পড়া শেষ করেছি। রাত এখন ১২ টা বেজে ৩০ মিনিট। বাসায় আমি আর আমার বিড়াল ডেইজি ছাড়া সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি বিছানার দিকে এগিয়ে গেলাম। ডেইজি আমার দিকে মায়াবী চোখে তাকালো।
/ কি এখন তোকে আদর করতে হবে?
ডেইজি : মিয়াও
/ না.. এখন কয়টা বাজে জানিস?
ডেইজি : মিয়াও
/ জানবি কিভাবে? তোর তো সেদিকে খেয়াল নেই।
ডেইজি : মিয়াও
/ আদর না করলে তোর ঘুম আসেনা? আচ্ছা বাবা ৫ মিনিট আদর করবো।
আমি তাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় গেলাম। কিছুক্ষণ মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম।
/ খুবই আরামে আছিস দেখছি।
আমি শুয়ে পড়লাম। ডেইজিও ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সারাদিন ঘুমিয়ে কাটানোর পরও যেন শখ মেটে না তার। ঘুম থেকে উঠে আমি আমার পাশে ডেইজিকে খুঁজে পাই না। আশেপাশে তাকাতেই দেখতে পেলাম উনি আপন মনে জানালা দিয়ে পাশের বাসার ছাদে তাকিয়ে আছে।
/ কি দেখা হচ্ছে? ওহ সুন্দর বিড়াল
ডেইজি : মিয়াও
/ ওর নাম টম? ওহ ভালো ভালো
ডেইজি : মিয়াও
/ তুমি ওকে চাও মানে মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে নাকি?
হঠাৎ দরজায় শব্দ হলো, আমি আর ডেইজি সেদিকে তাকালাম। আম্মু এসেছে।
আম্মু : সকাল সকাল তোরা দুই বাঁদর কি করছিস? আর তুই কি স্কুলে যাবি না নাকি? সারা কল দিয়েছিল। বলেছে তোকে বাস স্টপে দাঁড়াতে।
/ হ্যাঁ আম্মু যাবো। তুমি ডেইজিকে দেখে রেখো যেন পাশের ছাদে ঝাঁপ না দেয়।
আম্মু : ঠিক আছে তুই এখন যা।
স্কুলের জন্য বেরিয়ে পড়লাম পথেই সারাকে দেখলাম। উৎফুল্ল মনে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল।
/ কীরে?
সারা : কি হয়েছে জানিস?
/ তোর গল্পে ১০০ ভিউ হয়েছে?
সারা : কিন্তু দাড়া.. তুই জানলি কেমন করে?
/ আমি এমনি অনুমান করলাম।
সারা : আচ্ছা ঠিক আছে চল প্রীতি আর নুবাকে ও বলতে হবে। তাড়াতাড়ি চল
/ কেন ওদের বলিস নি?
সারা : না সবার আগে তোকেই বললাম।
/ ও আচ্ছা।
সারা স্কুল শেষে তার ১০০ ভিউ পূর্তিতে আমাদের ট্রিট দিতে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেল। সেখান থেকে বাসায় ফিরতে দেরি হল। বাসায় গিয়েই ডেইজিকে আমার টেবিলের উপর আবিষ্কার করি।