রবিন দশম শ্রেণীতে পড়ে।রবিন খুব ভালো ছাত্র ।রবিন বগুড়া জিলা স্কুলের ছাত্র।তার রোল দুই।ক্লাসের সবার সাথে তার ভালো সম্পর্ক।গত বছরের সেপ্টেম্বরে তারা পিকনিক করতে ঢাকায় গিয়েছিল।এখন তারা যাবে কক্সবাজারে।ডিসেম্বর মাসের পাঁচ তারিখে ভোরে ছয়টায় তারা কক্সবাজারে যাচ্ছে।যেতে যেতে দুপুর সাড়ে বারোটা বেজে গেল।তারা ইনানি বিচে গেল।তারা বন্ধুরা মোট এগারো জন।তাদের শিক্ষক রফিক সার বলল, তোমরা ঐদিক দিয়ে ঘুরে আসো আমি আসছি।তাই তারা ঘুরতে ঘুরতে শেষে কানা রাজার গুহার সামনে চলে আসে।তারা জানত না যে এই গুহাটি অভিশপ্ত।অনেক দিন আগে এ গুহাতে একটি কুকুরের গলায় দড়ি বেঁধে পাঠানো হয়েছিল।কিন্তু কিছু সময় পর কুকুর ফিরে এসেছিল রক্তাক্ত অবস্থায়।এ গুহাতে নাকি কিছু মানুষও নিখোঁজ হয়েছিল।রবিনের বন্ধু রাশেদ বলল,চল এই গুহাটিতে ঘুরে আসি।রাশেদের কথায় চার জন যেতে চাইল না তবে বাকি সাতজন যেতে চাইল।রবিন অনেক নিষেধ করল কিন্তু সাতজন যেতে চাইল।তারা যখন গুহায় ঢুকে একটু দূরে গেল তখন তারা দেখল এই গুহায় আরো কিছু দরজা আছে।তারা দুই নম্বর দরজাটিতে কিছু মানুষ এর পায়ের ছাপ স্পষ্ট দেখতে পেল।তখন
তারা পায়ের ছাপগুলোকে অনুসরণ করে সামনে যেতে থাকে।হঠাৎ তাদের মধ্যে একজন বন্ধু রাকিবকে কে যেন পিশাচ সুরে ডাক দিল।তারপর তারা পিছনে তাকিয়ে দেখে রাকিব নেই।তারা যখন রাকিবকে খোঁজতে পিছনের দিকে হাটে তখন তারা দেখে কি একটা যেন তাদের দিকে দৌড়ে আসছে।বলছে,থাম....থাম....থাম।তারা তখন দাড়ালো।পরে দেখল রবিন তাদের দিকে এগিয়ে আসছে।আর বলছে,আমাকে অনুসরণ কর নাহলে মরবি।রবিন তার বন্ধুদের গুহার আরো অনেক গভীরে নিয়ে যায়।কিছু সময় ধরে তারা খেয়াল করে রবিন তো এভাবে কথা বলে না।পরে রিয়াদ খেয়াল করল রবিনের পা দুটো পিছন দিকে ঘোরানো।তখন রিয়াদ ভয় পেয়ে যায়।তখন সে এই ঘটনা তাদের বন্ধুদের বলে।তখন সবাই ভয় পেয়ে যায়।তখন সবুজ বলে,এ তো রবিন হতে পারে না ও একজন পিশাচ।রবিনের রূপ ধরে আছে।তখন তারা দেখল রবিন সব কিছু শুনে ফেলেছে।তখন তারাদেখল,রবিন তাদের ধরার জন্য দৌড়ে আসছে।তখন রবিন তাদের মধ্যে একজন বন্ধুকে ধরে ফেলল এবং কামড়াতে কামড়াতে তার হাড় ছাড়া কিছুই রইল না।এভাবে আস্তে আস্তে রবিন এর চেহারা পিশাচের মতো হয়ে গেল এবং রবিন এর মতো দেখতে অবিকল আরো পাঁচ জন হয়ে গেল।দেখতে দেখতে তারা সবাই আলাদা হয়ে গেল।পরে তারা কেউ আর মিলিত হতে পারে নি।পরে তারা সবাই এই পিশাচের হাতে মারা যায়।পরে সময় ঘনিয়ে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বাইরে রবিন,মাসুদ,খালেক,কবির আর তাদের শিক্ষক রফিক সার আর অপেক্ষা করতে পারলেন না।তাছাড়া রফিক সার বিকাল সাড়ে চারটায় এসেছিলেন।তিনি রবিন এর কাছ থেকে সব শুনেছিলেন।পরে তিনি তার ছাএদের নিয়ে ঢুকলেন বাকি সাতজনের খোঁজ করতে।কিন্তু কিছুদুর যাওয়ার পর তারা খেয়াল করল কেউ কাঁদছে।তারা দেখল,একটু দূরে রাকিব কাঁদছে।আর তাদের দেখে বলছে সামনে যেও না এবং আরও বলছে চল চলে যাই আর ওরা মারা গেছে।পরে তারা রাকিবের থেকে সব ঘটনা শুনে পুলিশকে খবর দেয়।পরে পুলিশরা গুহাটিতে সাতজনকে খুঁজতে গিয়ে নিজেরাও নিখোঁজ হয়ে যায়।পরে সেখানে সাবধান সিগন্যালের সাইনবোর্ড লাগানো হয়।পরে শিক্ষক বাকি পাঁচজনকে নিয়ে বগুড়া চলে আসে।
(ঘটনাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক হলেও কক্সবাজারে আসলেই "কানা রাজার গুহা"নামক একটি গুহা
আছে।তবে এই গুহার পিছনে কিছু সত্য ঘটনা আছে)।(চলবে)
ESTÁS LEYENDO
রবিন ও তার বন্ধুরা
Terrorরবিন দশম শ্রেণীর ছাত্র।সে বগুড়া জিলা স্কুলে পড়ে।এই গল্পটি মূলত রবিন ও কক্সবাজারের কানা রাজার গুহা নিয়ে লেখা।এই গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।এই গল্পটি ভয়ঙ্কর ও রহস্যময়।এখন আমি পাঠকদের সম্বোধন করে বলছি,আপনারা সম্পূর্ণ ঘটনাটি বুঝতে বইটি পড়ুন।ধন্যবাদ।