-"আলিবাবা, আলিবাবা....... দরজা খোল।" প্রায় পনের মিনিট ধরে ডাকাডাকি আর ধাক্কা-ধাক্কি করার পর আলিফ দরজা খুলল।
সাথে সাথে প্রায় ওকে ধাক্কা দিয়ে আয়াত রুমের ভেতর ঢুকে গেল। আলিফ কেনোমতে পড়ে যেতে যেতে শেষ মুহূর্তে নিজেকে সামলে নিল।
-"এতক্ষণ ভেতরে বসে কী করছিলি? দরজা খুলছিলি না কেন?" আয়াত এমনভাবে ঘরের চারিদিকে তাকাচ্ছিল যা দেখে যে কেউ বুঝতে পারবে যে আলিফ ঘরের দরজা বন্ধ করে সন্দেহজনক কিছু করছিল কিনা তা সে বুঝতে চেষ্টা করছে।
-"বার্থরুমে ছিলাম।"
এই উত্তরে আয়াত মোটেও অবাক না হয়ে ওর দিকে ফিরে দাঁড়াল।
আলিফ একবার বার্থরুমে ঢুকলে যে কমপক্ষে আধা ঘন্টার আগে আর বের হবে না এই অদ্ভুত তবে সত্য কথাটির সাথে ওরা সবাই অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
বার্থরুমে যেয়ে ও কী যে করে তা কে জানে? মাঝে মাঝে আয়াতের কেন জানি মনে হয়, ওর হয়ত কোনো বার্থরুম বৌ আছে, যার সাথে শুধু বার্থরুমে গেলেই দেখা হয়। আর এই 'বার্থরুম বৌ' এর সাথে গল্প করতে করতে আধা ঘন্টা-এক ঘন্টা কেটে যায়।
ওর দিকে একরকম বিষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আয়াত বলল, "আমার স্কার্ফ দে।"
-"স্ক-স্কার্ফ....... কোন স্কার্ফ? কিসের স্কার্ফ? কেমন স্কার্ফ? আমি কোনো স্কার্ফ এর কথা জানি না। তোর স্কার্ফ কই আমি কি করে জানব?" আলিফ অবাক হওয়ার ভঙ্গিতে বলল।
-"শোন, আমার সাথে ঢং করবি না। আমি খুব ভালো করেই জানি তুই-ই তোর চল্লিশ চোরের সাথে মিলে আমার স্কার্ফ চুরি করেছিস।" তুই কথাটার ওপর বিশেষ ভাবে জোর দিল আয়াত। "যদি ভালো চাস তো আমার স্কার্ফ ফেরত দিয়ে দে। আমার নিচে যেতে দেরি হয়ে যাচ্ছে।"
-"আমি সত্যিই নেই নি।"
-"আমি জানি যে তুই-ই নিয়েছিস।"
-"না, আমি নেই নি। সত্যি বলছি।"
আয়াত বুঝতে পারল ওর সাথে কথা বলে কাজ নেই। তাই আর কথা না বাড়িয়ে আলিফের রুম সার্চ করা শুরু করল।
YOU ARE READING
হাউজ অফ্ ডাক্তার্'স
General Fictionহায়াত তো বর এসেছে শুনে লজ্জায় আর একটু হলে মাটির নিচেই ঢুকে যাচ্ছিল। ওদের বাবা সাঈদ হোসেনকে এত খুশি আগে কখনো দেখা যায় নি। আর মা তো সবার সামনে হাসে আর আড়ালে গিয়ে কাঁদে। নায়া তো ওর বান্ধবীদের সাথে বেশ মজা করছে। আর আমাদের আলিফ, ওই শয়তানটা (আমি জানি যে ও...