নাজিবা, আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড। দীর্ঘ ১০ বছর পর হঠাৎই দেখা হল এই কাকডাকা ভোরে। কমলাপুর স্টেশনে।
শেষবার যেদিন দেখা হয়েছিল সেদিন ও পরেছিল একটা হলুদ সালোয়ার কামিজ। বেশ আঁটসাঁট ছিল, মনে পড়ে। আমি ওর ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম দেখা করতে। বন্ধ ছিল ওদের ব্যাচের এক্সাম শেষে, এমনিতে ক্যাম্পাস খোলাই ছিল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকির চত্বরে এসে বসেছিলাম আমরা। দুরত্ব বজায় রেখে, অশান্ত মনকে খুব কষ্টে বেঁধে রেখে।
কোন এক রহস্যজনক কারণে ও আমাকে এড়িয়ে চলছিল কয়েক মাস। জানতাম না কেন।
সেই কেন'র উত্তর খুঁজতে ঢাকা থেকে ছুটে যাই আমি।
উত্তরটাই আমাকে ওর বিষয়ে নিরুত্তর করে দিল আমাকে।
ওকে আগে থেকে না জানিয়েই এরকমই এক শীতের সকালে রওনা হয়েছিলাম রাজশাহীর পানে। কাজলা গেটে বাস থেকে নেমে হাতের বাঁয়ে দেখি এক রেস্টুরেন্ট, নাম জর্ডান রেস্টুরেন্ট। বেশ 'কুখ্যাতি' শুনেছি এই রেস্টুরেন্টের। যুগলদের প্রথম পছন্দ নাকি এই রেস্টুরেন্ট, যারা নিজেদের যৌবনকে খানিকটা উজাড় করতে চায়। প্রেম ছাড়াও পেশাদার রূপোপজীবিনীকে নিয়েও কয়েক ঘন্টার রোমান্সে দোষ নেই এখানে।
ভাবলাম ঢুকি এখানে। সিঙ্গেল বলে বসতে বাধা দেবে না নিশ্চয়ই। খালি পেট, সিরাজগঞ্জ এ যাত্রা বিরতিতে নেমে শুধু কফি আর সিগারেট খেয়েছি একটা৷
"সিগারেট টা ছাড়লে না এখনো, তাই না?"
কথায় সম্বিৎ ফিরল আমার। দেখি নাজিবা ট্রেনের দরজায়, আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে সিগারেট টানা আমার পুরোনো বদ অভ্যাস।
একমুখ ধোঁয়া ট্রেনের বাইরে ছেড়ে বললাম,
"ছাড়িনি। ধূমপান হল নিঃসঙ্গতার সঙ্গী"
"সঙ্গী জুটিয়ে নিলে তো পারতে, নিঃসঙ্গতা আর কত"মেজাজ খানিকটা খিচড়ে গেল৷ তবু চুপ থাকলাম। হাসিও পেল কেন যেন। মুচকি হেসে তাকালাম। জিজ্ঞেস করলাম, "চিটাগাং যাচ্ছ, উঠছো কোথায়? আত্মীয়-স্বজন কারো বাসায়?"
ESTÁS LEYENDO
এক্স গার্ল ফ্রেন্ড উইথ বেনিফিট
Romance১০ বছর আগে ব্রেকাপ হওয়া এক্স গার্লফ্রেন্ড নাজিবার সাথে পুনরায় কয়েকদিন দেখা হবার পর দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে রাহুল। তবে সম্পর্কটি আর শরীরেই থাকেনা কয়েকটি মিলনের পরে। রাহুলের নিঃসঙ্গ জীবনে সংসারী নাজিবা আসে নতুন জীবনের স্বপ্ন হয়ে। হতে চায় প্রেমিকা, অর...