আর বলছে,"আমাকে ফাঁকি দিয়ে পালাতে চাচ্ছিস?মনে হয়,তোর মগজের স্বাদ কবিরাজের মগজের স্বাদের চেয়ে আরও
সুস্বাদু হবে!পিশাচ লোকটির এই কথা শুনে রবিন খুব ভয় পেয়ে যায়।আর ঠিক তখনই রবিনের মনে পড়ে যায় কবিরাজের দেওয়া
সেই তাবিজটির কথা।সে তখন আর দেরি না
করে কবিরাজের দেওয়া সেই তাবিজটি পড়ে
নেয়।তারপর রবিন দেখে পিশাচ লোকটি তার অনেক কাছে চলে এসেছে এবং বলছে,
"আমাকে তাবিজ দিয়ে ভয় দেখাবি?খোল তাবিজ!খোল!পরে রবিন যখন গায়ে একটু
জোর পেল তখন সে দেখল,হঠাৎ পিশাচ লোকটি অদৃশ্য হয়ে গেছে।কিন্তু সে তার হারিকেনটি নিয়ে যায়নি।পরে রবিন সেই হারিকেনটি নিয়ে গুহার ভিতরের দিকে যেতে
লাগল।হঠাৎ কি যেন একটা রবিনের পায়ের সাথে বাজল।পরে রবিন দেখল,একটি কুঠারের সাথেই তার পা বেজে গিয়েছিল।পরে রবিন সেই কুঠারটিকে তুলে নিল কারণ হয়তো কোনো সময় এই কুঠারটিও কাজে লাগতে পারে।তারপর কুঠার নিয়ে রবিন গুহার ভিতরের দিকে যেতে লাগল এবং কিছুক্ষণ হাঁটার পর রবিন শুনতে পেল কেউ কাঁদছে এবং বলছে,আমরা কি সারাজীবন এই গুহাতেই বন্দি থাকব?পরে রবিন সেই কান্নার শব্দটিকে অনুসরণ করে যে কান্না করছে তার কাছে গেল এবং দেখল দুইজন লোক গুহার ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় এক কোণায় বসে আছে।তাদের মধ্যে একজন কাঁদছে।আর তাদের কাছে একটি বড় ব্যাগও রয়েছে।রবিনের তাদের দেখে মনে হলো তারাও হয়তো এখানে এসে ফেসে গেছে।কিন্তু ঐ দুইজন লোক যখন তাদের সামনে অন্য কারও উপস্থিতি বুঝতে পারে এবং রবিনের দিকে তাকায় তখন সাথে সাথে তাদের মধ্যে একজন লোক অজ্ঞান হয়ে যায়।(চলবে)
ESTÁS LEYENDO
রবিন ও তার বন্ধুরা
Terrorরবিন দশম শ্রেণীর ছাত্র।সে বগুড়া জিলা স্কুলে পড়ে।এই গল্পটি মূলত রবিন ও কক্সবাজারের কানা রাজার গুহা নিয়ে লেখা।এই গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।এই গল্পটি ভয়ঙ্কর ও রহস্যময়।এখন আমি পাঠকদের সম্বোধন করে বলছি,আপনারা সম্পূর্ণ ঘটনাটি বুঝতে বইটি পড়ুন।ধন্যবাদ।