রবিন যখন বগুড়ায়

116 9 4
                                    

কক্সবাজার থেকে রবিন যখন বগুড়ায় চলে আসে তারপর সে কয়েকদিন ধরে কিছু দুঃস্বপ্ন দেখে।সে তার মা বাবাকে তারপর সব ঘটনা বলে এবং সে তার বন্ধুদেরও বলে।রবিন স্কুলে গিয়ে তার বন্ধুদের বলে-আমি কিছুদিন ধরে কিছু দুঃস্বপ্ন দেখছি।আমি প্রতিদিন স্বপ্ন দেখি যে আমার মৃত বন্ধুদের পিছনে আমি তাদের শরীরের মাংস খাওয়ার জন্যে দৌড়াচ্ছি।আর আমি প্রতিদিন স্বপ্নে এটাও দেখি যে আমার মৃত সাতজন বন্ধুরা আমাকে বলে-
আমাকে মারিস না রবিন।তারপর আমি গতকাল স্বপ্নে দেখেছি যে তারা আমাকে বলছে "তুই আমাকে বাঁচা"এবং তুই যদি আমাদের না বাঁচাস তাহলে আমরা সাতজন বন্ধু তোদের মেরে ফেলব।রবিন তার বন্ধুদের সব ঘটনা খুলে বলার পরেও তারা কেউই রবিনের কথা বিশ্বাস করল না।পরে রবিন যখন স্কুল থেকে বাসায় আসে।তখন সে তার মার কাছ থেকে শুনে-রাকিবের মা তার মাকে বলেছে-রাকিব নাকি আজ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে।রবিন এটা শুনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল।এভাবে আস্তে আস্তে রবিনের প্রতিটি বন্ধু মারা গেল।তাদের মধ্যে একজন প্রথমে নিখোঁজ হয়।পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয় "কানা রাজার গুহার"সামনে থেকে।তার শরীরের প্রায় প্রতিটি অংশে কামড়ের দাগ ও নখ দিয়ে খামচানোর দাগ।মনে হয় কোনো হিংস্র  জন্তু তার এই অবস্থা করে রেখে গেছে।এভাবে তার আরেক বন্ধু পুকুরে ডুবে মারা গেছে।এভাবে 
আরেক বন্ধু আট তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে মাথা ফেটে মারা গেছে।এভাবে আরেক বন্ধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মারা গেছে।এভাবে তার সেই চারজন বন্ধু মারা যায়।এবার রবিন ভাবল-এভাবে পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না।হয়ত এরপর ওরা আমাকেও মেরে ফেলবে।এর একটি বিহিত করতে হবে।এরপর রবিন ঠিক করল সে একজন কবিরাজের
সঙ্গে দেখা করবে।পরে সে একজন কবিরাজের সাথে দেখা করল।পরে সে এই সব ঘটনা কবিরাজকে খুলে বলল।কবিরাজ প্রথমে এত দূরে যেতে চাইল না।পরে রবিন অনেক কষ্টে তাকে রাজি করাল।এখন রবিন ঠিক করল সে ঐ কবিরাজের সঙ্গে কক্সবাজারে যাবে।তো রবিন তার বাবা-মার কাছ থেকে অনুমতি নিতে গেল।প্রথমে রবিনের মা-বাবা অনুমতি দিতে চাইল না।পরে রবিন অনেক কষ্টে তাদেরকে রাজি করাল।পরেরদিন রবিন ও কবিরাজ রওনা দিল।তাদের কক্সবাজারে পৌঁছাতে সাত ঘণ্টা লাগল মানে দুপুর দুইটা বেজে গেল।
চলবে.............

রবিন ও তার বন্ধুরাTempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang