/ ডেইজি তুই কি করছিস?
ডেইজি : মিয়াও
/ তুই এখন টমকে চিঠি লিখতে চাস? তুই তো পড়তেও জানিস না!
ডেইজি : মিয়াও
/ কি বললি তুই ম্যানেজ করে নিবি? ঠিক আছে....
ডেইজি : মিয়াও
/ টম কি আদেও বিবাহিত কিনা তা কি তুই জানিস?
ডেইজি : মিয়াও
/ কে বলেছে তোকে ও সিঙ্গেল?
ডেইজি : মিয়াও
/ তোর বান্ধবী? আর কী যে শুনতে হবে...
ডেইজি : মিয়াও
/ আচ্ছা এসব ভুলে যা। এখন ঘুমিয়ে পড়
পরদিন আমি সারা, প্রীতি, নুবাকে নিয়ে ফার্স্ট ব্যান্ঞ্চে বসি।
সারা : ফার্স্ট ব্যাঞ্চে বসার কারণ কি? আর আমরা চারজন কিভাবে এক বেঞ্চে বসবো?
/ ম্যাথ স্যার পরীক্ষা নিবে।
নুবা : তুই জানলি কেমন করে.. স্যার বলেছে ?
/ না।
নুবার কথায় আমি চুপ হয়ে গেলাম। আসলেই তো! স্যার তো আমাকে এ ব্যাপারে কিছুই বলেনি। তবে আমি জানলাম কেমন করে। নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করছি..
সারা : ওসব বাদ দে কিভাবে বসা হবে?
/ তোর কোন সমস্যা নেই তুই ভালো নম্বর পাবি।
সারা : এটা তুই এত শিওর হয়ে কিভাবে বলতে পারিস?
আমি আবার চুপ করে গেলাম। এটা কিভাবে হচ্ছে?
প্রীতি : কতক্ষণ যাবৎ দেখছি তোরা কি সব বলছিস। আর তোরই বা কি হয়েছে এমন অদ্ভুত আচরণ করছিস কেন? পাগল টাগল হয়ে যাসনি তো আবার!
/ না পাগল হব কেন।
ক্লাস শুরু হয়ে গেল সারা আমার কথায় বিশ্বাস করেনি তাই ও প্রীতি আর নুবার সাথে বসল। আমি অবশ্য তাদের পেছনের বেঞ্চে বসে ছিলাম। ফার্স্ট ব্যাঞ্চে বসার কারণ স্যার পেছনের দিকেই বেশি নজর দেয়। সেদিন স্যার ঠিকই পরীক্ষা নিয়েছিল। আর সারাও ভালো নাম্বার পেয়েছিল। আমি অতঃপর নিজেকে বিশ্বাস করতে পারলাম না। আমি কিভাবে এত কিছু জানলাম?
আমি নাশিতা। বয়স ১৫ বছর। আমি আমার জীবনে ১৫ বছরে কখনো এমন অনুভব করিনি। আমি খুঁজে বের করবো কিভাবে আমার সাথে এমন হচ্ছে। আর কেমন করেই বা আমি আগে থেকেই সব জেনে যাচ্ছি। হতে পারে ঘটনা কাকতালীয়, তবে আমার কাছে মোটেও কাকতালীয় মনে হচ্ছে না