#প্লেবয়
শেষ পর্ব
লেখা : নীলা মনি গোস্বামী
রাগে অন্ধ আসাদ শক্ত করে জাপটে ধরে রেখেছে অপলাকে। ছোট্ট অপলা ধস্তাধস্তি করতে করতে ক্লান্ত।চোখের নিমেষেই ওকে পিছমোরা করে বেঁধে ফেললো। দৌড়ে রান্নাঘরে চলে গেলো আসাদ।দু'মিনিট পরেই ফিরে আসলো আবার। হাতে আগুনে পোড়ানো গরম ছুরি।
ধীর পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে সে অপলার দিকে। ইপ্সিতার মেয়েটাকে মেরে ফেলবে সে। মারার আগে মন ভরে কষ্ট দিবে। চোখদুটো গেলে ফেলবে। হাত পা ছিদ্র করে ফেলবে ধারালো ছুড়ির খোঁচায়। এটাই হবে ইপ্সিতার শাস্তি। সারাজীবন কেঁদে মরবে মেয়ের দুঃখে।
গরম ছুরিটার দিকে বিষ্ফোরিত চোখে তাকিয়ে আছে অপলা। ভয়ের চোটে চিৎকার করতেও ভুলে গেছে বাচ্চা মেয়েটা।আসাদের হাতে ধরা ছুরিটা তখন ধীরে ধীরে অপলার চোখ বরাবর উঠে যাচ্ছে। গেলে দিতে চাইছে সে অপলার চোখদুটো। ভয়ে চোখ বন্ধ হয়ে গেলো অপলার।ইপ্সিতা তখন ঘরের ভেতর বসে অসহায়ের মতো কাঁপছিলো। হঠাৎ দেখলো পা টিপিটিপে কল্প এসে দাঁড়িয়েছে আসাদের পেছনে। হাতে লম্বা সূচালো কী যেনো একটা। একটু ভালো মতো তাকাতেই চিনে ফেললো জিনিসটা আসলে কি। একটা স্কুইটগান।ট্রিগার টিপে দিলেই আগুনের ফুলকি বের হয়। অহকের বন্দুক।
কাঁপা কাঁপা হাতে ট্রিগারটা টিপে দিলো কল্প।.... এবং সাথে সাথেই একটা বিষ্ফোরন হলো।কেঁপে উঠলো কল্প। বিষ্ফোরনের দমকে হাত থেকে ছিটকে পড়ে গেলো বন্দুকটা।চমকে পিছনে ফিরে তাকালো আসাদ। দৌড়ে গেলো কল্পের কাছে। এই বিচ্ছু ছোড়াটাকেই আগে শেষ করবে সে। কিন্তু কিছু করার আগেই মাটিতে ঢলে পড়লো আসাদ। স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস ফেললো কল্প। যাক!!! ক্লোরোফর্মের স্প্রেটা ঠিকঠাক মতোই কাজ করেছে তাহলে!!!
মনে মনে ধন্যবাদ জানালো তার বাবাকে। বাবা যদি এসব না শেখাতো, তাহলে পরিস্থিতি আজ অন্যরকম হতে পারতো। দৌড়ে বোনের বাঁধন খুলে দিলো কল্প। বাবাও এসে পড়েছে । আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নিয়ে বুঝে ফেললো ঘটনা। দ্রুত হাতে দরজার লক খুলে বের করে আনলো ইপ্সিতাকে।
বাইরে তখন ঝড় তুফানের তান্ডব চলছে। প্রবল বাতাসের তোড়ে ভেঙ্গে পড়ছে গাছপালা,বাড়িঘড়। পানিতে ভেসে যাচ্ছে সমস্ত গ্রাম।দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে সবাইকে নিয়ে।
বাইরে বের হয়ে এলো ওরা।এক মূহুর্তের জন্য থমকে গেলো অহক। জিজ্ঞাসুদৃষ্টিতে ওর দিকে তাকালো ইপ্সিতা।
" আসাদকে নিয়ে আসি " কথাটা বলেই দৌড়ে ঘড়ের ভেতর যেতে চাইলো অহক।
কিন্তু তার আগেই সর্বনাশটা ঘটে গেলো। বাতাসের তোড়ে নড়ে উঠলো পুরো ঘরটা।মট মট শব্দ করে ভেঙ্গে পড়লো ঘড়ের ছাদ।ভেতর থেকে অস্ফুট একটা মরন আর্তনাদ শোনা গেলো । কেঁপে উঠলো সবাই। দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে এলো আসাদের জন্য।
তারপর দ্রুত পায়ে ছুটলো ওরা সামনের দিকে।বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে ঝড় বাড়ছে।বাঁচতে হবে ওদের।যেতে হবে আশ্রয়কেন্দ্রে।
সমাপ্ত।
ESTÁS LEYENDO
প্লেবয়
Romanceআসাদ বিশ্বপ্রেমিক। যাকে তাকে ভালোবাসা বিলিয়ে দিতে ভীষন ভালোবাসে সে। আজ একে ভালোবাসে, কাল অন্য আরএকজনকে। এভাবেই চলছিলো তার দিনগুলো। তারপর????