#প্লেবয়
পর্ব-১১
লেখা : নীলা মনি গোস্বামী
তন্নতন্ন করে খুঁজলো পুরো ঘরটা।কোথাও খুঁজে পেলো না ইপ্সিতাকে। বাথরুমেও নেই সে। অতঃপর রান্নাঘরের দিকে ছুটলো অহক।সেখানেও নেই ইপ্সিতা। কিচেন কাউন্টারের ওপর চোখ গেলো হঠাৎ।বিশাল লাল রঙের একটা বাটি রাখা সেখানে।বাটি ভর্তি ধোয়া ওঠা গরম নুডুলস।পাশেই ছোট্ট একটা প্লেটে স্যান্ডউইচ রাখা। হার্ট শেপে কেটে রাখা মোটাসোটা একটা স্যান্ডউইচ। সাদা মেউনিজ গড়িয়ে পড়ছে টপটপ করে। স্ট্রবেরি দিয়ে কেটে ছোট্ট করে কি যেনো লিখে রাখা হয়েছে। লালচে স্ট্রবেরি দিয়ে - I love you. লেখাটা বিড়বিড় করে পড়লো অহক।
হেসে উঠলো সে। ফিসফিস করে বললো-" আই লাব্বিউ টু ইপ্সি। "
ঠিক তখনি পিঠে হালকা কিছুর স্পর্শ পেলো হঠাৎ।কে যেনো সূচালো কিছু একটা চেপে ধরেছে অহকের পিঠে।
........এবং তারপরই ভয়ঙ্কর একটা আর্তনাদ দিয়ে মাটিতে আঁছড়ে পড়লো অহক। কিছু একটা প্রচন্ড জোড়ে এসে আঘাত করেছে ওর পিঠের ওপর।ভয় পেয়ে গেলো ইপ্সিতা।খেলনা বন্দুকের বুলেটে তো আঘাত লাগার কথা না, তাহলে অহক ব্যাথা পেয়েছে কেনো??
দৌড়ে ছুটে গেলো অহকের কাছে। অহক তখনো মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছে। ইপ্সিতা কাছে গিয়ে বসতেই লাফ দিয়ে উঠে বসলো অহক।হেসে হেসে গড়িয়ে পড়লো ইপ্সিতার গায়ের ওপর।অহকের নাটকটা ধরতে পেরে রেগে কেঁদে ফেললো ইপ্সিতা।এক মূহুর্তের জন্য থমকে গেলো অহক,তারপর জড়িয়ে ধরলো ইপ্সিতাকে। মুছে দিলো ওর চোখের পানি।
ওরা দু'জন যখন বাচ্চামিতে মেতে ছিলো, আসাদ।তখন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো। দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলো ইপ্সিতাকে। অহক কত্ত সুখী রেখেছে মেয়েটাকে। অহকের জায়গায় আসাদের থাকার কথা ছিলো....। কিন্তু........
অহক আর ইপ্সিতার হাসি হাসি মুখের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ করেই একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো আসাদ।খুব ভয়াবহ একটা সিদ্ধান্ত। ইপ্সিতাকে যেভাবেই হোক লাগবে ওর। মেয়েটাকে না পেলে ওর একদমই চলবে না।
চলবে........।
YOU ARE READING
প্লেবয়
Romanceআসাদ বিশ্বপ্রেমিক। যাকে তাকে ভালোবাসা বিলিয়ে দিতে ভীষন ভালোবাসে সে। আজ একে ভালোবাসে, কাল অন্য আরএকজনকে। এভাবেই চলছিলো তার দিনগুলো। তারপর????