়াকে খাটের সঙ্গে blind fold করে বেধে রেখেছে। আস্তে আস্তে একটা একটা করে প্রিয়ার শরীর থেকে বস্ত্রের চিহ্ন মেটাচ্ছে। আমি অনেক জোর করে নিজের সব ইন্দ্রিয়কে সজাগ রেখে সোজা police station এর গাড়ি ঘোরালাম, এখন আমাকে দুর্বল হলে চলবে না আমার প্রিয়ার জন্য আমাকে শক্ত হতেই হবে। কখনোই অসুরের হাতে আমার প্রিয়াকে বলিদান হতে দেবনা। থানার সামনে এসে জোরে ব্রেক কসলাম, গাড়ির টায়ার মাটির সাথে ঘসা লেগে কর্কশ আওয়াজ তুললো। আমি সোজা ভিতরে গিয়ে বড়বাবুর টেবিলে বললাম, “একটা সাইকোপ্যাথ আমার গার্লফ্রেন্ডকে কিডন্যাপ করে টর্চার করছে এই দেখুন” বলে ফোনটা টেবিলের ওপরে রাখলাম। দীপ্তি তখন প্রিয়াকে সম্পূর্ণ নগ্ন করে তার শরীর উপভোগ করছে।
দারোগাবাবু ব্যাকুল হয়ে বললো, “Ma’am কি হয়েছে খুলে বলুন, এই শিন্দে Ma’am এর জন্য এক গেলাস পানি নিয়ে আয়”।
একটা কনস্টেবল টেবিলে এক গ্লাস জল রাখলে আমি সেটা এক নিঃশ্বাসে খেয়ে বললাম, “sir চলুন এখনই নাহলে ওকে মেরে ফেলবে, আমি জানি এই জায়গাটা কোথায়, sir আপনার পায়ে ধরছি”।
“ও, আপনি দেখছি পুরো রিসার্চ করে এসেছেন, শিন্ডে জিপ রেডি কর আমাদেরকে বেরোতে হবে, সঙ্গে মীনাক্ষীকে নিয়ে নে ব্যাপার জটিল লাগছে”।
“চলুন Ma’am, দেখি আপনার গার্লফ্রেন্ডের কিডন্যাপেরকে, আর আপনার ফোনটা আমাকে দিন”
আমি ফোনটা ইন্সপেক্টরকে দিলাম, আমরা পুলিশের জীপে উঠতেই জিপ ছেড়ে দিল।
ইন্সপেক্টর বাবু, ফোনের দিকে একমনে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমাকে সব কিছু জানতে চাইলো। আমি একেক করে বলতে লাগলাম সব কথা।
হটাৎ করে কথার মাঝে ইন্সপেক্টর বাবু বললেন, “দেখুন তো কি হলো আপনার কি হলো এটা”
ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি স্ক্রীন এ catch me if you can লেখা আছে, বুঝলাম দীপ্তি আমার ফোন হ্যাক করেছে।
ইন্সপেক্টরকে সেটা বললে তিনি কিছুক্ষন ভ্রু কুঁচকে রেখে বললেন, “ মিস প্রিয়দর্শিনী আপনি কি নাম বললেন যেন?”
“দীপ্তি!”
ইন্সপেক্টর এর চোখ গুলো জ্বলে উঠলো, “আরে শিন্ডে এই মালটা সে মনে হচ্ছে যার পিছনে CID শিকারি নেকড়ের মতো লেগে আছে, শিন্ডে তুই গাড়ি আরো জোড়ে ভাগা, আজ প্রমোশন পাকা ধরতে পারলে”
আমার বুকের হৃৎপিন্ডটা স্বাভাবিকের থেকে দুগুন জোরে হাতুড়ি পিটছে, সঙ্গে ভয়ে হাত পা থেকে ঘাম ঝরছে। পারব কি প্রিয়াকে বাঁচাতে।
পুলিশের জিপ তীর বেগে গরপারের রাস্তা দিয়ে দীপ্তির বাড়ির দিকে ছুটছে।
দীপ্তির বাড়ির সামনে কনস্টেবল সজোরে ব্রেক কষলো। গাড়ি থেকে ইন্সপেক্টর বাবু বললেন, “Ma’am আপনি আমাদের পিছনে থাকুন”।
ইন্সপেক্টর তার বন্দুক বের করে দরজার দিকে গিয়ে দরজায় টোকা দিল, কোনো উত্তর এলোনা।
আমার হৃদপিন্ডটা যেনো থেমে আসতে চাইলো। আমি মনের জোর একত্র করে দাড়িয়ে রইলাম।
আবার টোকা দিলো এবারও কোনো উত্তর এলোনা। Police এবার দরজা ভেঙে ফেলার হুমকি দিলো তাতেও কাজ হলোনা।
শেষে দরজা এক লাথি মারে ফেলা হলো, police হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকলো, আমিও ঢুকলাম কিন্তু কোথায় প্রিয়া, ঘর পুরো অন্ধকার।
কেউ ঘরের লাইট জ্বালিয়ে দিতেই আমার মুখ দিয়ে আর্তনাদ বেরিয়ে এলো, ঘরের মেঝেতে রক্তে ভেজা। মেঝেতে একপাশে প্রিয়ার ড্রেস পরে আছে সেখানে ছুটে গিয়ে দেখলাম, সেটা রক্তে ভিজে সিক্ত হয়ে আছে। ড্রেসটা হতে নিতে গিয়ে মনে হলো আমার চোখে জালি পরে যাচ্ছে, আস্তে আস্তে ঘরের অক্সিজেন কেউ যেনো শুসে নিচ্ছে। মাথা গুলিয়ে উঠলো, চোখের সামনে সব কালো হয়ে উঠলো, শেষ পর্যন্ত মনে আছে আমি পড়ে যাচ্ছি – black out।
                                      End

its only happened in Calcutta Where stories live. Discover now