Miracle
Writer : Mahabuba Metuএকদম চেনা যাচ্ছিলো না রয়া কে। কেমন যেন বিমর্ষ দেখাচ্ছিলো ওকে পায়ে শিকল বাধা। আমি বাক হয়ে ওর কাছে গেলাম। বললাম ওর এই অবস্থা কেন অাংকেল...!
রয়া আমার দিকে তাকিয়ে নরম গলায় বলছে
: আমায় বিয়ে করবা তুমি না....???? বলেই কেদে দিলো।
ও আরো বললো
: ও না এই বিয়েটা হতে দিবে না। ও আমাকে খুব মেরেছে তোমায় বিয়ে করতে রাজি হয়েছি তাই।
বলেই কাদতে শুরু করলো.....আমি কিছুই বলতে পারছিলাম না। আমার বাবা ও সেখানে ছিলো। আমি অবাক হয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম বাবা কি হচ্ছে এসব...?
বাবা আমাকে নিয়ে বাইরে এসে পরলো। আমি বের হতেই রয়ার হৈচৈ শুরু হলো।
বাবা আমাকে সব বললো। রয়ার উপর নাকি জ্বীনের আছড় আছে। এক রাঙা, সুন্দরী, নিখুত মেয়েদের উপর নাকি এদের আকর্ষণ থাকে। আর এজন্যই মার কিনে দেওয়া লাল কাতান পরানো হয় নি ওকে। ঢাকাতে ওদের বাড়িতে এই প্রভাব বেশী তাই উনারা গ্রামে এসেছেন ভেবেছেন বিয়েটা এখানে হলে কোন ঝামেলা হবে না।তাছাড়া এর আগে রয়া কখনোই এমন আচরন করে নি। তবে এর আগে এত সুন্দরী হওয়া স্বত্তেও রয়ার বিয়ের সম্বন্ধ গুলো অজানা কারনে ভেঙে যেত।
ওর সাথে থাকা আছড়টা চায় না রয়া বিয়ে করুক।আমি শুনে হেসে দিলাম। এটা কোন কথা হতে পারেনা বাবা। ব্যাকডেটেড মানুষের মতো কথা বলছো কেন।
রয়ার বাবা পিছন থেকে আমার কাধে হাত দিয়ে বললো এসব সত্য বাবা। তবে আমরা কিছু বলিনি ভেবে ছিলাম একটু সময় নিলে ঠিক হয়ে যাবে।বাবা আমার হাত ধরে বললো প্লিজ তোর মাকে কিছু বলিস না। কাল সকাল পর্যন্ত দেখি কি হয়।
আমি সেখান থেকে এসে সোজা রুমে চলে গেলাম। বন্ধুগুলোও চলে গেছে সন্ধ্যায়। মন খারপটা কমানোর কোন উপায়ই নাই।
একসময় নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবতাম। তবে জীবণের সবচেয়ে বড় যে পরীক্ষা তা নিয়েই টালবাহানা হচ্ছে আমার সাথে।
পরদিন সন্ধ্যায় আমরা ঢাকায় রওনা হলাম নতুন বৌ সাথে নিয়ে। তবে সেটা রয়া নয়। অন্য একটা মেয়ে।
মা সেরাতেই জেনেছিলো রয়ার ব্যাপারটা।অবশ্য আমি কিংবা বাবা কেওই বলিনি।
পরে মা রয়ার বাবা-মাকে রিকুয়েস্ট করে তাদের পরিচিতর মধ্যে কোন বিয়ে উপযুক্ত মেয়ে আছে কি না যাকে আমার সাথে বিয়ে দেওয়া যায়। কারণ ঢাকাতে সবাই অপেক্ষা করছে আমাদের। আমরা নতুন বৌ নিয়ে ফিরবো তাই।
চলবে...