মুবিনের কথা শুনে আমরা দুইজনই পাশের দেয়ালে থাকা ঘরির দিকে লক্ষ করি আসলেই ২ টা বাজে।
নাশিতা : হ্যাঁ, সকাল না কিন্তু দুপুর। এখন বলো তুমি এত দুপুরে কী করছো?
মুবিন : আগে তোমরা বলো, তোমরা এত দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে কেন?
সারা : আমরা সারারাত ঘুমাইনি।
মুবিন : তোমাদের দেখে তা বোঝাই যাচ্ছে। তো আয়না-
মুবিন পুরো কথা শেষ করতে যাবে তার আগেই আমি তার মুখ চেপে ধরলাম।
নাশিতা : চুপ, আমার রুমে চলো।
মুবিন কিছু না বলে আমাদের সাথে চলে এলো আমার রুমে।
মুবিন : এভাবে আপ্যায়ন করে কেউ? আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম । ভেবেছিলাম হয়তো তুমি আমাকে মার্ডার করবে।
নাশিতা : সরি মুবিন... আসলে আম্মু এ ব্যাপারে কিছু জানে না।
মুবিন : তো তোমাদের মিরর ওয়ার্ল্ডের অভিযানের কি হলো?
সারা : আরে ঘোড়ার ডিম কিছুই তো হয়নি।
মুবিন : কিছুই হয়নি!
নাশিতা : না বাবা কিছুই হয়নি।
আমরা আরো অনেকক্ষণ গল্প করলাম। আমি সোমবার রাত থেকে আবার স্বাভাবিক স্বপ্ন দেখতে থাকলাম। নুবা কে ফারহান পছন্দ করে, জাহিদ আর সারার ঝগড়া, আমার আর মুবিনের দূর থেকে মজা নেওয়া, এসব স্বপ্নই দেখছিলাম আমি। কিন্তু আবার ঘটলো সেই অদ্ভুত কান্ড। আমি আবার সেই আয়না, তথাকথিত মিরর ওয়ার্ল্ডে চলে গিয়েছিলাম স্বপ্নের মাধ্যমে। আমি এসব কিছু নিয়ে মুবিন আর সারার সাথে আলোচনায় বসি।
নাশিতা : আমি আবার সেই ধরনের স্বপ্ন দেখেছি। আমার সাথে এমন হচ্ছে কেন, আমি পাগল হয়ে যাই নি তো আবার?
সারা : আমিও তো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমরা তো সেদিন অনেক চেষ্টাই করলাম কিছুই তো হল না।
নাশিতা : আমি যেহেতু স্বপ্নে দেখেছি সেটা অবশ্যই আছে।
সারা : এতটা আত্মবিশ্বাসের সাথে তুই সেটা কিভাবে বলতে পারিস? এটা তো সত্যি নাও হতে পারে!
নাশিতা : কিন্তু আমি আজ পর্যন্ত যা যা স্বপ্ন দেখেছি তার সবই সত্যি হয়েছে। আর আমার বিশ্বাস এটাও হবে। এটা দৃঢ় বিশ্বাস নয়, তবে আমার বিশ্বাস আছে।
সারা : তাহলে তোর মতে যদি স্বপ্ন সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে আমরা অবশ্যই কিছু এড়িয়ে যাচ্ছি।
নাশিতা : কি এড়িয়ে যাচ্ছি?
সারা : এমন কিছু যা দিয়ে আমরা মিরর ওয়ার্ল্ডে ঢুকতে পারবো। হয়তো তোর স্বপ্ন সত্যি, যদি তাই হয় আমাদের শুধু রাস্তাটা দরকার। আমাদের আবার প্রথম থেকে একবার বিষয়টা দেখা উচিত।
মুবিন : দাড়াও দাড়াও......