মারিয়া সমুদ্র প্রবাল ছেড়ে গভীরে ডুব দিল। যত গভীরে যায় তত বেশি নীল হতে থাকে সমুদ্রের লোনা জল। সমুদ্র সকালে সূর্যের আলোতে যতটা বেশি নীল দেখায় রাতের অন্ধকারে সমুদ্রের তলদেশ যেন সবুজ বর্ণ ধারণ করে। সমুদ্রের মধ্যে এঁকেবেঁকে চলতে গেলে তার মৎস্য সদৃশ লেজ থেকে উৎপন্ন হয় কম্পন। এই কম্পন বজায় রাখে সমুদ্র তলদেশে মাছেদের মধ্যে যোগাযোগ। মারিয়া আমোদে ঘুরে বেড়াতে থাকে জলের মধ্যে। তার ঘাড়ের দুপাশে মাছের ন্যায় ফুলকা দিয়ে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেই। শুনতে পায় কতগুলো শব্দতরঙ্গ। ছোট ছোট মাছেরা সূক্ষ্ম শব্দ তৈরি করে। তাদের ভাষা তার অজানা নয়। বালির উপর দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে অসংখ্য কাঁকড়া। সাঁতরে সাঁতরে চলে আসে অনেকটা গভীরে। এতো গভীরে ভূগর্ভস্থ চাপ অনেক বেশি।
সাধারণত মানুষ এদিকটায় না তো এসেছে আর না কখনো আসতে পারবে। এখানে অন্ধকার বেশি। বালির উপর বিশাল পাথরের শিলা। এর মাঝে রয়েছে পাথরের তৈরি দরজা। দরজা ঠেললে দেখা যায় উজ্জ্বল নীলচে আলো। মারিয়া সমুদ্রের নিচে দেখতে পায় তার দেশটাকে। আটলান্টিস। বলতে গেলে তার দুই পৃথিবীর একটি। একটিকে স্থলে কিছুক্ষণ আগে ছেড়ে এসেছে। এখানে রয়েছে পাথরের তৈরি ঘর। মনুষ্য জগতের কৃত্রিম আলোর পরিবর্তে প্রাকৃতিক আলো। রং বেরঙের বর্ণের আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছে চারপাশে। সবুজ শৈবাল ন্যায় ঘাস চারপাশে। সেইসাথে ছোট ছোট জলজ উদ্ভিদ। মারিয়ার বাড়ি বেশি দূরে নয়। দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করল। ভাবলো এড়িয়ে নিজের ঘরে চলে যাবে। কিন্তু ডাক শুনতে পেল। বসার ঘর থেকে ডাক এসেছে। মারিয়া মাথা নিচু করে এগিয়ে যায়। ডাক দেওয়া ব্যক্তিটি বলল,
: এতক্ষণ কোথায় ছিলে?
মারিয়া মাথা তুলে বলল,
: এই তো বন্ধু বান্ধবীদের সাথে টাইটানিক জাহাজ দেখতে গিয়েছিলাম। তাই তো ফিরতে দেরি হলো। ভেবেছিলাম তোমাকে বলে যাবো কিন্তু ভুলে...
: একদম মিথ্যা বলবে না।
মারিয়া মাথা নিচু করে ফেলে। ব্যক্তিটি বলল,
YOU ARE READING
সমুদ্রতটের মৎস্যকন্যা
Fantasyরবিন তার হোটেলের রুমের বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে। দূরে সমুদ্র সৈকত দেখা যাচ্ছে। সমুদ্রের লোনা জল এসে বালিময় সৈকতের বুকে আছড়ে পড়ছে। সেইসাথে দক্ষিণা বাতাস গায়ে যেন শীতের শিহরণ জাগিয়ে তুলে। যদিও শীতকাল আসতে আর কিছু দেরি। এইসময় সমুদ্র ঘুরতে আসতে...