মুনিয়াদের বাসার ছাদটা অনেক সুন্দর। একটা বড় গাছের ডাল এসে পরেছে পশ্চিমের দিকটায়। এখানে এসে একা বসে থাকতে মুনিয়ার খুব ভাল লাগে। চারিদিকের শান্ত পরিবেশে সে যেন এক অন্য জগতে চলে যায়। প্রতিদিন বিকেল হলেই সে ছাদে চলে আসে।কখনো চুপচাপ বসে থাকে,কখনো দাঁড়িয়ে দূরের প্রকৃতি দেখে।
আজও মুনিয়া ছাদে বসে ছিল।জনজীবন থেকে অনেক দূরে যে ভাবনার জগতে সে ভাসছিল,তা থেকে বাস্তবে ফিরে এল মায়ের মাইকিং শুনে।
"মুনিয়া, একটু নিচে নেমে আয় তো মা"
মায়ের ডাকে সম্বিত ফিরে পেয়ে দ্রুত নিচে নামতে গিয়ে বেশজোরে কারো সাথে ধাক্কা খেল মুনিয়া।
আচমকা রেলিং এর সাথে ধাক্কা খেয়ে অর্ক কয়েক সেকেন্ড কিছুই বুঝতে পারল না।কিন্তু তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলে নিল।স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়াতেই হঠাৎ অর্ককে দেখে মুনিয়া জোরে জোরে হাসতে শুরু করে দিল।কিন্তু অর্কর মাথা ঝিমঝিম করতে লাগল।সে মুনিয়াকে ধমক দেয়ার কথাও ভুলে গেল।
হঠাৎ মায়ের আবার ডাক কানে আসতেই মুনিয়া হাসি থামিয়ে সাইক্লোন এর বেগে নিচে নেমে গেল।
এমন অদ্ভুত প্রজাতি যে কেন এবং কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে তা অর্ক বুঝতেও পারল না!!
-----------------------------------------------------------
ছাদে এসেও কিছুতেই মেয়েটার হাসিটা অর্কর মাথা থেকে যাচ্ছে না।এই প্রথম অর্কর মনে হল মেয়েটা বেশ সুন্দর দেখতে। চোখ দুটো যেন অনায়াসেই অনেক কথা বলে ফেলতে পারে। চোখে যেন পুরো একটা সাগর ঢুকে আছে!
কি আশ্চর্য!এসব কি ভাবসে সে!!
ছাদে এসেছিল পড়ার জন্য।কিন্তু পড়া তো মাথায় উঠেছে।জোর করে বই খুলল অর্ক।
নাহ! পড়া হবে না।গত ১০ মিনিট যাবত চেষ্টা করে সে এক লাইনও পড়তে পারেনি। কেবল চোখের সামনে সেই হাসি মুখটাই দেখতে পেয়েছে, আর কানে বেজেছে হাসির ঝংকার।
কোনোভাবেই সম্ভব না এখন পড়া। অর্ক বই বন্ধ করে উঠে পড়ল। ছাদ থেকে নামার সময় আবার ধাক্কা খেল।
"এই মেয়ে!! তোমার সমস্যাটা কী? সবসময় উল্কার বেগে চলাফেরা কর কেন?"
---------------------------------------------------------------
চলবে.......
ESTÁS LEYENDO
মেঘ বৃষ্টির আমন্ত্রণে
Historia Corta"আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকল খানে আছে সে নয়নতারায়, আলোকধারায় তাই না হারায়....." প্রতিটা মানুষের ভালোবাসার নিজস্ব ধরন থাকে৷তাই সেই ভালোবাসার প্রকাশ ও হয় স্বতন্ত্র৷কিন্তু একটা বিষয় সব ক্ষেত্রেই এক৷ মনের মানুষ মনের চিলেকোঠায় যে চি...