" অলংকার "

1 0 0
                                    


🌼 ‘অলংকার’ শব্দটির শাব্দিক অর্থ হলো গহনা, ভূষণ, আভরণ ইত্যাদি। সাহিত্যে এ শব্দটির অর্থ ভাষার সৌন্দর্য ও মাধুর্যবৃদ্ধিকারী গুণ। তাই সাহিত্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ভাষা প্রয়োগের একটি বিশেষ রীতির নাম অলংকার। যেমন : অনুপ্রাস, রুপক, উপমা ইত্যাদি। এই অলংকার শাস্ত্রের উৎপত্তি হয়েছে প্রাচীনকালে গ্রিক ভাষার সাহিত্য থেকে। তারপর আস্তে আস্তে সারা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় ছড়িয়ে পড়েছে। উপমহাদেশেও প্রাচীনকাল থেকেই অলংকারের প্রয়োগ রয়েছে। অলংকার সম্পর্কে বিভিন্ন আলংকারিক যেমন দণ্ডী, বামন, বিশ্বনাথ কবিরাজসহ নানাজন নানাভাবে অলংকারের সংজ্ঞা দিয়েছেন। তবে সবচেয়ে সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা দিয়েছেন উপমহাদেশের বিশিষ্ট ভাষাবিজ্ঞানী ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। অলংকার সম্পর্কে তিনি বলেন-‘যে গুণ দ্বারা ভাষার শক্তি বর্ধন ও সৌন্দর্য সম্পাদন করা হয়, তাকেই অলংকার বলে।’

অলংকার প্রধানত দুই প্রকার ।

১. শব্দালংকার,
২. অর্থালংকার ।

                       🍁 শব্দালংকার 🍁

শব্দের ধ্বনির সাহায্যে সৌন্দর্য সৃষ্টি করে যে অলংকার তাকে শব্দালঙ্কার বলে। জীবেন্দ্র সিংহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শব্দের ধ্বনি রূপের আশ্রয়ে যে সমস্ত অলঙ্কার সৃষ্টি হয়, তাহাদের শব্দালঙ্কার বলে।’ ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর ‘বাঙ্গালা ব্যাকরণ’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘যাহা দ্বারা শব্দের চমৎকারিত্ব বর্ধিত হয়, তাহাকে শব্দালঙ্কার বলে।’ উদাহরণ – ‘চুল তার কবে কার অন্ধকার বিদীশার নিশা।’ জীবনানন্দ দাশ এখানে ‘র’ ধ্বনি চারবার ব্যবহার করেছেন। ফলে ধ্বনিমাধুর্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শব্দালঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে ।

শব্দালঙ্কার নানা ধরনের হয়ে থাকে। নিম্নে বিভিন্ন ধরনের শব্দালংকারের পরিচয় সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো:-

🍀 ১.অনুপ্রাস : একই ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছের পুনঃপুনঃ বিন্যাসকে অনুপ্রাস বলে। অনুপ্রাস সাধারণত শব্দের প্রথমে, মাঝে ও শেষে থাকে।

যেমন:-👇

ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখন অন্ধ, বন্ধ করো না পাখা। (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

রূপতত্ত্ব রসতত্ত্ব ছন্দ ও অলঙ্কার Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang