© নউসিয়াত জাহান
উফঃ আবার সেই কল সেন্টারের বিরক্তিকর মহিলাটা!
নাহ, আর সহ্য হচ্ছে না। এক দৌড়ে হৃদি ঘর থেকে বেরিয়ে এলো।
এখন নিশ্চয়ই শান্ত গলির মোড়ের দোকানটায় বসে সিগারেট খাচ্ছে আর আড্ডা দিচ্ছে। হৃদি সেদিকেই রওনা দিলো।***
ওইতো, শান্তকে দেখা যাচ্ছে, ব্রেঞ্চে বসে আছে। হালকা গোলাপি টি-শার্ট আর কালো থ্রি কোয়ার্টার পড়া। গলায় প্লাটিনামের চেইনটা আজো চকচক করছে।
হৃদি কেঁদে কেঁদে তার কাছে গিয়ে বললো, "শান্ত, তোর সাথে আমার খুব জরুরি কথা আছে। একটু আসবি প্লিজ?"শান্ত বিরক্তি নিয়ে বলল, "উফঃ, ডিস্টার্ব করিস না তো! মমতাজ আপুর বের হওয়া নতুন এলবাম আর রোনালদোর পেনাল্টি মিসের কারণে রিয়াল মাদ্রিদের হার নিয়ে কথা বলছি।"
হৃদি এবার শান্তর হাত ধরে টানতে শুরু করলো। দোকানের সবাই হৃদির দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু হৃদির তাতে কিছু যায় আসে না। অবশেষে শান্ত চূড়ান্ত বিরক্তি নিয়ে বাধ্য হয়ে উঠে এলো। ক্রিকেট খেলার মাঠের পাড়ে যেদিকে মানুষ কম হৃদি শান্তকে সেদিকে নিয়ে গেলো।
শান্ত রাগ করে বললো,
----- সমস্যাটা কী? তোর যে রূপ আছে তা দোকানের ছেলেদের দেখিয়ে বেড়াতে হবে নাকি?হৃদি কাঁদছে তো কাঁদছেই। কিছুক্ষণ পার হলে শান্ত বললো,
----- এখানে দাড়িয়ে থাক তুই, ছিচকাঁদুনে হাবলি, আমি গেলাম।হৃদি শান্তকে যেতে দিলো না। পেছন থেকে ঝাপ্টে ধরলো। শান্ত আঁতকে উঠে তাড়াতাড়ি হৃদির হাত ছাড়িয়ে নিলো।
----- সর্বনাশ! দেখি, ছাড়! ছাড়! আচ্ছা, শান্ত হো, কী হযেছে? তোকে কী কেউ কিছু বলেছে?হৃদি মাথা নাড়ালো, "না"।
----- কোনো ছেলে ডিসটার্ব করেছে?
----- না।
----- নওশিন প্রীতি কিছু বলেছে?
----- না।
----- তাহলে কী?
----- শান্ত তুই কী আমাকে একটু বিয়ে করবি?
----- এটা কী প্রপোজ ছিলো? আমি কী ঠিক শুনেছি?
----- হুম।
----- হাবলিরা তো এভাবেই প্রপোজ করবে। এই কথাটা বলতে তোর এতো দিন লাগলো?
----- যদি তুই না করে দিস সেই ভয়ে! আমাকে তো তুই খালাম্মা ডাকিস।
----- খালাম্মাদের কী কোনো খালু বিয়ে করে না?
----- তুই তো আমাকে পছন্দ করিস না! আমার দিকে ফিরেও তাকাস না! সেদিন অনুষ্ঠানে তোর জন্য কত শখ করে সেজেছিলাম!
----- তুই তো কানা চশমিশ! তোর দিকে তাকাই কী না তাকাই সেটা কী তুই দেখবি নাকি! সেদিন আমার জানটা বেরিয়ে যাচ্ছিলো! তোর নীল কাজলের পানি ভরা চোখ আর লাল ঠোঁট দেখে আমার রীতিমতো নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো! তাই সিনথিয়ার নাম করে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে পালিয়েছিলাম!
YOU ARE READING
হৃদয় দেওয়ার তিথি
Short Storyঅনেকক্ষণ ঝেড়ে কেশেও যখন শান্ত হৃদির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হলো না তখন সরাসরি গিয়ে হ্যালো বলতে হলো। ----- হ্যালো! আমার নাম শান্ত। তুমি নিশ্চয়ই আমাকে চেনো? তুমি হৃদি তাই না? ----- হ্যাঁ। ----- বাই দা ওয়ে, পরিচয় তো হয়েই গেলো। তাহলে আজ থেকে আমরা বেস্...