প্লেবয়
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
লেখা: নীলা মনি গোস্বামী
পর্ব -৩
সেদিন থেকেই শুরু।এরপর থেকে প্রতিদিনই দেখা হতো ওদের।বৃষ্টির দিনে রিকশার হুড তুলে হাতে হাত রেখে ঘুরে বেড়ানো, পার্কে বসে হেঁড়ে গলায় গান গাওয়া, চা দোকানে বসে আড্ডা দেয়া ওদের প্রতিদিনকার রুটিন হয়ে দাঁড়ালো।আসাদ অনেক কেয়ার করতো ইপ্সিতার।সব সময় ওকে উপদেশ দিতো। ছোট ভিড়ওয়ালা বাসে উঠতে মানা করতো সব সময়।মাঝরাতে ভয় পেয়ে যখন ইপ্সিতা আসাদকে ফোন দিতো, তখন আসাদ ইচ্ছেমতো বকে দিতো ওকে।বকার ধরন দেখে খিল খিল করে হেসে ঘেমে উঠতো ইপ্সিতা।আসাদের কথা বলার ধরনগুলো কেমন যেনো আদুরে আদুরে লাগতো।তখন শক্ত করে জাপটে ধরে বলতে মন চাইতো, " সারাজীবন এভাবেই থাকিস আমার পাশে।"বেশ চলছিলো ওদের দিনগুলো।ইপ্সিতা জীবন ছিলো আসাদময়।আসাদের সাথে ওর বাবার অনেক মিল খুঁজে পেতো ইপ্সিতা।ওর বাবার মতোই ধবধবে হলদে ফরসা আসাদ।মাঝারি সাইজের লম্বা।মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি,একমাথা কোঁকড়ানো চুল।মুখে সারাক্ষন হাসি লেগেই থাকে।সব কিছু মিলে যায় ওর বাবার সাথে।বাবার মতোই ইপ্সিতাকে অনেক অনেক আদর করতো আসাদ।ও যখন রেগে যায়,তখন খুব সুন্দর করে হেসে হেসে কথা বলে ছেলেটা।মজার মজার গান শোনায়। মাথা ঠান্ডা করে বোঝায়।সামনে থাকলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।ম্যাজিকের মতো দূর হয়ে যায় ইপ্সিতার সমস্ত রাগ অভিমান।এই ছেলেটাকে পাগলের মতো ভালোবাসে ইপ্সিতা।মাঝে মাঝেই আদর করে আসাদকে এটা ওটা কিনে দেয় ইপ্সিতা।ঐতো সেদিন হোস্টেলের খাবার খেতে পারে না বলে মা ওর জন্য কিছু টাকা পাঠিয়েছিলো।ইপ্সিতা একটা টাকাও খরচ করেনি পুরোটা টাকাই আসাদকে দিয়ে দিয়েছিলো।হেডফোন, জুতা, রেস্টুরেন্টের বিল,যাওয়া আসার ভাড়া সব ইপ্সিতাই দিতো।আসাদ খুশি হতো অনেক।ওর খুশিটা খুব উপভোগ করতো ইপ্সিতা।ভালো লাগতো ভীষন।
ইপ্সিতা মেয়েটা ভীষন রকমের আলাদা।অন্য মেয়েগুলোর মতো না।কেমন যেনো নিষ্পাপ একটা সরলতা কাজ করে মেয়েটার মাঝে।চোখে মুখে কোমলতা আর পবিত্রতার ছোঁয়া।আসাদের একটা কথায় সমস্ত দুনিয়া হাজির করে দেয় মেয়েটা।ইপ্সিতাকে একদিন বাসায় এনে মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে আসাদ।ঘুম থেকে উঠার পর থেকেই এসব কথা মাথার ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছিলো আসাদের।চোখ ডলতে ডলতে বারান্দায় চলে এলো সে।এবং চমকে গেলো ভীষনভাবে।
পাশের বাড়ির বারান্দায় একটা পরি দাঁড়িয়ে আছে।হাঁটু সমান লম্বা সোনালী চুল।চিকন সুন্দর ফিগার।সুগঠিত ঠোঁট,আয়ত চক্ষু। পরনে পাতলা ঢিলেঢালা একটা টিশার্ট আর শর্টস।বারান্দায় দাঁড়িয়ে ব্যায়াম করছে মেয়েটা।ব্যায়ামের দমকে কেঁপে কেঁপে উঠছে ওর সুগঠিত দেহটা।টিশার্টের ফাঁক দিয়ে উঁকিঝুঁকি মারছে ওর ফরসা মসৃন দেহটা।কেমন যেনো মন্ত্রমুগ্ধের মতো ওর দিকে তাকিয়ে আছে আসাদ।চোখ সরাতে পারছে না।মসৃন জিহ্বাদিয়ে নিজের ঠোঁটটাকে একটু চেটে নিলো আসাদ।ভাবটা এমন যেনো, সামনের মেয়েটাকে চেটেপুটে খাচ্ছে সে।
চলবে........!
YOU ARE READING
প্লেবয়
Romanceআসাদ বিশ্বপ্রেমিক। যাকে তাকে ভালোবাসা বিলিয়ে দিতে ভীষন ভালোবাসে সে। আজ একে ভালোবাসে, কাল অন্য আরএকজনকে। এভাবেই চলছিলো তার দিনগুলো। তারপর????