"অন্ধ হয়ে থাকি কেবল অন্ধ হয়েই থাকি
গাছের ডালে বসতে গেল একটি টিয়াপাখিআঃ প্রতিকূল তীর এসে তার বিঁধল নরম গায়
গোটা জীবন দেখার ইচ্ছে, দেখতে পাব না।"#
--- কাঁকরদি, তোমরা কি আগে শিলিগুড়িতে থাকতে গো?
--- সে তো অনেক আগে রে, কেন বল তো?
রাত্তিরের কোনোকালে অভ্যেস নেই একটু থেমে, ভেবে কথা বলবার। তাড়াতাড়ি বলার জন্য ওর নাম হয়েছিল ফুলঝুরি, তারাবাতি, মাইলামিনিট। তড়িঘড়ি করে বললো, আহা বলোই না কবে থাকতে। খুব দরকার।
কবে থাকত কাঁকর শিলিগুড়িতে? তিরিশ বছর আগে? না কি পঞ্চাশ? আজকাল মনেও পড়ে না ছাই। নাহ, অতোদিন আগে বোধ হয় না। তার বোধ হয় এখনো পঞ্চাশ হয় নি।
--- ক্লাস থ্রি থেকে ক্লাস নাইনের হাফইয়ার্লি অব্দি ছিলাম। মানে '৮৬ থেকে '৯২ সাল পর্যন্ত। তারপর বাবার ট্রান্সফার হয়ে গেল কলকাতায়।--- আমার ফ্রেন্ডলিস্টে একজন আছে জানো তো, শিলিগুড়ির। তোমাকে চেনে বলল। রুদ্রদা।
--- আমি তো ওই নামে কাউকে চিনি না রে!
--- না না, তুমি চেনো না। ও বলেছে ও তোমাকে চেনে। শিলিগুড়িতে থাকত তো।
--- শিলিগুড়ি একটা খুব বড়ো শহর, পুঁটি।
--- সে হোকগা। আচ্ছা শোনো না, ও হয়তো তোমাকে ফ্রেন্ড রিকো পাঠাবে। খুব ভালো দাদাটা।
--- সে পাঠাক না! আমি তো এমনিতেই সব রিকো অ্যাকসেপ্ট করে নিই।
হাঁউমাউ শুরু করে দেয় রাত্রি। কতোবার বলেছি। সব অখাদ্য ফেকদের রিকো অ্যাকসেপ্ট করবে না। তুমি কোনো কথা শোনো না। পরে যত্তো উটকো ঝামেলায় কে জড়িয়ে পড়ে শুনি? হাঁউমাউ হাঁউমাউ হাঁউমাউ।
হ্যাঁ, উটকো ঝামেলায় জড়িয়ে পড়া কাঁকরের স্বভাব। যে বাঁঁচবেনা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা। যে অপমানিত হবে তার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ানো। যে ব্যথা পাবেই তাকে আগলানোর পণ্ডশ্রম।