"ও মন দরদ দিয়েছো তায়
রাত-ভেজানো বনের লতায়একদিনের প্রেমে প্রখর স্মরবিরহ বাদ ছিলো
দুয়ার খুলে দেখিনি, ওই একটি পরমাদ ছিলো।#
ল্যাপটপ বন্ধ করে কাঁকর। চোখও বন্ধ করে। ও দেখতে পায় না, জানতে পারে না, দূর, -- সুদূর নিউ জার্সিতে, রাটগার্স ইউনিভার্সিটির ক্যামডেন ক্যাম্পাসে, অ্যাপ্লায়েড কম্পিউটিং-এর বিগ ডেটা ল্যাবে, সতেরো নম্বর কম্পিউটারে বন্ধ হলো একটা মিনিমাইজ করে রাখা পাইথন শেল।
--- আই গট ইট! আই গট ইট অল!
--- সত্যি? ডিড শি স্পিল এভরিথিং?
--- হ্যাঁ, সব কিছু৷ সবটা বুঝে গেছি এখন।
--- এই এভিডেন্স কিন্তু কোর্টে টিঁকবে না রাত্রি।
--- জানি। আমি কোর্টে যাচ্ছিও না। নিকুচি করেছে।
--- তাহলে কী করবি?
--- কী করব? কী করব? যন্তনকে দিয়ে দেবো। আবার কী। পুরোটা প্রিন্ট আউট করে পাঠিয়ে দেবো।
--- যন্তন? যন্তন কে?
--- আমার পিসেমশাই, রুপুদার বাবা।
--- সেই যে নাম-করা গুণ্ডা ছিল বলেছিলি?
--- হুম। ছিল আবার কী! এখনো আছে। পার্টি বদলেছে মাত্র। রুপুদা ওদের একমাত্র ছেলে। তিরিশ বছর! তিরিশটা বছর ধরে আমার মামণি আর যন্তন, আর আমি, আমরা সবাই ভেবে যাচ্ছি, কী করে মারা গেল রুপুদা। কী করে! ড্রাগ ও নিত, কিন্তু কখনো ওভারডোজ করত না। আর কাঁকরদি! কাঁকরদিকে ছায়ার মতো ফলো করত। ওর জানলার সামনে মারা গেল তরতাজা ছেলেটা, আর ও কিচ্ছু জানতে পারল না? সম্ভব? সম্ভব কখনো? ইয়ার্কি, না?
--- বলল তো, স্টক করত।
--- তাই বলে একেবারে মেরে ফেলতে হবে? ভয় দেখাতে পারত। ওর বাবা-মাকে বলে দিতে পারত! শেষ করে দিতে হলো কেন? ওই রুদ্র বসু আর ওই কাঁকর মুখার্জিকে আমি দেখে নেব। জাস্ট ওয়াচ মি।