দ্বিতীয়বার কলিংবেল চাপতেই মনে পড়ল কলিংবেলটাতো নষ্ট! উফ্,কী ঝামেলা! এখনতো অন্য কেউ না এলে গেট খুলে ভেতরেও যাওয়া যাবে না৷ অগত্যা গেটের বাইরে হাঁটাহাঁটি করা৷
মুনিয়া নিজের ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে পানি খেল এবং কোনো সহৃদয় ব্যক্তির নিচে নেমে আসার অপেক্ষা করতে লাগল৷
কারো পায়ের আওয়াজ শুনে মুনিয়া গেটের কাছে এসে দাঁড়াল৷
অর্ক খানিকটা দুর্বার গতিতে নিচে নেমে আসছিল৷ হঠাৎ করে মুনিয়াকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে গতি পাল্টে হেঁটে এল৷
“তোমার কাছে গেটের চাবি নেই ?”,গেটের তালা খুলতে খুলতে অর্ক জিজ্ঞেস করল৷
“আহা! বুদ্ধির কি নমুনা ! চাবি থাকলে এখানে দাঁড়িয়ে থাকতাম? গর্ধব!!”,মনে মনে অর্ককে বেশ ঝাড়াঝাড়ি করল মুনিয়া৷
“কাউকে তো এট লিস্ট বলতে পারতে গেটটা খুলে দেয়ার জন্য”, অর্কর কথায় খানিকটা রূঢ় ভাব৷
“আম্মু বোধহয় কলিংবেলের শব্দটা শুনতে পায় নি”, রাগ সামলে নিয়ে মুনিয়া ভেতরে ঢুকল৷
অর্ক গেট লাগিয়ে দিতে দিতে বলল,
“তুমি যেন কোন ক্লাসে পড়?”“ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার”
আর কোনো কথা না বলে অর্ক চলে গেল৷ অর্ক চলে যেতেই মুনিয়ার মেজাজ ঠিক হয়ে গেল৷
গত বছর অর্ক বুয়েটে আর্কিটেকচারে চান্স পাওয়ার পর থেকে মুনিয়ার উপর দুবেলা যেন গযব নাযিল হয়েছে,
“একবার ৪ তলায় গিয়ে দেখে আয়৷ প্রতিদিন তোর মাথার উপর থেকে বুয়েটে যায়৷ আর তুই ? একটা নার্সারির বাচ্চাও তোর থেকে বেশি পড়ে”
মায়ের মুখের এই কথা এখন মুনিয়ার মুখস্ত এবং সহ্যও হয়ে গেছে৷ মুনিয়ার যদি পড়তে ভাল না লাগে তাহলে তাতে তার দোষটা কোথায়? কিন্তু এ কথাটা মাকে বোঝায় কার সাধ্য!
আর এই অর্কটাও হয়েছে যেমন! মুনিয়াকে দেখলেই যেন সে উকিল হয়ে ওঠে৷ তুমুল প্রশ্নবাণ আর তার সাথে কথায় ধমকের সুর,তরকারিতে লবণের মত তো আছেই!
কিন্তু অর্ককে দেখলেই মুনিয়ার কথা যেন আটকে আসে৷ মনে হয় সামনে থেকে পালাতে পারলেই যেন বাঁচে ৷
কিন্তু কেন এমন হয়?
এ প্রশ্নের কোনো উত্তর মুনিয়া নিজেও খুঁজে পায়নি..
----------------------------------------------------------------------------
চলবে...........
أنت تقرأ
মেঘ বৃষ্টির আমন্ত্রণে
القصة القصيرة"আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকল খানে আছে সে নয়নতারায়, আলোকধারায় তাই না হারায়....." প্রতিটা মানুষের ভালোবাসার নিজস্ব ধরন থাকে৷তাই সেই ভালোবাসার প্রকাশ ও হয় স্বতন্ত্র৷কিন্তু একটা বিষয় সব ক্ষেত্রেই এক৷ মনের মানুষ মনের চিলেকোঠায় যে চি...