ইনসমনিয়া ও শেষ রাতের অনুভূতি

111 1 0
                                    


একটি রাত নির্ঘুম পার করে দিলাম। ফজরের আজান ভেসে আসছে। মিনারের সুর, অসাধারন এক মধুর ধ্বনি এ সুরের মাঝে। সারা রাত ই পড়ার টেবিলের দিকে মুখ করে থেকেছি । কখনও পদার্থ, কখনও রসায়ন বইয়ের গবেষণা নিয়ে .।

আজানের সুরে ঘুমন্ত নগরীর মানুষ গুলো একটু একটু করে জেগে উঠছে । পরিবেশ টা অনেক শান্ত । রাতের কুয়াশাময় অন্ধকারটা কেটে আবছা অন্ধকার থেকে পরিবেশের রং বদল ঘটে চলছে। ধীরে ধীরে ফর্সা হচ্ছে সকাল টা । যদিও মৃদু কুয়াশার দেখা পাচ্ছি । ভালোভাবে দেখার জন্য জানালার গ্লাসটি হাল্কা সরিয়ে দিতেই শীতের পরশ বুলানো হিমেল হাওয়ার স্পর্শে মনে হচ্ছে বহুকাল ধরে এমন একটি নৈসর্গিক সকালের অপেক্ষায় থেকেছি। বাসার সকলে ঘুম । দিনের কর্ম ব্যস্ততার ক্লান্তিকে দূর করতেই রাতের একরাশ ঘুম।

আজান থেমে গেছে কিছুক্ষণ আগেই । ''আসালাতু খাইরুম মিনার নাউম''- শীতের ভোরে এমন মধুর ধ্বনি শুনতে পাওয়ার সৌভাগ্য সম্ভবত স্রষ্টার বিশেষ নজরের ব্যক্তিরাই পেয়ে থাকেন। অনেকেই রাতের ঘুমকে বিদায় জানান এই সুরের মাধমেই । নৈশ প্রহরী তার কর্তব্যের শেষ বাঁশি ফুঁকছেন এ সুর শুনে , অধীর অপেক্ষায় থেকেছেন এই সুরটি শুনবেন বলে । সারারাত ই তো ঘুমন্ত নগরীর অতন্দ্র প্রহরীর কাজ করেছেন । এবার না হয় রাতের ক্লান্তিময় কর্তব্যের ইতি টানা যাক আজকের মত । প্রতিটা দিনের সকাল টা আমাদের পরিকল্পনায় থাকে। থাকে দিনের, সন্ধ্যার এত্ত এত্ত প্ল্যান !!! শুধু তাদের ক্ষেত্রে ই ব্যতিক্রম মনে হয় । প্রতিটা দিনের সূচনালগ্নে তিনি বিশ্রাম নেন। আজকে ও তার ব্যতিক্রম নয়। আবার তো দিন শেষের ক্লান্ত মানুষ গুলোর শ্রান্তির জন্যই নতুন একটি রাতেকে প্রহরায় রাখতে হবে। নতুন রাতকে তে নির্ঘুমতার মাধ্যমেই নগরবাসীর নিরাপত্তার প্রহরী হয়েই কাটিয়ে দিতে হবে .............

অনুভূতির অনু গল্পWhere stories live. Discover now