"বহুকালের সাধ ছিলো তাই কইতে কথা বাধছিলো
দুয়ার খুলে দেখিনি, ঐ একটি পরমাদ ছিলো
যখন তুমি দাঁড়াও এসে, আন্ধারে রোদ্দুরে হেসে
হাসির ছটা ভুলিয়ে গেলো, ভিতরে কেউ কাঁদছিলো।"#
--- আরে! ও ম্যাডাম! বলি ও ম্যাডাম, শুনছেন?
--- বলুন।
--- কী আর বলব! সেদিন পুরো হিরোশিমা নাগাসাকি করে তো চলে গেলেন, তারপর আর দেখাই নেই।
--- শরীর খারাপ ছিল।
--- খুব টেনশন করেন, না? টেনশন করলে হার্টের রোগ অবধারিত।
--- যা হবার তা তো হবেই! ভেবে কী করব!
--- বাবা! একেবারে নিরালম্ব ফেটালিস্ট যে! আপনি ভাগ্য মানেন?
--- না। নিয়তি আর পুরুষকার মানি।
--- হুম। কঠিন ঠাঁই।
--- কেন? সহজ হবে ভেবেছিলেন?
--- তা ভাবিনি। তবে একেবারে মার্ডার-ফার্ডার এনে ফেলবেন তাও ভাবিনি। ঘাবড়ে দিয়েছেন খুব কিন্তু যাহোক।
--- আমি কেন এনে ফেলব! খুনটা তো আর আমি করিনি।
--- আপনি বলছেন আমি খুন করেছি?
--- করেননি?
--- আরে! মহা মুশকিল তো! আমি খুন করলে স্বীকার করব থোড়াই! আমাকে কি পাগল ঠাউরালেন নাকি!
--- কিছুই ঠাউরাইনি। তাতে কিছু বদলায়ও না।
--- কোনো খুনি কখনো জোর গলায় চেঁচিয়ে বলে নাকি — এই দ্যাখো দ্যাখো আমি খুন করেছি?
--- সেটা অবশ্যই খুনির মানসিকতা, বিশেষ করে তার ইগোর ওপর নির্ভর করে।
--- ইগো? ইগো কী করবে এতে?
--- ধরুন, কেউ শাস্তি দিতে খুন করেছে। বা কাউকে বাঁচাতে। অথবা, সে যে অনায়াসে খুন করতে পারে, এইটা দেখিয়ে দেবার জন্য করেছে। সেসব ক্ষেত্রে যদি লোকে জানতেই না পারল কে কীভাবে কাকে কেন খুন করেছে, তাহলে ইগো স্যাটিসফাই হবে কী করে?
--- তাই বলে স্বীকার করে জেলে যাবে নাকি!
--- জেলটাই তো একমাত্র পরিণতি নয়।