রবিনের কক্সবাজারে যাওয়া

108 9 0
                                    

তো রবিন যখন কক্সবাজারে আসে তখন সে সর্বপ্রথম যায় কানা রাজার গুহার সামনে।তখন সে কবিরাজকে বলে,আপনার সবকিছু তৈরি আছে তো?তখন কবিরাজ বলে,"জি"।তারপর কবিরাজ আরও বলে,আপনার কাছে এই দোয়া পরা পানি এবং এই তাবিজটি সঙ্গে রাখুন।এবার কবিরাজ বলল,আপনাকেও কিন্তু আমার সাথে গুহায় যেতে হবে।কিন্তু আপনার কিন্তু ভয় পেলে চলবে না।ভয় পেলে ওরা আপনাকে আরও ভয় দেখাবে।তো কবিরাজের কথামত রবিন কবিরাজের সঙ্গে গুহায় ঢুকল।গুহায় ঢুকেই রবিন লাশ পঁচার উৎকট গন্ধ পেল।তারপর রবিন ও কবিরাজ যতই গুহার ভিতরে যেতে লাগল গন্ধটা ততই তীব্র হতে লাগলো।হঠাৎ........... রবিনের চোখ পড়ল কবিরাজের পায়ের দিকে রবিন দেখল,কবিরাজের পা উল্টো।তখন রবিন বুঝতে পারল,ইনি কোনো
কবিরাজ নন ইনি কোনো খারাপ আত্মা।তখন রবিন আর দেরি করল না।তখন সে কবিরাজের দোয়া পরা পানি নকল কবিরাজের দিকে ছিটিয়ে দিল।তারপর চোখের পলকে নকল কবিরাজ ভয়ঙ্কর একটি চিৎকার দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল।তখন সে কিছুটা ভয় পেল।তখন সে গুহা থেকে বের হতে চাইল কিন্তু পারল না।কারণ ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।রবিন দেখল,সে যে জায়গা দিয়ে ঢুকেছিল সেখানে একটি পাথর পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে।তখন রবিনের কিছুটা রাগও হলো।সে তখন ভাবল আজই সে এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বে।কিন্তু তখন.....কে যেন রবিনের কাঁধের উপর হাত রাখল।রবিন তখন খুব ভয় পেয়ে যায়।ভয়ে ভয়ে রবিন পিছনে ফিরে দেখে......কে যেনো প্রায় ২০ মিটার দূর থেকে হাতটাকে লম্বা করে রবিনের কাঁধে রেখেছে।তখন রবিন খুবই ভয় পেয়ে যায়।তখন সে কি করবে ভেবে পায় না।রবিন তখন মনে মনে বলে,"বিপদের সময় মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়।"তাই যা করার মাথা ঠান্ডা রেখে করতে হবে।রবিন এগুলো চিন্তা করতে করতে দেখে এতক্ষণ ধরে প্রায় ২০ মিটার দূরে যে লোকটি দাঁড়িয়েছিল,সে তার হাতটা রবিনের কাঁধ থেকে সরিয়ে ফেলল এবং তার নিজের হাত ক্রমশ ছোট করতে লাগল।এরপর রবিন দেখে ঐ লোকটা হারিকেন নিয়ে রবিনের দিকে এগিয়ে আসছে।যখন ঐ লোকটি রবিনের অনেক কাছে চলে আসে তখন রবিন দেখে সেই লোকটির এক হাতে হারিকেন এবং অন্য হাতে কবিরাজের কাটা মাথা।এবং সেই লোকটি দেখতে অবিকল রবিনের মতই।তখন রবিন এটা দেখে গুহার ভিতরের দিকে দৌড় দিতে চাইল কিন্তু পারলো না।কারণ রবিন যখন গুহার ভিতরে দৌড় দিতে যাবে ঠিক তখনই তার চেহারার সেই লোকটি খুব শক্ত করে তার এক হাত চেপে ধরল।আর পিশাচি সুরে বলল, "মানুষের মাথার স্বাদ নিয়েছিস কখনো?"এই দেখ আমি কীভাবে মানুষের মাথা খাই।এটা বলে পিশাচ লোকটি রবিনের হাত ছেড়ে দিয়ে কবিরাজের মাথাটা খুব মজা করে খাবলে খেতে লাগল।এটা দেখে রবিন মনে মনে বলল,"এই তো সুযোগ।"পরে সে এটা ভেবে তার গায়ের সকল শক্তি দিয়ে দিলো দৌড়।কিন্তু দৌড় দিয়েও তেমন একটা লাভ হলো না।একটু দূরে গিয়েই সে ক্লান্ত হয়ে গেল।তার গায়ে আর এক ফোঁটা শক্তি নেই।পরে সে পিছনে তাকিয়ে দেখল,সেই পিশাচ লোকটি এবার তার দিকে দৌড়ে আসছে তাকে খাওয়ার জন্য।(চলবে)

রবিন ও তার বন্ধুরাWhere stories live. Discover now